আইনেও প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার সুযোগ আছে by সিরাজুস সালেকিন
প্রার্থিতা
ফিরে পাওয়ার আইনি সুযোগ রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট
ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মনোনয়নপত্র বাতিল
হওয়ার পর থেকেই তিনি রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। তার মনোনয়নপত্রে সমর্থনকারী
ব্যক্তি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার নন- এ কারণ দেখিয়ে আবদুল আউয়াল
মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তিনি।
স্থানীয় সরকার আইনের একটি ধারায় মিন্টু প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারেন বলে মনে করছেন তার আইনজীবীরা। এ ক্ষেত্রে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বিএনপিও। যদিও পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের স্বদিচ্ছার ওপর। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালা (সিটি করপোরেশন) ২০১০-এর ১৪এর (আ) অনুসারে ‘রিটার্নিং অফিসার গুরুতর নহে এইরূপ কোন ত্রুটির কারণে কোন মনোনয়নপত্র বাতিল করিবেন না এবং অনুরূপ ত্রুটি অবিলম্বে সংশোধন করিবার জন্য সুযোগ প্রদান করিতে পারিবেন।’
শুধু সমর্থনকারীর ‘অযোগ্যতার’ কারণে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টিকে লঘু অপরাধ বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। আপিল কর্তৃপক্ষের বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে মিন্টুর প্রার্থিতা। নতুন করে একজন বৈধ ব্যক্তি মিন্টুকে সমর্থন দিলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা মানবজমিনকে বলেন, রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ছিল এটা বাতিল ঘোষণা করা। কারণ সুস্পষ্টভাবে আইনে আছে। তবে রিটার্নিং অফিসার যদি কোন ভুল করে থাকেন সেজন্য আপিলের ব্যবস্থা আছে। আপিল কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে পারেন। আইনের সমপ্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ পরিচয়ের কারণে কাউকে যদি হয়রানি করা হয় কিংবা কাউকে সুবিধা দেয়া হয় তবে তা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
এ ঘটনায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বিধিমালা অনুসারে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সমাধানের সুযোগ ছিল। ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কমেন্ট করবো না। এটা কি কারণে বাতিল হয়েছে তা সবাই জানে। তারা আপিল করেছেন। আপিলের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাফসিরুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। আপিলের মাধ্যমে তার বাবা প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা দক্ষিণের একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের ভুল সংশোধন যোগ্য। ছোটখাটো ও সংশোধনযোগ্য ভুলের ক্ষেত্রে প্রার্থী, প্রস্তাবক ও সমর্থকদের তাৎক্ষণিক সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তাদের বেশির ভাগই ছিলেন ঋণখেলাপি বা ঋণের নিশ্চয়তা দানকারী এবং মামলার আসামি।
এ প্রসঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টুর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন মানবজমিনকে বলেন, মিন্টু সাহেব প্রার্থী হিসেবে যোগ্য। যে ভুল হয়েছে তা নগণ্য। এখানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ছিল বিষয়টি সংশোধনে সহায়তা করার। আশা করছি আপিলে মিন্টু সাহেব প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। আপিলে হারলে উচ্চ আদালতে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, আমরা এ ধরনের কোন চিন্তাই করছি না। কারণ আমরা বিশ্বাস করি আপিলের মাধ্যমেই আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রার্থিতা ফিরে পাবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম গত বুধবার বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। সমর্থনকারী ব্যক্তি আবদুর রাজ্জাক সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন ভোটার না হওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত দেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিন্টুর ভুল সংশোধন ও উপেক্ষাযোগ্য। এটি লঘু পাপে গুরু দণ্ডের শামিল। প্রার্থিতা ফিরে পেতে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমানের কাছে আপিল করা হয়। আজ বিকাল ৪টায় আপিল শুনানির কথা রয়েছে। আবদুল আউয়াল মিন্টুর পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত থাকবেন।
স্থানীয় সরকার আইনের একটি ধারায় মিন্টু প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারেন বলে মনে করছেন তার আইনজীবীরা। এ ক্ষেত্রে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বিএনপিও। যদিও পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের স্বদিচ্ছার ওপর। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালা (সিটি করপোরেশন) ২০১০-এর ১৪এর (আ) অনুসারে ‘রিটার্নিং অফিসার গুরুতর নহে এইরূপ কোন ত্রুটির কারণে কোন মনোনয়নপত্র বাতিল করিবেন না এবং অনুরূপ ত্রুটি অবিলম্বে সংশোধন করিবার জন্য সুযোগ প্রদান করিতে পারিবেন।’
শুধু সমর্থনকারীর ‘অযোগ্যতার’ কারণে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টিকে লঘু অপরাধ বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। আপিল কর্তৃপক্ষের বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে মিন্টুর প্রার্থিতা। নতুন করে একজন বৈধ ব্যক্তি মিন্টুকে সমর্থন দিলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা মানবজমিনকে বলেন, রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ছিল এটা বাতিল ঘোষণা করা। কারণ সুস্পষ্টভাবে আইনে আছে। তবে রিটার্নিং অফিসার যদি কোন ভুল করে থাকেন সেজন্য আপিলের ব্যবস্থা আছে। আপিল কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে পারেন। আইনের সমপ্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ পরিচয়ের কারণে কাউকে যদি হয়রানি করা হয় কিংবা কাউকে সুবিধা দেয়া হয় তবে তা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
এ ঘটনায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বিধিমালা অনুসারে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সমাধানের সুযোগ ছিল। ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কমেন্ট করবো না। এটা কি কারণে বাতিল হয়েছে তা সবাই জানে। তারা আপিল করেছেন। আপিলের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাফসিরুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। আপিলের মাধ্যমে তার বাবা প্রার্থিতা ফিরে পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা দক্ষিণের একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের ভুল সংশোধন যোগ্য। ছোটখাটো ও সংশোধনযোগ্য ভুলের ক্ষেত্রে প্রার্থী, প্রস্তাবক ও সমর্থকদের তাৎক্ষণিক সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তাদের বেশির ভাগই ছিলেন ঋণখেলাপি বা ঋণের নিশ্চয়তা দানকারী এবং মামলার আসামি।
এ প্রসঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টুর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন মানবজমিনকে বলেন, মিন্টু সাহেব প্রার্থী হিসেবে যোগ্য। যে ভুল হয়েছে তা নগণ্য। এখানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ছিল বিষয়টি সংশোধনে সহায়তা করার। আশা করছি আপিলে মিন্টু সাহেব প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। আপিলে হারলে উচ্চ আদালতে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খোকন বলেন, আমরা এ ধরনের কোন চিন্তাই করছি না। কারণ আমরা বিশ্বাস করি আপিলের মাধ্যমেই আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রার্থিতা ফিরে পাবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম গত বুধবার বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। সমর্থনকারী ব্যক্তি আবদুর রাজ্জাক সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন ভোটার না হওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত দেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিন্টুর ভুল সংশোধন ও উপেক্ষাযোগ্য। এটি লঘু পাপে গুরু দণ্ডের শামিল। প্রার্থিতা ফিরে পেতে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমানের কাছে আপিল করা হয়। আজ বিকাল ৪টায় আপিল শুনানির কথা রয়েছে। আবদুল আউয়াল মিন্টুর পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত থাকবেন।
No comments