নান্দনিক পরিবেশনার ছোঁয়া
প্লেট-বাটি কিংবা বড় ডিসে খাবার বাড়া হয়েছে। ট্রেতে করে সেগুলো টেবিলে রাখা হয়েছে। ব্যস, পরিবেশন সারা! নিজেদের খাওয়ার সময় বা অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশনের এই তত্ত্ব এখন আর খাটে না। বরং খাবার পরিবেশনও এখন গুরুত্বপূর্ণ। কতটা নান্দনিকভাবে খাবার পরিবেশন করছেন টেবিলে সেটা বড় ব্যাপার। এতে আপনার রুচিবোধ বোঝা যাবে; আপনার সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে অতিথির। জন্মদিন, পার্টি, বিবাহবার্ষিকী, পুনর্মিলনী কিংবা যে কোনো উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে খাবার পরিবেশনে নতুন মাত্রা আনতে পারেন। পরিবেশনে ব্যবহৃত প্লেট-বাটি, টেবিল ক্লথ, ম্যাট সবকিছু মিলেই যেন টেবিল সেজে ওঠে উৎসবের আমেজে। এর ব্যত্যয় হলে নিজেও হীনমন্যতায় ভোগবেন, আপনার রুচি সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি হবে অতিথির। খাবার টেবিলে সবই নতুন কিন্তু গ্লাসগুলো বহুদিনের। এমনটা হলে তা খাবার টেবিলের সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যেতে পারে।
তাই যে কোনো বিশেষ আয়োজন উপলক্ষে টেবিলের আনুষঙ্গিক উপকরণগুলোর (টেবিল ম্যাট, রানার, ন্যাপকিন) দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। খাবার ঘর এবং জানালার পর্দার সঙ্গে মিলিয়ে এগুলো কেনা উচিত। সেই সঙ্গে দেয়ালে খাবার ঘরের উপযোগী করে ওয়ালম্যাট রাখা যেতে পারে। টেবিলটি যেহেতু খাবার জায়গা, তাই টেবিলের ওপর খুব বেশি বাড়তি জিনিস না রাখাই ভালো। এতে ঘিনজি পরিবেশ হবে। মুভমেন্ট করা কষ্ট হবে। টেবিলে বড়জোর একটি ফুলদানিতে কিছু তাজা ফুল বা ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা যেতে পারে। থাকতে পারে দু-একটি মোমবাতি। সাদামাটাভাবে সাজানো পরিষ্কার ঝকঝকে খাবার টেবিলেই খেতে আরাম পাওয়া যাবে। আড্ডাটাও জমে পুরোপুরি। উৎসব আয়োজনে বসার ঘর এবং খাবার ঘরে অতিথি সমাগম বেশি হয়। তাই এই দুটি ঘর আকর্ষণীয় করে তোলা উচিত। বিশেষ আয়োজনে অনেক কিছুই কেনাকাটা করা হয়। এ সময় চামচ, ছুরি, পানির জগ পুরনো হয়ে থাকলে নতুন কেনা যেতে পারে। আর্থিক সঙ্গতি থাকলে বহুদিনের খাবার টেবিলটিও বদলে ফেলতে পারেন। খাবার টেবিলে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে যা করতে পারেন-
* টেবিলটি পরিষ্কার থাকা খুবই জরুরি;
* হাতের কাছেই টিস্যু বা ন্যাপকিন রাখতে হবে;
* খাবার অনুযায়ী লবণ, সস, গোলমরিচগুঁড়া সামনে রাখতে হবে;
* মূল আকর্ষণ হিসেবে ফুলদানিতে কৃত্রিম লেটুস বা ধনেপাতা জাতীয় গাছ রাখা যেতে পারে;
* খাবারের ধরন অনুযায়ী বাটি বা পিরিচের ব্যবস্থা করা উচিত। যেমন পায়েস, সেমাইয়ের জন্য যে ধরনের বাটি ব্যবহার করা হয়, সে বাটিতে পাস্তা কিংবা চটপটি না দেয়াই ভালো।
* খাবার অনুযায়ী চামচ হওয়া উচিত। যেমন মিষ্টি হলে কাটা চামচ, কাবাব হলে চামচের সঙ্গে ছোরা থাকতে হবে;
* যে কোনো এক ডিজাইন বা একই উপকরণ দ্বারা তৈরি তৈজসপত্র ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে। একটি বাটি স্বচ্ছ কাচের আর একটি পাইরেক্সের এ রকম হলে দৃষ্টিকটু হবে;
* খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে টেবিল ব্যানারগুলো মেনে চলা উচিত;
* টেবিলের আয়তন বুঝে চেয়ার রাখা উচিত; যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে মেহমান তাতে বসে খেতে পারেন;
* খাবার টেবিলে ঝাল, মিষ্টি সব খাবার একসঙ্গে পরিবেশন না করে মিষ্টি বা ফল ট্রুলি বা অন্য টেবিলে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে;
* পাশের ওয়ালে কিংবা টি-টেবিলে মজার ম্যাগাজিন রাখা যেতে পারে, আড্ডার সময় এটি কাজে লাগতে পারে;
* যেহেতু উৎসব আয়োজনে অনেক রান্না হয়, তাই ভাজাপোড়া গন্ধ যেন খাবার ঘরে না থাকে, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও যে বিষয়ে নজর দিবেন
আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রোকারিজ পাওয়া যায়। বিভিন্ন আকার ও মাপের বাটি, নানা ধরনের পরিবেশন পাত্র, প্লেটগুলো সিরামিক বা গ্লাসের তৈরি হতে পারে। আপনি কী পরিবেশন করবেন, সে অনুযায়ী আপনাকে পছন্দ করতে হবে। মাছের আকৃতির ডিশে মাছ আবার কেক বা পুডিং রাখার জন্য স্বচ্ছ ঢাকনাসহ প্লেটও কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া দু-তিন ধাপের সার্ভিং ডিশ পাওয়া যায়। এর প্রতিটি ধাপে আপনি আলাদা করে ফল, মাফিন বা মিষ্টি পরিবেশন করতে পারেন। পানীয় পরিবেশনের জন্য ছোট বা লম্বা অথবা বিভিন্ন ডিজাইনের ওয়াইন গ্লাস তো রয়েছেই।
কোথায় পাবেন
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, গুলশানে বেশ কিছু ক্রোকারিজের দোকান রয়েছে। যেখানে আপনি পছন্দমতো জিনিস পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন আকারের পাত্রের দাম শুরু হবে ৫০০ টাকা থেকে। কয়েক ধাপের ডিশগুলো ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে শুরু। গ্লাসের দাম হবে ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
* টেবিলটি পরিষ্কার থাকা খুবই জরুরি;
* হাতের কাছেই টিস্যু বা ন্যাপকিন রাখতে হবে;
* খাবার অনুযায়ী লবণ, সস, গোলমরিচগুঁড়া সামনে রাখতে হবে;
* মূল আকর্ষণ হিসেবে ফুলদানিতে কৃত্রিম লেটুস বা ধনেপাতা জাতীয় গাছ রাখা যেতে পারে;
* খাবারের ধরন অনুযায়ী বাটি বা পিরিচের ব্যবস্থা করা উচিত। যেমন পায়েস, সেমাইয়ের জন্য যে ধরনের বাটি ব্যবহার করা হয়, সে বাটিতে পাস্তা কিংবা চটপটি না দেয়াই ভালো।
* খাবার অনুযায়ী চামচ হওয়া উচিত। যেমন মিষ্টি হলে কাটা চামচ, কাবাব হলে চামচের সঙ্গে ছোরা থাকতে হবে;
* যে কোনো এক ডিজাইন বা একই উপকরণ দ্বারা তৈরি তৈজসপত্র ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে। একটি বাটি স্বচ্ছ কাচের আর একটি পাইরেক্সের এ রকম হলে দৃষ্টিকটু হবে;
* খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে টেবিল ব্যানারগুলো মেনে চলা উচিত;
* টেবিলের আয়তন বুঝে চেয়ার রাখা উচিত; যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে মেহমান তাতে বসে খেতে পারেন;
* খাবার টেবিলে ঝাল, মিষ্টি সব খাবার একসঙ্গে পরিবেশন না করে মিষ্টি বা ফল ট্রুলি বা অন্য টেবিলে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে;
* পাশের ওয়ালে কিংবা টি-টেবিলে মজার ম্যাগাজিন রাখা যেতে পারে, আড্ডার সময় এটি কাজে লাগতে পারে;
* যেহেতু উৎসব আয়োজনে অনেক রান্না হয়, তাই ভাজাপোড়া গন্ধ যেন খাবার ঘরে না থাকে, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও যে বিষয়ে নজর দিবেন
আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রোকারিজ পাওয়া যায়। বিভিন্ন আকার ও মাপের বাটি, নানা ধরনের পরিবেশন পাত্র, প্লেটগুলো সিরামিক বা গ্লাসের তৈরি হতে পারে। আপনি কী পরিবেশন করবেন, সে অনুযায়ী আপনাকে পছন্দ করতে হবে। মাছের আকৃতির ডিশে মাছ আবার কেক বা পুডিং রাখার জন্য স্বচ্ছ ঢাকনাসহ প্লেটও কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া দু-তিন ধাপের সার্ভিং ডিশ পাওয়া যায়। এর প্রতিটি ধাপে আপনি আলাদা করে ফল, মাফিন বা মিষ্টি পরিবেশন করতে পারেন। পানীয় পরিবেশনের জন্য ছোট বা লম্বা অথবা বিভিন্ন ডিজাইনের ওয়াইন গ্লাস তো রয়েছেই।
কোথায় পাবেন
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, গুলশানে বেশ কিছু ক্রোকারিজের দোকান রয়েছে। যেখানে আপনি পছন্দমতো জিনিস পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন আকারের পাত্রের দাম শুরু হবে ৫০০ টাকা থেকে। কয়েক ধাপের ডিশগুলো ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে শুরু। গ্লাসের দাম হবে ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
No comments