শিশু অপহরণ ও হত্যা- অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করুন
মৃত্যু অবধারিত। অমোঘ। এ অমোঘ নিয়তি এড়ানোর ক্ষমতা কোনো জীবের নেই।
‘জন্মিলে মরিতে হইবে- অমর কে কোথা ভবে!’ তবে দিনশেষে অস্তাচলগামী সূর্যের
অস্ত যাওয়া নিয়ে যেমন আমাদের মনে কোনো প্রশ্ন থাকে না, তেমনি পরিণত বয়সে
কারও মৃত্যু আমাদের ব্যথিত করলেও তা নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকে না। কিন্তু যে
জীবন কেবল মুকুলসম, ফুল হয়ে এখনও প্রস্ফুটিত হয়নি- তা যদি বৃন্তচ্যুত হয়ে
ধুলায় লুটায়, তাহলে তার বেদনা অপরিসীম। এ অপরিসীম বেদনাভারই বয়ে বেড়াতে
হচ্ছে কেরানীগঞ্জে অপহরণের পাঁচ দিন পর লাশ হওয়া ৫ম শ্রেণীর ছাত্র
আবদুল্লাহ এবং ধামরাই উপজেলার চর চৌহাট গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর দুই ছাত্র
ইমরান হোসেন ও শাকিলের মা-বাবা, স্বজনদের। জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে
বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। পরে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে
জানিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
অপহরণকারীদের কথামতো ২ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করার পরও
আবদুল্লাহকে খুন করা হয়। অন্যদিকে ধামরাইয়ে নেশার টাকার জন্য শিশু ইমরান ও
শাকিলকে অপহরণ করা হয়। কিন্তু দাবিকৃত মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু দুটিকে জবাই
করে হত্যা করা হয়।
দেশে শিশু অপহরণ ও হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। অতি তুচ্ছ ঘটনা থেকে শুরু করে নানাবিধ কারণে অসহায় শিশুরা যেভাবে ঘাতকের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র, প্রতারক, প্রবঞ্চক ও দুর্বৃত্তদল, এমন কী গর্ভধারিণী মায়ের হাতেও নিষ্পাপ-নিরপরাধ শিশুরা এখন আর নিরাপদ নয়। রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে নবজাতকের মস্তক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। তবে শুধু শিশু অপহরণ ও হত্যার ঘটনা নয়, দেশে আরও নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়। দেশে থানার সংখ্যা বাড়লেও রাজধানীসহ শহর ও গ্রামাঞ্চলে অপরাধের ঘটনা হ্রাস না পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি তথা অপরাধ বৃদ্ধির খবর একদিকে যেমন স্বস্তিদায়ক নয়, অন্যদিকে অবধারিতভাবে যে প্রশ্নটি আমাদের সামনে চলে আসে, তা হল- আইনশৃংখলা বাহিনীর কাজটা কী তাহলে? ক্রমাগত অপরাধ সংঘটিত হবে, অথচ আইনশৃংখলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে- এটি কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দুঃখজনক হল, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাই এখন নানা অপরাধ কর্মে সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা অপরাধীদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। এমনিতেই দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। কোনো নিরপরাধ শিশু বা কিশোর যদি নৃশংস খুনের শিকার হয়, তাহলে তা মেনে নেয়া কষ্টকর। এ ধরনের হত্যা ও খুনের ঘটনায় জড়িতদের অপরাধ ক্ষমাহীন- এ কথা যেমন সত্য, তেমনি এক্ষেত্রে বাবা-মা ও পরিবারেরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি। এর ফলে অনেক অনভিপ্রেত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে পরিবারের এ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাষ্ট্রকেও তার নির্ধারিত ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশু অপহরণ ও হত্যার মতো ঘটনা যারা ঘটায়, তারা কোনো প্রকার অনুকম্পা পাওয়ার যোগ্য নয়- এ বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে শিশু অপহরণ ও হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। অতি তুচ্ছ ঘটনা থেকে শুরু করে নানাবিধ কারণে অসহায় শিশুরা যেভাবে ঘাতকের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র, প্রতারক, প্রবঞ্চক ও দুর্বৃত্তদল, এমন কী গর্ভধারিণী মায়ের হাতেও নিষ্পাপ-নিরপরাধ শিশুরা এখন আর নিরাপদ নয়। রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে নবজাতকের মস্তক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। তবে শুধু শিশু অপহরণ ও হত্যার ঘটনা নয়, দেশে আরও নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়। দেশে থানার সংখ্যা বাড়লেও রাজধানীসহ শহর ও গ্রামাঞ্চলে অপরাধের ঘটনা হ্রাস না পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি তথা অপরাধ বৃদ্ধির খবর একদিকে যেমন স্বস্তিদায়ক নয়, অন্যদিকে অবধারিতভাবে যে প্রশ্নটি আমাদের সামনে চলে আসে, তা হল- আইনশৃংখলা বাহিনীর কাজটা কী তাহলে? ক্রমাগত অপরাধ সংঘটিত হবে, অথচ আইনশৃংখলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে- এটি কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দুঃখজনক হল, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাই এখন নানা অপরাধ কর্মে সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা অপরাধীদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। এমনিতেই দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। কোনো নিরপরাধ শিশু বা কিশোর যদি নৃশংস খুনের শিকার হয়, তাহলে তা মেনে নেয়া কষ্টকর। এ ধরনের হত্যা ও খুনের ঘটনায় জড়িতদের অপরাধ ক্ষমাহীন- এ কথা যেমন সত্য, তেমনি এক্ষেত্রে বাবা-মা ও পরিবারেরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি। এর ফলে অনেক অনভিপ্রেত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তবে পরিবারের এ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাষ্ট্রকেও তার নির্ধারিত ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশু অপহরণ ও হত্যার মতো ঘটনা যারা ঘটায়, তারা কোনো প্রকার অনুকম্পা পাওয়ার যোগ্য নয়- এ বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
No comments