বুধ গ্রহে মহাকাশযান অভিযান by আশরাফুল আলম পিনটু
বুধ
গ্রহ নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আগ্রহের শেষ নেই। সূর্যের সবচেয়ে কাছের এ
গ্রহটির অনেক চমকপ্রদ তথ্য জানতে পেরেছেন গবেষকরা। চেষ্টা চলছে আরও নতুন
কিছু আবিষ্কারের। বুধ গ্রহে বিজ্ঞানীদের মহাকাশযান অভিযান ও আবিষ্কার
সম্পর্কে ইন্টারনেট অবলম্বনে লিখেছেন-
পাথুরে
গ্রহগুলোর মধ্যে মার্কারি বা বুধ একটি অন্যতম গ্রহ। এ গ্রহটি সূর্যের
সবচেয়ে কাছের। এ ধরনের গ্রহগুলোর বিবর্তন বুঝতে সম্প্রতি বুধের দিকেই বেশি
নজর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এ জন্যে
একের পর এক মহাকাশযান পাঠানো হচ্ছে। এসব মহাকাশ যান আবিষ্কার করে চলেছে
চমকপ্রদ সব তথ্য। শুধু বুধগ্রহেই এক ধরনের গহ্বর বা গর্ত দেখা গেছে,
যেগুলোকে গবেষকরা ‘হলোস’ বলেন। পৃথিবীর ভূমিতে রাসায়নিক পদার্থ সরে গেলে
এবং বাষ্পে পরিণত হলে এমন গর্ত সৃষ্টি হয়। বুধগ্রহেও এমন বিশেষত্ব খুঁজে
পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ তথ্য তারা পেয়েছেন মার্কিন মহাকাশযান মেসেঞ্জারের
কাছ থেকে। এ মহাকাশযানটি ২০০৮ সালে বুধগ্রহে পৌঁছে। পৃথিবীর তুলনায়
সূর্যের তিন গুণ কাছে রয়েছে এ গ্রহ। মহাকাশযান মেসেঞ্জার পৌঁছার আগ
পর্যন্ত বুধগ্রহের অর্ধেকেরও বেশি অংশ মানুষের কাছে অজানাই ছিল।সূর্যের
সবচেয়ে কাছের এ গ্রহটিকে কয়েক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেছে মহাকাশযান
মেসেঞ্জার। এ পর্যবেক্ষণে মেসেঞ্জার সাতটি যন্ত্র ব্যবহার করেছে। গ্রহের
বিকিরণ পরিমাপ করা হয়েছে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে। উচ্চমানের ছবি তোলা হয়েছে
খুব কাছ থেকে। মেসেঞ্জারের উন্নত ক্যামেরার মাধ্যমে বুধগ্রহের ধরন ও কাঠামো
সম্পর্কে জানা গেছে। জানা গেছে এ গ্রহের মাটিতে ধাতু ও বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের
অনুপাত। বিজ্ঞানীরা বুধ গ্রহের পাতলা বায়ুমণ্ডলের নাম দিয়েছেন
‘এক্সোস্ফিয়ার’। বর্তমানে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মূলত যা জানতে চান তা হল
কিভাবে বুধ গ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল আর কেমন করে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল
গ্রহটির পরিবেশ?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, সত্যি এক অভিনব গ্রহ বুধ। পৃথিবীর তুলনায় সূর্যের তিন গুণ কাছে এটির অবস্থান বলে পৃথিবীর তুলনায় দশ গুণ বেশি সূর্যের আলো পড়ে এ গ্রহের উপর। সূর্যের দিকের অংশের তাপমাত্রা প্রায় ৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। ছায়াময় ঠাণ্ডা অংশের তাপমাত্রা ১৭০ ডিগ্রি। মজার ব্যাপার হল, বুধগ্রহের একটি দিনের ব্যাপ্তী পৃথিবীর ১৭৬ দিনের সমান। তবে সূর্যের কাছে থাকায় বুধগ্রহের এক বছর পৃথিবীর তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এর আয়তনও পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম। চাঁদের তুলনায় সামান্য বড়। গবেষকরা টুকরো টুকরো ছবি সাজিয়ে ভৌগোলিক মানচিত্র গড়ে তুলেছেন। মেসেঞ্জার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধ গ্রহের এ পাথরের মানচিত্র সৃষ্টি হয়েছে। এ মানচিত্র দেখে গবেষকরা জানতে পারছেন, কিভাবে এমন পাথুরে গ্রহগুলো তাদের বর্তমান রূপ পেয়েছে। তারা এক ঝলকেই চিনতে পারছেন সেই গ্রহের ধাতুগুলো। গবেষকরা বলছেন, ‘বুধের যে পরিবর্তন তা পৃথিবীর বিবর্তন দিয়ে আর বোঝা সম্ভব নয়। কারণ পৃথিবীতে যে পরিবেশ রয়েছে, গাছপালা, বাতাস ও পানি রয়েছে সেগুলোর অনেক ক্ষয় হয়েছে। পৃথিবীর শুরুতে যা ছিল তার পরিবর্তন ঘটেছে বার বার। বুধ গ্রহে সেটা ঘটেনি। সেখানে মৌলিক পদার্থ সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া গেছে, তা থেকেই পাথুরে গ্রহগুলো সৃষ্টি হয়েছিল। এমন ধারণা মিললেও গবেষকরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছেন, অন্যান্য পাথুরে গ্রহের সঙ্গে বুধ গ্রহের পার্থক্য রয়েছে। গন্ধক ও ক্লোরিনের মতো অনেক তরল পদার্থ রয়েছে এ গ্রহে। এসব কারণে এতদিন গবেষকদের মনে প্রশ্ন ছিল, বুধ গ্রহে আগ্নেয়গিরি আছে কিনা। এবার তার উত্তর পেয়েছেন তারা। মহাকাশযান মেসেঞ্জার শুধু আগ্নেয়গিরির অস্তিত্বই নয়, এগুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণও দিয়েছে। বুধের মসৃণ উপত্যকা সূর্যের গরম ও লাভার প্রবাহের কারণে তৈরি হয়েছে। মহাকাশযান মেসেঞ্জার আরেকটি চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছে বুধ গ্রহের উত্তর মেরুতে। ২০১২ সালে ছায়াময় ঠাণ্ডা অংশের আড়ালে বরফ খুঁজে পেয়েছে। এ বরফ ছায়াচ্ছন্ন আড়ালে থাকা গর্তের ভেতরে ছিল।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০১৬ সালে বুধ গ্রহ সোলার ডিস্কের উপর দিয়ে যাবে। শতাব্দীতে এমনটা ঘটনা ঘটে তের থেকে চৌদ্দ বার।
বুধগ্রহের তথ্য জানতে বিজ্ঞানীরা তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউরোপ ও জাপানের এক যৌথ মহাকাশযান বুধগ্রহে পৌঁছবে ২০১৭ সালে। এ মহাকাশযান থেকে দুটি স্যাটেলাইট বেরিয়ে মেসেঞ্জারের চেয়ে আরও গভীর পর্যবেক্ষণ চালাবে। গবেষকরা আশা করছেন, তখন হয়তো আরও অনেক চমকপ্রদ তথ্য জানা যাবে এ গ্রহটি সম্পর্কে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, সত্যি এক অভিনব গ্রহ বুধ। পৃথিবীর তুলনায় সূর্যের তিন গুণ কাছে এটির অবস্থান বলে পৃথিবীর তুলনায় দশ গুণ বেশি সূর্যের আলো পড়ে এ গ্রহের উপর। সূর্যের দিকের অংশের তাপমাত্রা প্রায় ৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। ছায়াময় ঠাণ্ডা অংশের তাপমাত্রা ১৭০ ডিগ্রি। মজার ব্যাপার হল, বুধগ্রহের একটি দিনের ব্যাপ্তী পৃথিবীর ১৭৬ দিনের সমান। তবে সূর্যের কাছে থাকায় বুধগ্রহের এক বছর পৃথিবীর তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এর আয়তনও পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম। চাঁদের তুলনায় সামান্য বড়। গবেষকরা টুকরো টুকরো ছবি সাজিয়ে ভৌগোলিক মানচিত্র গড়ে তুলেছেন। মেসেঞ্জার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধ গ্রহের এ পাথরের মানচিত্র সৃষ্টি হয়েছে। এ মানচিত্র দেখে গবেষকরা জানতে পারছেন, কিভাবে এমন পাথুরে গ্রহগুলো তাদের বর্তমান রূপ পেয়েছে। তারা এক ঝলকেই চিনতে পারছেন সেই গ্রহের ধাতুগুলো। গবেষকরা বলছেন, ‘বুধের যে পরিবর্তন তা পৃথিবীর বিবর্তন দিয়ে আর বোঝা সম্ভব নয়। কারণ পৃথিবীতে যে পরিবেশ রয়েছে, গাছপালা, বাতাস ও পানি রয়েছে সেগুলোর অনেক ক্ষয় হয়েছে। পৃথিবীর শুরুতে যা ছিল তার পরিবর্তন ঘটেছে বার বার। বুধ গ্রহে সেটা ঘটেনি। সেখানে মৌলিক পদার্থ সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া গেছে, তা থেকেই পাথুরে গ্রহগুলো সৃষ্টি হয়েছিল। এমন ধারণা মিললেও গবেষকরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছেন, অন্যান্য পাথুরে গ্রহের সঙ্গে বুধ গ্রহের পার্থক্য রয়েছে। গন্ধক ও ক্লোরিনের মতো অনেক তরল পদার্থ রয়েছে এ গ্রহে। এসব কারণে এতদিন গবেষকদের মনে প্রশ্ন ছিল, বুধ গ্রহে আগ্নেয়গিরি আছে কিনা। এবার তার উত্তর পেয়েছেন তারা। মহাকাশযান মেসেঞ্জার শুধু আগ্নেয়গিরির অস্তিত্বই নয়, এগুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণও দিয়েছে। বুধের মসৃণ উপত্যকা সূর্যের গরম ও লাভার প্রবাহের কারণে তৈরি হয়েছে। মহাকাশযান মেসেঞ্জার আরেকটি চমকপ্রদ আবিষ্কার করেছে বুধ গ্রহের উত্তর মেরুতে। ২০১২ সালে ছায়াময় ঠাণ্ডা অংশের আড়ালে বরফ খুঁজে পেয়েছে। এ বরফ ছায়াচ্ছন্ন আড়ালে থাকা গর্তের ভেতরে ছিল।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০১৬ সালে বুধ গ্রহ সোলার ডিস্কের উপর দিয়ে যাবে। শতাব্দীতে এমনটা ঘটনা ঘটে তের থেকে চৌদ্দ বার।
বুধগ্রহের তথ্য জানতে বিজ্ঞানীরা তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউরোপ ও জাপানের এক যৌথ মহাকাশযান বুধগ্রহে পৌঁছবে ২০১৭ সালে। এ মহাকাশযান থেকে দুটি স্যাটেলাইট বেরিয়ে মেসেঞ্জারের চেয়ে আরও গভীর পর্যবেক্ষণ চালাবে। গবেষকরা আশা করছেন, তখন হয়তো আরও অনেক চমকপ্রদ তথ্য জানা যাবে এ গ্রহটি সম্পর্কে।
No comments