সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি- মন্ত্রীর অসংযমী কথাবার্তা দুঃখজনক
বাংলাদেশের
নির্বাচনী সংস্কৃতিতে অনেক সময় সরকারদলীয় প্রভাবশালী নেতাদের বাড়াবাড়ি
বিশেষ করে বাক-অসংযম লক্ষ করা যায়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্দোলনের
নিউক্লিয়াস হিসেবে পরিচিত মাগুরার উপনির্বাচন থেকে সাম্প্রতিক কালের
গাজীপুরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রীদের তৎপরতা বিধিলঙ্ঘনের কথাই মনে
করিয়ে দেয়। সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছ থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও সংযত
আচরণ প্রত্যাশিত। কিন্তু এর বিপরীত ঘটলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের যে
পূর্বশর্ত, তা ব্যাহত হতে বাধ্য।
গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন মনে করেন, ‘তিনটি সিটি করপোরেশনে অবশ্যই যেকোনো প্রকারে হোক আমাদের জিততে হবে।’ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনটি আইনগতভাবে দলীয় ভিত্তিতে যে অনুষ্ঠিত হয় না, তার কতিপয় উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু দায়িত্বশীল কোনো মন্ত্রী যখন ‘যেকোনো প্রকারে’ জয়লাভ করার মতো প্রগলভ উক্তি করেন, তখন তা প্রশাসনে ও সমাজে ভুল বার্তা পৌঁছায়। এটি সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধির লঙ্ঘন।
সবার মনে রাখা উচিত, গভীরতর রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপির প্রচ্ছন্ন অংশগ্রহণে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। এখানে প্রথাগতভাবে বিদেশি পর্যবেক্ষক না থাকলেও নানা কারণে এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগের কেন্দ্রে আসতে পারে।
দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠান ও তার ফলাফল বিরাট ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মহলই আশা করবে, এই নির্বাচনের পরিবেশ যেন ক্ষমতাসীন দলের অতি উৎসাহীদের বাড়াবাড়ির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের সরাসরি প্রভাব নেই। এমনকি প্রভাব থাকলেও মন্ত্রীর মুখে ‘যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে জিততে হবে’ উক্তি মানায় না। ভোটারদের প্রতি ন্যূনতম আস্থা থাকলে কেউ এ ধরনের দায়িত্বহীন উক্তি করতে পারেন না।
নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে এ বিষয়ে আগেভাগেই কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। তাদের তরফে সরকারের প্রভাবশালীদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করা হলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তে পারে।
গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন মনে করেন, ‘তিনটি সিটি করপোরেশনে অবশ্যই যেকোনো প্রকারে হোক আমাদের জিততে হবে।’ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনটি আইনগতভাবে দলীয় ভিত্তিতে যে অনুষ্ঠিত হয় না, তার কতিপয় উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু দায়িত্বশীল কোনো মন্ত্রী যখন ‘যেকোনো প্রকারে’ জয়লাভ করার মতো প্রগলভ উক্তি করেন, তখন তা প্রশাসনে ও সমাজে ভুল বার্তা পৌঁছায়। এটি সুস্পষ্টভাবে আচরণবিধির লঙ্ঘন।
সবার মনে রাখা উচিত, গভীরতর রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপির প্রচ্ছন্ন অংশগ্রহণে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। এখানে প্রথাগতভাবে বিদেশি পর্যবেক্ষক না থাকলেও নানা কারণে এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগের কেন্দ্রে আসতে পারে।
দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠান ও তার ফলাফল বিরাট ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মহলই আশা করবে, এই নির্বাচনের পরিবেশ যেন ক্ষমতাসীন দলের অতি উৎসাহীদের বাড়াবাড়ির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের সরাসরি প্রভাব নেই। এমনকি প্রভাব থাকলেও মন্ত্রীর মুখে ‘যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে জিততে হবে’ উক্তি মানায় না। ভোটারদের প্রতি ন্যূনতম আস্থা থাকলে কেউ এ ধরনের দায়িত্বহীন উক্তি করতে পারেন না।
নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে এ বিষয়ে আগেভাগেই কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। তাদের তরফে সরকারের প্রভাবশালীদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করা হলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তে পারে।
No comments