সিটি নির্বাচন ও আমাদের ভাবনা by নজরুল ইসলাম
নির্বাচন
কমিশন ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম- এ তিন সিটি করপোরেশনের
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু
হয়েছে। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা। ঘোষিত তফসিল
অনুযায়ী তিনটি সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে ২৮ এপ্রিল।
মনোনয়নপত্র দাখিল ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ৯ এপ্রিল। সরকার যখন
তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা বলেছিল তখন অনেকে মনে করেছিলেন ২০ দলীয়
জোটের চলমান আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার সিটি নির্বাচনকে কৌশল
হিসেবে গ্রহণ করেছে। জনমনে প্রশ্ন ছিল সত্যিই কি সিটি করপোরেশন নির্বাচন
হবে? তফসিল ঘোষণার পর আর এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ রইল না। অবশেষে বহুল
প্রত্যাশিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে যে অরাজকতা চলছে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করা যাবে কি? যেখানে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বর্তমান সহিংসতার সূত্রপাত। ৭৫ দিন লাগাতার অবরোধ আর হরতালে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিদিনই মানুষ মরছে। যানবাহন পুড়ছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের সার্বিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব সংখ্যায় গণনা করার মতো নয়।
দেশের প্রতিটি খাতই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক মাসের পরীক্ষা শেষ হতে তিন মাস সময় লাগছে। হরতালে পেছাচ্ছে পরীক্ষা। সেশনজট তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যেখানে বলা হয়ে থাকে শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, সেই মেরুদন্ড আজ ভেঙে যাচ্ছে রাজনীতিবিদদের হীন স্বার্থের করাণে। একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য আর তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই।
আশঙ্কাজনকভাবে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, গুম, টেন্ডারবাজিসহ অসামাজিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছে। পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠছে। পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। জনতা আজ ডুকরে কাঁদছে।
এ অবস্থায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন কতটুকু সফল হয় তাই এখন দেখার বিষয়। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট সরকার পতনের অন্দোলন করছে। বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। জনমনে আশঙ্কা রয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তো। নাকি সংসদ নির্বাচনের মতো আবারও জাতি সিল মারার উৎসব পর্যবেক্ষণ করবে। আর এ নির্বাচনে যদি ওই অবস্থা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। যানবাহনে পেট্রলবোমার আতঙ্ক এখনও কাটেনি।
ঢাকা শহরে অনেক সমস্যা রয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, পানি সমস্যা, মশার যন্ত্রণাসহ অনেক সমস্যায় জর্জরিত বর্তমান ঢাকা। লোকে বলে- ঢাকা আর ঢাকা নেই, কোনো খানে ফাঁকা নেই। তারপরও ঢাকা শহরের আবাসন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না দীর্ঘদিন। ওয়াসার পানিতে ময়লা, দুর্গন্ধ। ওই পানি খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কোনো কোনো এলাকায় যথাসময়ে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। আশা করা যায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নির্বাচিত নগর পিতাসহ প্রতিনিধিরা এলে সাধারণ জনগণের সব সমস্যার সমাধান হবে।
সবাই আশা করছে, ঢাকার দুইটি ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পূর্ণ হবে। রাজধানী ও বন্দরনগরীর জনগণও বেছে নিতে পারবে তাদের যোগ্য প্রতিনিধি। বলার অপেক্ষা রাখে না, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন এমন সময় হতে যাচ্ছে, যখন দেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সমমনা ২০ দলীয় জোট সরকার পতনের লাগাতার অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। কোনো অনিয়ম বা কারচুপি হলে হয়তো নির্বাচন আবারও দীর্ঘদিন ঝুলে থাকতে পারে। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে জনগণ। থেমে যাবে উন্নয়নের গতিধারা। কোনোভাবেই যেন কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারে সে দিকে কমিশনকে কড়া নজর রাখতে হবে। আশা করা যায়, যদি ঠিকঠাক মতো সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখরভাবে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনটি সিটি নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা যায় তাহলে আবারও মহানগরগুলোতে উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুতগতি লাভ করবে।
বর্তমানে দেশে যে অরাজকতা চলছে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করা যাবে কি? যেখানে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বর্তমান সহিংসতার সূত্রপাত। ৭৫ দিন লাগাতার অবরোধ আর হরতালে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিদিনই মানুষ মরছে। যানবাহন পুড়ছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের সার্বিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব সংখ্যায় গণনা করার মতো নয়।
দেশের প্রতিটি খাতই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক মাসের পরীক্ষা শেষ হতে তিন মাস সময় লাগছে। হরতালে পেছাচ্ছে পরীক্ষা। সেশনজট তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যেখানে বলা হয়ে থাকে শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, সেই মেরুদন্ড আজ ভেঙে যাচ্ছে রাজনীতিবিদদের হীন স্বার্থের করাণে। একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য আর তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই।
আশঙ্কাজনকভাবে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, গুম, টেন্ডারবাজিসহ অসামাজিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছে। পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠছে। পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। জনতা আজ ডুকরে কাঁদছে।
এ অবস্থায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন কতটুকু সফল হয় তাই এখন দেখার বিষয়। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট সরকার পতনের অন্দোলন করছে। বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। জনমনে আশঙ্কা রয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তো। নাকি সংসদ নির্বাচনের মতো আবারও জাতি সিল মারার উৎসব পর্যবেক্ষণ করবে। আর এ নির্বাচনে যদি ওই অবস্থা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। যানবাহনে পেট্রলবোমার আতঙ্ক এখনও কাটেনি।
ঢাকা শহরে অনেক সমস্যা রয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, পানি সমস্যা, মশার যন্ত্রণাসহ অনেক সমস্যায় জর্জরিত বর্তমান ঢাকা। লোকে বলে- ঢাকা আর ঢাকা নেই, কোনো খানে ফাঁকা নেই। তারপরও ঢাকা শহরের আবাসন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না দীর্ঘদিন। ওয়াসার পানিতে ময়লা, দুর্গন্ধ। ওই পানি খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কোনো কোনো এলাকায় যথাসময়ে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। আশা করা যায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নির্বাচিত নগর পিতাসহ প্রতিনিধিরা এলে সাধারণ জনগণের সব সমস্যার সমাধান হবে।
সবাই আশা করছে, ঢাকার দুইটি ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পূর্ণ হবে। রাজধানী ও বন্দরনগরীর জনগণও বেছে নিতে পারবে তাদের যোগ্য প্রতিনিধি। বলার অপেক্ষা রাখে না, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন এমন সময় হতে যাচ্ছে, যখন দেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সমমনা ২০ দলীয় জোট সরকার পতনের লাগাতার অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। কোনো অনিয়ম বা কারচুপি হলে হয়তো নির্বাচন আবারও দীর্ঘদিন ঝুলে থাকতে পারে। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে জনগণ। থেমে যাবে উন্নয়নের গতিধারা। কোনোভাবেই যেন কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারে সে দিকে কমিশনকে কড়া নজর রাখতে হবে। আশা করা যায়, যদি ঠিকঠাক মতো সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখরভাবে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনটি সিটি নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা যায় তাহলে আবারও মহানগরগুলোতে উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুতগতি লাভ করবে।
No comments