জিকা ভাইরাস ঠেকাতে বিমানবন্দরসহ প্রবেশ পথে কড়াকড়ির নির্দেশ
জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক আবুল খায়ের মো. শামসুজ্জামান। কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উদ্যোগে আয়োজিত জিকা ভাইরাস সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বৈঠকে জিকা ভাইরাসের প্রতিরোধ, সংক্রামক রোধ বিষয়ে নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেছেন। জিকা ভাইরাস যুক্ত দেশের কোন রোগীকে বাংলাদেশের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশে কোনো রোগীকে সন্দেহ হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষারও নির্দেশ দেয়া হয়। মশা নিধনে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, এটা মারাত্মক অসুখ তৈরি করে না। সাধারণ সর্দি-কাশির মতো জ্বর হয়। দুই থেকে পাঁচদিনে ভালো হয়ে যায়। জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সতর্কতা জারির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল এই বৈঠক করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচাল অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষজ্ঞরা এতে মতামত তুলে ধরেন।
গত সোমবার বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু হয়েছে এবং তা ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। সংক্রমণটির মোকাবিলায় গোটা বিশ্বকে এক হতে হবে। গত বছর ইবোলার সংক্রমণ ঠেকাতে ডব্লিউএইচও যে সতর্কতা জারি করেছিল, এবার সেই একই মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে। এর মানে হলো, সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে গবেষণার গতি বাড়ানো হবে এবং প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা হবে। অবশ্য বাংলাদেশে এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের এখানে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। হলে একধরনের প্রস্তুতি, না হলে আরেক ধরনের প্রস্তুতি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এখন পর্যন্ত জিকার সংক্রমণ প্রতিরোধী কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। মশা থেকে দূরে থাকা ছাড়া এখন পর্যন্ত নিরাপদ আর কোনো পন্থা নেই মানুষের হাতে। বিশ্বের ২৩টি দেশে এখন পর্যন্ত জিকার সংক্রমণ ঘটেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতো লক্ষণ দেখা দেয়। দিনের বেলায় এডিস ইজিপ্ট মশার কামড়ে এ রোগ ছড়ায়। ডেঙ্গুর মতো এ রোগটি তীব্র ও প্রাণঘাতী নয়। চিকিৎসা না করালেও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে রোগটি গর্ভস্থ শিশুর জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
গত সোমবার বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু হয়েছে এবং তা ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। সংক্রমণটির মোকাবিলায় গোটা বিশ্বকে এক হতে হবে। গত বছর ইবোলার সংক্রমণ ঠেকাতে ডব্লিউএইচও যে সতর্কতা জারি করেছিল, এবার সেই একই মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে। এর মানে হলো, সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে গবেষণার গতি বাড়ানো হবে এবং প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা হবে। অবশ্য বাংলাদেশে এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের এখানে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। হলে একধরনের প্রস্তুতি, না হলে আরেক ধরনের প্রস্তুতি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এখন পর্যন্ত জিকার সংক্রমণ প্রতিরোধী কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। মশা থেকে দূরে থাকা ছাড়া এখন পর্যন্ত নিরাপদ আর কোনো পন্থা নেই মানুষের হাতে। বিশ্বের ২৩টি দেশে এখন পর্যন্ত জিকার সংক্রমণ ঘটেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতো লক্ষণ দেখা দেয়। দিনের বেলায় এডিস ইজিপ্ট মশার কামড়ে এ রোগ ছড়ায়। ডেঙ্গুর মতো এ রোগটি তীব্র ও প্রাণঘাতী নয়। চিকিৎসা না করালেও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে রোগটি গর্ভস্থ শিশুর জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
No comments