পৃথিবীর বিষণ্নতম দেশ by হাসান ফেরদৌস
বাংলাদেশকে
অনেক নামেই ডাকা হয়েছে। সবচেয়ে দরিদ্র দেশ, সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ দেশ,
সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ দেশ, আরও কত কী! এখন এর সঙ্গে যুক্ত হলো পৃথিবীর
বিষণ্নতম দেশ। আমেরিকার জনমত জরিপকারী সংস্থা গ্যালপ বিশ্বের ১৪৩টি দেশের
মানুষের মধ্যে সমীক্ষা শেষে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে উরুগুয়ের মানুষ
পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী। সবচেয়ে দুঃখী মানুষ হলো সিরিয়া ও সুদানের। বাংলাদেশ
একদম তলানি থেকে তিন নম্বরে।
সুখ বোধ হয় অঙ্ক কষে হিসাব করা সম্ভব নয়। কোনো দাঁড়িপাল্লা নেই, যা ধরে মেপে বলা যাবে কে সুখী, কে অসুখী। তা ছাড়া, সবার কাছে সুখের ব্যাপারটা এক রকমও নয়। একজন তিন বেলা পেটপুরে খেতে পেলেই সুখী, অন্যজন সারা পৃথিবীর সম্পদ হাতের থাবার নিচে রেখেও সুখী নয়, তার আরও চাই। কিন্তু তাই বলে মোটা দাগে কে সুখী, কে অসুখী তা বোঝা যাবে না, তা হয়তো নয়। গ্যালপ ব্যাপারটা ওই মোটা দাগেই ধরার চেষ্টা করেছে। মোট ১৪৩টি দেশের হাজার খানেক মানুষের কাছে তারা পাঁচটি প্রশ্ন রেখেছিল: তোমরা কি বিশ্রামের সময় পাও? তোমাদের সঙ্গে কি সম্মানজনক ব্যবহার করা হয়? প্রচুর হাসো? আনন্দ বোধ করো? তোমরা কি গতকাল নতুন কিছু শিখেছ বা মজার কিছু করেছ?
তেমন পণ্ডিতি-মার্কা কোনো প্রশ্ন নয়। মোটের ওপর দৈনন্দিন জীবনে আমরা কে কী রকম জীবন কাটাই, অর্থাৎ জীবনের গুণাগুণ কেমন, গ্যালপ সে বিষয়টিই ধরতে চেয়েছে। এসব প্রশ্নের যত ‘হ্যাঁ’ জবাব মিলেছে, তারই যোগফল টেনে তারা নির্ধারণ করেছে কারা সুখী, কারা সুখী নয়।
২০১৩ সালে সবচেয়ে অসুখী দেশ ছিল সিরিয়া। তাদের মোট ইতিবাচক নম্বর ছিল মোটে ৩৬। ২০১৪-তেও তারা সম্ভবত সবচেয়ে অসুখী হবে, কিন্তু যথাসময়ে সিরিয়ার পরিসংখ্যানগুলো মেলেনি, ফলে তালিকায় তাদের নাম নেই। সেখানে সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে নাম এসেছে সুদানের।
সুদান বা সিরিয়া যে অসুখী দেশ, তার পেছনে সংগত কারণ রয়েছে। দুটি দেশই গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত, দেশের অর্ধেকের বেশি লোক হয় উদ্বাস্তু, নয়তো দেশের ভেতরেই স্থানচ্যুত। না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে, ঠান্ডায় ধুঁকছে, এমন লোকের সংখ্যা অগুনতি। যারা বহাল তবিয়তে আছে, তাদের পক্ষেও খুব সুখে থাকা সম্ভব নয়। আজ ভালো কিন্তু কাল যে ভালো থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় গ্যালপ যে পাঁচটি প্রশ্ন নিয়ে সুখ-অসুখ বিচার করতে গেছে, তাতে সিরিয়া বা সুদানের কম নম্বর পেয়ে ফেল করারই কথা।
যে তিন বছর ধরে গ্যালপ এই সুখ-অসুখের হিসাব নিচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ প্রতিবছরই একটু একটু করে নিচের দিকে নেমে এসেছে। ২০১২ সালে তাদের ইতিবাচক নম্বর ছিল ৬১। ২০১৩ সালে তা নেমে এসে দাঁড়াল ৫৮। আর গত বছর, অর্থাৎ ২০১৪ সালে নম্বর জুটেছে ৫৪। আমি নিশ্চয় করে বলতে পারি, এই বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালে যদি সমীক্ষা চালানো হতো, বাংলাদেশের ইতিবাচক নম্বর ঢের কমে যেত এবং তা সিরিয়া বা সুদানের চেয়ে খুব বেশি হেরফের হতো না।
আপনারাই বলুন। এই বছরের গোড়া থেকে শুরু হয়েছে লাগাতার অবরোধ ও ধর্মঘট। কর্মস্থলে যাওয়ার উপায় নেই। যারা বাধ্য হয়ে যাচ্ছে, নিজের জান হাতে নিয়ে যেতে হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে ওঠার জোগাড়। ছেলেপুলে সারা বছর প্রস্তুতি নিয়েছে, পরীক্ষার মাসে এসেও সেই হরতাল। খুব অবোধ ও নীতিহীন মানুষ না হলে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ কারও করার কথা নয়। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে জেতায় ফুর্তি করতে হরতাল বাতিল করা গেল, কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার্থীর স্বার্থ কারও মাথায় ঢুকল না। এমন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য নেতারা দেশের মসনদে চেপে বসলে কী মহা দুর্যোগ ঘটবে, তা বোঝা কারও পক্ষে দুষ্কর নয়।
সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষ, যাদের দিন এনে দিনে খেতে হয়। আমি এএফপির পাঠানো একটি প্রতিবেদন দেখেছি। তাতে এক দুধওয়ালার কথা বলা হয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সে দুধ বিক্রি করতে শহরের বাজারে যেতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে বালতিভর্তি দুধ নিয়ে সে নদীতে ফেলছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে হালের গরুগুলোকে দানা-পানি দেবে, তাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ‘কী করব, হয় গরু বেচে দিতে হবে, নয়তো জবাই করে মাংস বিক্রি করতে হবে’, মাথায় হাত দিয়ে সে বেচারা সাংবাদিককে জানিয়েছে। সে একা নয়, তার গ্রামে যে শ দেড়েক গোয়ালা আছে, তাঁদের সবার একই অবস্থা।
এএফপির সেই সাংবাদিক গাটখালী নামের এক গ্রামে গিয়েছিলেন। সে গ্রামের মানুষ ফুল চাষের জন্য সুপরিচিত। ভ্যালেন্টাইনস ডের জন্য বিস্তর খাটাখাটুনি করে ফুল বিক্রির জোগাড়-যন্তর হয়েছিল। হরতালের জন্য মাঠে মাঠেই শুকালো সব ফুল।
যারা হরতাল-অবরোধ ডেকে ঘরে হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমোয়, অথবা স্টার টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখে, তাদের কথা আলাদা। তাদের রুটি-রুজির ঝামেলা নেই। এই, কোই হ্যায়, বললেই খানা এসে হাজির। ছেলেপুলের পরীক্ষা নিয়েও মাথাব্যথা নেই। তারা হয়তো বিলেতে বা আমেরিকায়, নয়তো সোফায় দুই পা তুলে ক্রিকেট দেখছে। যত সমস্যা ওই গরিব-গুর্বোদের নিয়ে। অনুমান করি, গ্যালপের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের নেতাদের প্রশ্ন না করে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়েছিলেন সুখের হিসাব নিতে। ফলে নম্বর যে ৫৪-তে ঠেকেছে, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে?
অথচ দেখুন, ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন ‘হ্যাপিয়েস্ট প্ল্যানেট’ নামে যে জরিপ চালায়, তাতে দেখা গেল বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের তালিকায় সবার ওপর থেকে ১১ নম্বরে। সে সময় থেকে আজকের বাংলাদেশের তফাতটা কোথায়, তা বোঝা কারও জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়। তখন হরতাল ছিল না, হররোজ পেট্রলবোমা ছিল না। সে জরিপেও সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতাই হিসাবে ধরা হয়েছিল, তাদের দৈনন্দিন সুখ, আয়ুষ্কাল ও পরিবেশগত অভিজ্ঞতা—এই তিন বিষয় নিয়ে দেশের মানুষের মোদ্দা অবস্থা, তাদের ভালো-মন্দ নির্ণয় করা হয়েছিল।
হায়, কবে আসবে সেই সময়, যখন আমাদের নেতা-নেত্রীরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা না করে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে রাজনীতির ঘুঁটি চালবেন! আর আমরা বা কবে এঁদের পেছনে ছাতি নিয়ে হাঁটা বন্ধ করব!
হাসান ফেরদৌস: নিউইয়র্কে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি।
সুখ বোধ হয় অঙ্ক কষে হিসাব করা সম্ভব নয়। কোনো দাঁড়িপাল্লা নেই, যা ধরে মেপে বলা যাবে কে সুখী, কে অসুখী। তা ছাড়া, সবার কাছে সুখের ব্যাপারটা এক রকমও নয়। একজন তিন বেলা পেটপুরে খেতে পেলেই সুখী, অন্যজন সারা পৃথিবীর সম্পদ হাতের থাবার নিচে রেখেও সুখী নয়, তার আরও চাই। কিন্তু তাই বলে মোটা দাগে কে সুখী, কে অসুখী তা বোঝা যাবে না, তা হয়তো নয়। গ্যালপ ব্যাপারটা ওই মোটা দাগেই ধরার চেষ্টা করেছে। মোট ১৪৩টি দেশের হাজার খানেক মানুষের কাছে তারা পাঁচটি প্রশ্ন রেখেছিল: তোমরা কি বিশ্রামের সময় পাও? তোমাদের সঙ্গে কি সম্মানজনক ব্যবহার করা হয়? প্রচুর হাসো? আনন্দ বোধ করো? তোমরা কি গতকাল নতুন কিছু শিখেছ বা মজার কিছু করেছ?
তেমন পণ্ডিতি-মার্কা কোনো প্রশ্ন নয়। মোটের ওপর দৈনন্দিন জীবনে আমরা কে কী রকম জীবন কাটাই, অর্থাৎ জীবনের গুণাগুণ কেমন, গ্যালপ সে বিষয়টিই ধরতে চেয়েছে। এসব প্রশ্নের যত ‘হ্যাঁ’ জবাব মিলেছে, তারই যোগফল টেনে তারা নির্ধারণ করেছে কারা সুখী, কারা সুখী নয়।
২০১৩ সালে সবচেয়ে অসুখী দেশ ছিল সিরিয়া। তাদের মোট ইতিবাচক নম্বর ছিল মোটে ৩৬। ২০১৪-তেও তারা সম্ভবত সবচেয়ে অসুখী হবে, কিন্তু যথাসময়ে সিরিয়ার পরিসংখ্যানগুলো মেলেনি, ফলে তালিকায় তাদের নাম নেই। সেখানে সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে নাম এসেছে সুদানের।
সুদান বা সিরিয়া যে অসুখী দেশ, তার পেছনে সংগত কারণ রয়েছে। দুটি দেশই গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত, দেশের অর্ধেকের বেশি লোক হয় উদ্বাস্তু, নয়তো দেশের ভেতরেই স্থানচ্যুত। না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে, ঠান্ডায় ধুঁকছে, এমন লোকের সংখ্যা অগুনতি। যারা বহাল তবিয়তে আছে, তাদের পক্ষেও খুব সুখে থাকা সম্ভব নয়। আজ ভালো কিন্তু কাল যে ভালো থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় গ্যালপ যে পাঁচটি প্রশ্ন নিয়ে সুখ-অসুখ বিচার করতে গেছে, তাতে সিরিয়া বা সুদানের কম নম্বর পেয়ে ফেল করারই কথা।
যে তিন বছর ধরে গ্যালপ এই সুখ-অসুখের হিসাব নিচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ প্রতিবছরই একটু একটু করে নিচের দিকে নেমে এসেছে। ২০১২ সালে তাদের ইতিবাচক নম্বর ছিল ৬১। ২০১৩ সালে তা নেমে এসে দাঁড়াল ৫৮। আর গত বছর, অর্থাৎ ২০১৪ সালে নম্বর জুটেছে ৫৪। আমি নিশ্চয় করে বলতে পারি, এই বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালে যদি সমীক্ষা চালানো হতো, বাংলাদেশের ইতিবাচক নম্বর ঢের কমে যেত এবং তা সিরিয়া বা সুদানের চেয়ে খুব বেশি হেরফের হতো না।
আপনারাই বলুন। এই বছরের গোড়া থেকে শুরু হয়েছে লাগাতার অবরোধ ও ধর্মঘট। কর্মস্থলে যাওয়ার উপায় নেই। যারা বাধ্য হয়ে যাচ্ছে, নিজের জান হাতে নিয়ে যেতে হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে ওঠার জোগাড়। ছেলেপুলে সারা বছর প্রস্তুতি নিয়েছে, পরীক্ষার মাসে এসেও সেই হরতাল। খুব অবোধ ও নীতিহীন মানুষ না হলে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ কারও করার কথা নয়। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে জেতায় ফুর্তি করতে হরতাল বাতিল করা গেল, কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার্থীর স্বার্থ কারও মাথায় ঢুকল না। এমন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য নেতারা দেশের মসনদে চেপে বসলে কী মহা দুর্যোগ ঘটবে, তা বোঝা কারও পক্ষে দুষ্কর নয়।
সবচেয়ে বিপদে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষ, যাদের দিন এনে দিনে খেতে হয়। আমি এএফপির পাঠানো একটি প্রতিবেদন দেখেছি। তাতে এক দুধওয়ালার কথা বলা হয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সে দুধ বিক্রি করতে শহরের বাজারে যেতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে বালতিভর্তি দুধ নিয়ে সে নদীতে ফেলছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে হালের গরুগুলোকে দানা-পানি দেবে, তাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ‘কী করব, হয় গরু বেচে দিতে হবে, নয়তো জবাই করে মাংস বিক্রি করতে হবে’, মাথায় হাত দিয়ে সে বেচারা সাংবাদিককে জানিয়েছে। সে একা নয়, তার গ্রামে যে শ দেড়েক গোয়ালা আছে, তাঁদের সবার একই অবস্থা।
এএফপির সেই সাংবাদিক গাটখালী নামের এক গ্রামে গিয়েছিলেন। সে গ্রামের মানুষ ফুল চাষের জন্য সুপরিচিত। ভ্যালেন্টাইনস ডের জন্য বিস্তর খাটাখাটুনি করে ফুল বিক্রির জোগাড়-যন্তর হয়েছিল। হরতালের জন্য মাঠে মাঠেই শুকালো সব ফুল।
যারা হরতাল-অবরোধ ডেকে ঘরে হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমোয়, অথবা স্টার টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখে, তাদের কথা আলাদা। তাদের রুটি-রুজির ঝামেলা নেই। এই, কোই হ্যায়, বললেই খানা এসে হাজির। ছেলেপুলের পরীক্ষা নিয়েও মাথাব্যথা নেই। তারা হয়তো বিলেতে বা আমেরিকায়, নয়তো সোফায় দুই পা তুলে ক্রিকেট দেখছে। যত সমস্যা ওই গরিব-গুর্বোদের নিয়ে। অনুমান করি, গ্যালপের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের নেতাদের প্রশ্ন না করে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়েছিলেন সুখের হিসাব নিতে। ফলে নম্বর যে ৫৪-তে ঠেকেছে, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে?
অথচ দেখুন, ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন ‘হ্যাপিয়েস্ট প্ল্যানেট’ নামে যে জরিপ চালায়, তাতে দেখা গেল বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের তালিকায় সবার ওপর থেকে ১১ নম্বরে। সে সময় থেকে আজকের বাংলাদেশের তফাতটা কোথায়, তা বোঝা কারও জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়। তখন হরতাল ছিল না, হররোজ পেট্রলবোমা ছিল না। সে জরিপেও সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতাই হিসাবে ধরা হয়েছিল, তাদের দৈনন্দিন সুখ, আয়ুষ্কাল ও পরিবেশগত অভিজ্ঞতা—এই তিন বিষয় নিয়ে দেশের মানুষের মোদ্দা অবস্থা, তাদের ভালো-মন্দ নির্ণয় করা হয়েছিল।
হায়, কবে আসবে সেই সময়, যখন আমাদের নেতা-নেত্রীরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা না করে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে রাজনীতির ঘুঁটি চালবেন! আর আমরা বা কবে এঁদের পেছনে ছাতি নিয়ে হাঁটা বন্ধ করব!
হাসান ফেরদৌস: নিউইয়র্কে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি।
No comments