বাংলাদেশে কুমারী মা বা স্বীকৃতিহীন শিশুর আশ্রয় কোথায়?
বাংলাদেশে
কোনও অবিবাহিত মেয়ে যদি সন্তানের জন্ম দেন তাহলে তার এবং তার সেই
সন্তানের আশ্রয় কোথায় হবে, এটা এখন একটা বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও দেশটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, ধর্ষণের ফলে যদি কারো কোনও সন্তান হয়ে থাকে তাহলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রই নেবে।
কিন্তু এটাকে অনেক কঠিন এবং দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করছেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের কর্মকর্তা নীনা গোস্বামী।
এদেরকে সহায়তা বা আশ্রয় দেবার জন্যও যথাযথ কোনও ব্যবস্থাও বাংলাদেশে নেই বলে উল্লেখ করেন মিজ গোস্বামী।
বাংলাদেশে সরকারের ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু এতিমখানা আছে উল্লেখ করে মিজ গোস্বামী বলেন, যে সন্তান স্বীকৃতি পাচ্ছে না তার বাবা কে, তার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনও রাষ্ট্রীয় কাঠামোই কিন্তু গড়ে উঠেনি।
প্রসঙ্গটি সামনে আসে গত সোমবার ঢাকায় এক কুমারী মাতা তার নবজাতককে ছয় তলা ভবনের উপর থেকে ছুড়ে ফেলবার ঘটনা ঘটানোর পর।
ওই শিশুটি অবশ্য বিস্ময়করভাবে বেঁচে যায়।
পুলিশের বরাতে জানা যাচ্ছে, কুমারী এই মেয়েটিকে তার এক আত্মীয় ধর্ষণ করেছিল যার ফলশ্রুতিতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
তাই সন্তানটি প্রসব করবার পর মেয়েটি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া এড়াতেই শিশুটিকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে।
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ওই কিশোরীটি মনে করেছিল, এই সন্তানটি জন্ম দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা তাকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
নীনা গোস্বামী বলছেন, “পনের বছরের একটি শিশু যখন মা হয়ে যায়, সে কি জানে মায়ের মমত্ববোধটা কি? শরীর এবং মনে মা হওয়ার জন্য যে পরিপক্বতা আসার কথা সেটাই তার আসেনি। তার আগেই সে চাপিয়ে দেয়া মা হয়ে গেছে”।
“এই সমাজে থাকতে হলে যে পরিচয়টা তাকে দিতে হবে তার চাইতে হয়তো এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাই সে ভাল মনে করে এ ধরনের একটা পথ বেছে নিয়েছে”।
এর আগে গত বছরও একই রকম একটি ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে ঢাকায়।
সেবার অবশ্য বস্তায় মোড়া একটি শিশুকে একটি ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশুটিকে কুকুর কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছিল।
ওই শিশুটির মা কিংবা বাবার খোঁজ আজও মেলেনি।
তবে নীনা গোস্বামী বলছেন, সামাজিক কারণে শিশু ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটবার নজির বাংলাদেশে থাকলেও এটা খুব বেশী দেখা যায় না।
সুত্রঃ বিবিসি
যদিও দেশটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, ধর্ষণের ফলে যদি কারো কোনও সন্তান হয়ে থাকে তাহলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রই নেবে।
কিন্তু এটাকে অনেক কঠিন এবং দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করছেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের কর্মকর্তা নীনা গোস্বামী।
এদেরকে সহায়তা বা আশ্রয় দেবার জন্যও যথাযথ কোনও ব্যবস্থাও বাংলাদেশে নেই বলে উল্লেখ করেন মিজ গোস্বামী।
বাংলাদেশে সরকারের ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু এতিমখানা আছে উল্লেখ করে মিজ গোস্বামী বলেন, যে সন্তান স্বীকৃতি পাচ্ছে না তার বাবা কে, তার জন্য এখনো পর্যন্ত কোনও রাষ্ট্রীয় কাঠামোই কিন্তু গড়ে উঠেনি।
প্রসঙ্গটি সামনে আসে গত সোমবার ঢাকায় এক কুমারী মাতা তার নবজাতককে ছয় তলা ভবনের উপর থেকে ছুড়ে ফেলবার ঘটনা ঘটানোর পর।
ওই শিশুটি অবশ্য বিস্ময়করভাবে বেঁচে যায়।
পুলিশের বরাতে জানা যাচ্ছে, কুমারী এই মেয়েটিকে তার এক আত্মীয় ধর্ষণ করেছিল যার ফলশ্রুতিতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
তাই সন্তানটি প্রসব করবার পর মেয়েটি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া এড়াতেই শিশুটিকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে।
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ওই কিশোরীটি মনে করেছিল, এই সন্তানটি জন্ম দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা তাকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
নীনা গোস্বামী বলছেন, “পনের বছরের একটি শিশু যখন মা হয়ে যায়, সে কি জানে মায়ের মমত্ববোধটা কি? শরীর এবং মনে মা হওয়ার জন্য যে পরিপক্বতা আসার কথা সেটাই তার আসেনি। তার আগেই সে চাপিয়ে দেয়া মা হয়ে গেছে”।
“এই সমাজে থাকতে হলে যে পরিচয়টা তাকে দিতে হবে তার চাইতে হয়তো এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাই সে ভাল মনে করে এ ধরনের একটা পথ বেছে নিয়েছে”।
এর আগে গত বছরও একই রকম একটি ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে ঢাকায়।
সেবার অবশ্য বস্তায় মোড়া একটি শিশুকে একটি ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশুটিকে কুকুর কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছিল।
ওই শিশুটির মা কিংবা বাবার খোঁজ আজও মেলেনি।
তবে নীনা গোস্বামী বলছেন, সামাজিক কারণে শিশু ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটবার নজির বাংলাদেশে থাকলেও এটা খুব বেশী দেখা যায় না।
সুত্রঃ বিবিসি
No comments