যুগান্তরের ১৬ বছর ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা by তারেক শামসুর রেহমান
যুগান্তর ১৬ বছর পার করল। সময়টা একেবারে
কম নয়। এ দীর্ঘ ১৬ বছর আমি নিরবচ্ছিন্নভাবে যুগান্তরের সঙ্গে থেকেছি। কোনো
একটি দিনের জন্যও আমি যুগান্তর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেইনি। এ ১৬ বছরে আমরা
গণমাধ্যমে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এ পরিবর্তন যুগান্তরকে তার
লক্ষ্যপথ থেকে এতটুকুও বিচ্যুত করতে পারেনি। বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিনির্মাণে যুগান্তরের ভূমিকা ছিল সত্য ও
ন্যায়ের পথে। সংবাদ পরিবেশনায়, মূল্যায়নে যুগান্তর আমাকে সাহসী করেছে। সত্য
উচ্চারণে সাহসী সৈনিক হয়ে যুগান্তরের পাশে থেকে আমি আশ্রয় খুঁজেছি সত্যের
কাছে। যুগান্তর আমাকে বারবার ইতিহাসবিদ তকিউভিলের (Alexis de Tocqueville)
একটি উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তকিউভিলে বলেছিলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে
সংবাদপত্রগুলো খুবই অবিবেচক সাধারণ কর্মকাণ্ডের দিকে নাগরিকদের চালিত করে,
এটি আমি জোর দিয়ে অস্বীকার করতে চাই না। কিন্তু সংবাদপত্র ছাড়া সাধারণ
কর্মকাণ্ড বলতে কিছুই থাকে না। ফলে তারা যত ক্ষত তৈরি করে, তার চেয়ে অনেক
বেশি সারায়। যুগান্তর গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের সমাজের ‘ক্ষত’ সারিয়ে তোলার
চেষ্টা করছে অবিচলভাবে।
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। প্রায় ক্ষেত্রেই বলা হয়- বাংলাদেশের গণমাধ্যম, বিশেষ করে সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া স্বাধীন নয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা’র কথা বলা হয়েছে। ৩৯(১)-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।’ ৩৯(১)(ক)-তে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং ৩৯(২)(খ)-তে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তবে এখানে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃংখলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে অথবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংগঠনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষেই’ এ অধিকার নিশ্চিত হবে। তবে সংবাদপত্রগুলো এ স্বাধীনতা কতটুকু ভোগ করে এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। সাংবাদিক নেতারা এবং দেশের শ্রেষ্ঠ আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে একাধিক মামলায় এই ৩৯ ধারাটি উল্লেখ করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে বারবার যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে কতটুকু আন্তরিক, সে প্রশ্ন আছেই। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে Special Power Act 1974 প্রবর্তন করা হয়েছিল। অভিযোগ আছে, ওই আইনের আওতায় সংবাদপত্র ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এ বিশেষ আইনটি দীর্ঘদিন চালু ছিল। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই সরকার Special Power Act 1974-এর কিছু ধারায় পরিবর্তন আনে। বিশেষ করে ওই আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পথ কিছুটা প্রশস্ত করে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের পরিধি বেশ সম্প্রসারিত হয়েছে। একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশন ছিল দেশের একমাত্র টিভি স্টেশন। কিন্তু এখন বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু টিভি চ্যানেল চালু রয়েছে। যেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণবিহীনভাবেই সরকারকে সমালোচনা করে অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। টিভি প্রতিবেদনেও ব্যাপক বৈচিত্র্য এসেছে। টক-শোগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসব টক-শো স্পন্সর করছে। শুধু তাই নয়, Private Program Production policy in BTV 2001-এর আওতায় সরকারি বিটিভিতে বেসরকারি প্রোগ্রামও সম্প্রচার হচ্ছে, যার ফলে বিটিভির মান কিছুটা বেড়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে এটা একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, সন্দেহ নেই। তবে সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ নিয়ে নতুন করে কিছুটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক নেতারা মনে করছেন, এ নীতিমালা গ্রহণ করে সরকার তাদের সঙ্গে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইংরেজি দৈনিক Dhaka Tribune তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, Information Ministry has issued the gazette notification of the National Broadcasting Policy 2014 in August 2014, though there has been a roar over the broadcasting policy. The Journalists leaders have claimed that they have been betrayed with the policy. BNP has called upon the Govt. to cancel the policy. সম্প্রচার নীতিমালায় একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করা হলেও এখন অব্দি এ কমিশন গঠন করা হয়নি। কাদের নিয়ে এ কমিশন গঠিত হবে, তাও স্পষ্ট নয়। কমিশনের কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কার্যাবলী দেখাশোনা এবং এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা। কমিশন গঠনের এ সিদ্ধান্তকে গণমাধ্যমের কর্মীরা স্বাগত জানিয়েছেন। গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা 'Article 19'-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান তাহমিনা রহমান এ কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তার মতে, 'This would be a significant attempt toward distancing the government from functions of the electronic Press through this independent commission'। সম্প্রচার নীতিমালায় মিডিয়া কর্মীদের কী করণীয়, কোনটা করা ঠিক নয়- এসব বিষয়ে কিছু কথা বলা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে- Under the policy, broadcast outlets are prohibited from disseminating any news, photos or videos that could tarnish the image of law enforcing agencies and armed forces. It prohibits any broadcasts that directly or through advertisement, run counter to the government or public interest, and forbids the broadcasting of news that could cause 'communal discord' or impede National Security. সুতরাং সম্প্রচার নীতিমালাটি যে কিছুটা ‘নির্দেশনামূলক’ তা অস্বীকার করা যাবে না। স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য এ নীতিমালাটি আদৌ ক্ষতিকর কিনা, ক্ষতিকর হলে কতটুকু ক্ষতিকর- এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। ইতিমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটিও বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার নিরাপত্তাবোধ থেকে কার্টুন, ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মতো বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। উদ্বেগের জায়গাটা এখানেই।
যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সত্যের সন্ধানে যুগান্তর কখনও পিছপা হবে না। এ সাহসী উচ্চারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একদিকে যেমন একটি উৎসাহব্যঞ্জক অনুপ্রেরণার উৎস, অন্যদিকে আমাদের জন্যও একটি আশার আলো। যুগান্তর ‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’ এ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। আজও তাতে এতটুকু ‘ক্লান্তি’ আসেনি। যুগান্তরের এ স্লোগানের সঙ্গেই থাকতে চাই বাকি দিনগুলো।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। প্রায় ক্ষেত্রেই বলা হয়- বাংলাদেশের গণমাধ্যম, বিশেষ করে সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া স্বাধীন নয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা’র কথা বলা হয়েছে। ৩৯(১)-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।’ ৩৯(১)(ক)-তে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং ৩৯(২)(খ)-তে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তবে এখানে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃংখলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে অথবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংগঠনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষেই’ এ অধিকার নিশ্চিত হবে। তবে সংবাদপত্রগুলো এ স্বাধীনতা কতটুকু ভোগ করে এটা নিয়ে বিতর্ক আছে। সাংবাদিক নেতারা এবং দেশের শ্রেষ্ঠ আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে একাধিক মামলায় এই ৩৯ ধারাটি উল্লেখ করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে বারবার যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে কতটুকু আন্তরিক, সে প্রশ্ন আছেই। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে Special Power Act 1974 প্রবর্তন করা হয়েছিল। অভিযোগ আছে, ওই আইনের আওতায় সংবাদপত্র ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এ বিশেষ আইনটি দীর্ঘদিন চালু ছিল। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই সরকার Special Power Act 1974-এর কিছু ধারায় পরিবর্তন আনে। বিশেষ করে ওই আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পথ কিছুটা প্রশস্ত করে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের পরিধি বেশ সম্প্রসারিত হয়েছে। একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশন ছিল দেশের একমাত্র টিভি স্টেশন। কিন্তু এখন বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু টিভি চ্যানেল চালু রয়েছে। যেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণবিহীনভাবেই সরকারকে সমালোচনা করে অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। টিভি প্রতিবেদনেও ব্যাপক বৈচিত্র্য এসেছে। টক-শোগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসব টক-শো স্পন্সর করছে। শুধু তাই নয়, Private Program Production policy in BTV 2001-এর আওতায় সরকারি বিটিভিতে বেসরকারি প্রোগ্রামও সম্প্রচার হচ্ছে, যার ফলে বিটিভির মান কিছুটা বেড়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে এটা একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, সন্দেহ নেই। তবে সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ নিয়ে নতুন করে কিছুটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক নেতারা মনে করছেন, এ নীতিমালা গ্রহণ করে সরকার তাদের সঙ্গে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইংরেজি দৈনিক Dhaka Tribune তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, Information Ministry has issued the gazette notification of the National Broadcasting Policy 2014 in August 2014, though there has been a roar over the broadcasting policy. The Journalists leaders have claimed that they have been betrayed with the policy. BNP has called upon the Govt. to cancel the policy. সম্প্রচার নীতিমালায় একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করা হলেও এখন অব্দি এ কমিশন গঠন করা হয়নি। কাদের নিয়ে এ কমিশন গঠিত হবে, তাও স্পষ্ট নয়। কমিশনের কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কার্যাবলী দেখাশোনা এবং এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা। কমিশন গঠনের এ সিদ্ধান্তকে গণমাধ্যমের কর্মীরা স্বাগত জানিয়েছেন। গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা 'Article 19'-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান তাহমিনা রহমান এ কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তার মতে, 'This would be a significant attempt toward distancing the government from functions of the electronic Press through this independent commission'। সম্প্রচার নীতিমালায় মিডিয়া কর্মীদের কী করণীয়, কোনটা করা ঠিক নয়- এসব বিষয়ে কিছু কথা বলা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে- Under the policy, broadcast outlets are prohibited from disseminating any news, photos or videos that could tarnish the image of law enforcing agencies and armed forces. It prohibits any broadcasts that directly or through advertisement, run counter to the government or public interest, and forbids the broadcasting of news that could cause 'communal discord' or impede National Security. সুতরাং সম্প্রচার নীতিমালাটি যে কিছুটা ‘নির্দেশনামূলক’ তা অস্বীকার করা যাবে না। স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য এ নীতিমালাটি আদৌ ক্ষতিকর কিনা, ক্ষতিকর হলে কতটুকু ক্ষতিকর- এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। ইতিমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটিও বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার নিরাপত্তাবোধ থেকে কার্টুন, ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মতো বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। উদ্বেগের জায়গাটা এখানেই।
যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সত্যের সন্ধানে যুগান্তর কখনও পিছপা হবে না। এ সাহসী উচ্চারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একদিকে যেমন একটি উৎসাহব্যঞ্জক অনুপ্রেরণার উৎস, অন্যদিকে আমাদের জন্যও একটি আশার আলো। যুগান্তর ‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’ এ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। আজও তাতে এতটুকু ‘ক্লান্তি’ আসেনি। যুগান্তরের এ স্লোগানের সঙ্গেই থাকতে চাই বাকি দিনগুলো।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
No comments