শেয়ারের কোটি টাকাই কাল হলো শীতাংশু পরিবারের by রুদ্র মিজান
বাংলাদেশ
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এর উপ-পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের
বাসায় হামলা ও তার স্ত্রী হত্যাকারীর নাম-পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে
পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শীতাংশুর কোটি টাকা আত্মসাতের জন্যই পরিকল্পিতভাবে
এই হামলা চালানো হয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়েছেন রাজধানীর
মেট্রোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন শীতাংশু শেখর বিশ্বাস। এ ঘটনায়
শীতাংশুর স্ত্রী মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডল
মারা গেছেন তা জানেন না তাদের দুই সন্তান শ্রাবণী শ্রুতি ও অদ্রিতা বিশ্বাস
অদৃতি। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই তাদের তা জানানো হয়নি। ঘটনার পর থেকে
ওই রাতের কথা স্মরণ হলেই ভয়ে শিউরে ওঠে শ্রুতি ও অদৃতি।
শীতাংশুর স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের। গুলশানের হাজী আহমেদ সিকিউরিটিজ নামের ব্রোকার হাউজের ম্যানেজার জহিরুলের উৎসাহে তিনি শেয়ারবাজারে বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। শেয়ার বেচা-কেনার কাজে তিনি জহিরুলের সহযোগিতা নিতেন। যে কারণে জহিরুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের সুবাধে এই ঘটনার আগেও কয়েকবার মোহাম্মদপুরে শীতাংশুর ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিল জহিরুল। ঘটনার দিন গত ৩০শে মার্চ রাতে ইন্টারকম থেকে কল দেয়ার আগে মোবাইলফোনে শীতাংশুর সঙ্গে কথা বলেছিল জহিরুল। এ বিষয়ে শীতাংশুর স্ত্রী নিহত কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডলের বোন দীপা মল্লিক জানান, শীতাংশু তাদের জানিয়েছেন জহিরুল এত রাতে তার বাসায় আসুক তা তিনি চাননি। সে যখন ফোনে বাসায় আসার বিষয়টি জানায় তখন শীতাংশু তাকে বলেছিলেন, বাসায় আসার দরকার কি বরং আগামীকাল অফিসে আসেন। কিন্তু এ কথায় থেমে থাকেনি জহিরুল। সে বলেছে, কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা জানানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমাকে। আপনার জন্মদিন চলে গেছে শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি। এতেই সমস্যায় আছি আমি। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আপনি আমার খুব কাছের মানুষ। প্লিজ, আপনি আপত্তি করবেন না। এভাবেই শীতাংশুর অনুমতি নিয়েই মোহাম্মদপুরের ওই বাড়িতে যায় জহিরুল। সেখানে নিরাপত্তাকর্মীরা শীতাংশুর অনুমতি নিয়েই তাকে ফ্ল্যাটে যেতে দেন। তারপরই ঘটে এ ঘটনা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শীতাংশুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্রাবণী বিশ্বাস শ্রুতি। গতকাল দুপুরে কথা হয় তার সঙ্গে। রোমহর্ষক সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শ্রুতি। সে জানায় কেক, জুস ও একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে জহিরুল। তার পরনে ছিল কালো কোট ও প্যান্ট। বাসায় ঢোকেই জন্মদিন পালনের জন্য সবাইকে ড্রয়িং রুমে ডেকে নেয় সে। ওই সময়ে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ বলে জন্মদিনের কেক কাটা হয়। শীতাংশু শেখর বিশ্বাস ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডলের মুখে কেক তুলে দেয় জহিরুল। কেক খেয়ে শোয়ার কক্ষে চলে যান কৃষ্ণা ও শ্রুতি। তখন শীতাংশুর সঙ্গে বসে কথা বলছিল জহিরুল। পাশে ছিল শীতাংশুর ছোট কন্যা অদ্রিতা বিশ্বাস অদৃতি। অদৃতি জানিয়েছে, গ্লাসে জুস ঢেলে দিয়ে শীতাংশুকে তা পান করাচ্ছিল জহিরুল। এর মধ্যেই একটা কাগজে শীতাংশুর স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করে জহিরুল। তখন শীতাংশুকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে প্রায় অচেতন হয়ে সোফা থেকে নিচে পড়ে যান শীতাংশু। তখন জহিরুলই বৌদি বলে চিৎকার করে কৃষ্ণাকে ডাকে। কৃষ্ণা ও শ্রুতি এগিয়ে গেলে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়। আঘাতে শ্রুতির বাম হাতের আঙুল কেটে যায়। হাতুড়ি দিয়ে আট বছর বয়সী অদৃতিকে আঘাত করে জহিরুল। রক্তাক্ত কৃষ্ণা তখন জহিরুলকে অনুনয় করেন তাদের না মারার জন্য। তারপর দ্রুত শোয়ার কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় শ্রুতি। ওই সময়ে স্কুলের ব্যাগ থেকে নিজের মোবাইলফোনটি বের করে খুলনায় তার নানাকে কল করে বিষয়টি জানায় সে। বেশ কিছুক্ষণ পরে দরজা খুলে শ্রুতি দেখতে পায় ড্রয়িং রুমে আগুন জ্বলছে। আগুনে পড়ে আছেন তার মা কৃষ্ণা। এক পাশে রক্তাক্ত প্রায় অচেতন শীতাংশু ও অদৃতি। ওই সময়ে শ্রুতি দরজা খোলে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনকে ডাকে। আগুন আগুন বলে চিৎকার করে সে। তারপরই আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
তারপর কি হয়ে তা জানা নেই শ্রুতি ও অদৃতির। তারা জানে না ওই রাতেই তাদের মা কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডল চিরদিনের মতো পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। এ বিষয়ে শ্রুতির চাচাতো ভাই সব্যসাচী বিশ্বাস বলেন, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই শ্রুতি ও অদৃতিকে তা জানানো হয়নি। তারা সুস্থ হয়ে উঠলে তবেই তা জানানো হবে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন শীতাংশুর বড় ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস। এ বিষয়ে ওই মামলার তদন্তকারী মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে শেয়ারবাজারে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জহিরুলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জহিরুলের পল্লবীর বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একমাত্র আসামি কে এম জহিরুল ইসলাম ওরফে পলাশ। সে পল্লবীর ১৪ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতো। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুরের ২৩০ স্কাইভিউ সাধুরনীড়। তার পিতার নাম কেএম শহীদুল ইসলাম।
স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডল ও দুই কন্যা শ্রুতি এবং অদ্রিতাকে নিয়ে ইকবাল রোডের ৩/১২ নম্বর পাঁচ তলা বাড়ির দু’তলার ফ্ল্যাটে থাকেন বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাস। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার ডহর গ্রামে। তার পিতার নাম যতীন্দ্র নাথ বিশ্বাস। গত ৩০শে মার্চ রাতে ওই বাসাতেই হত্যা করা হয় শীতাংশুর স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডলকে। এ ঘটনায় আহত শীতাংশু ও তার দুই কন্যা মেট্রোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
শীতাংশুর স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের। গুলশানের হাজী আহমেদ সিকিউরিটিজ নামের ব্রোকার হাউজের ম্যানেজার জহিরুলের উৎসাহে তিনি শেয়ারবাজারে বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। শেয়ার বেচা-কেনার কাজে তিনি জহিরুলের সহযোগিতা নিতেন। যে কারণে জহিরুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের সুবাধে এই ঘটনার আগেও কয়েকবার মোহাম্মদপুরে শীতাংশুর ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিল জহিরুল। ঘটনার দিন গত ৩০শে মার্চ রাতে ইন্টারকম থেকে কল দেয়ার আগে মোবাইলফোনে শীতাংশুর সঙ্গে কথা বলেছিল জহিরুল। এ বিষয়ে শীতাংশুর স্ত্রী নিহত কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডলের বোন দীপা মল্লিক জানান, শীতাংশু তাদের জানিয়েছেন জহিরুল এত রাতে তার বাসায় আসুক তা তিনি চাননি। সে যখন ফোনে বাসায় আসার বিষয়টি জানায় তখন শীতাংশু তাকে বলেছিলেন, বাসায় আসার দরকার কি বরং আগামীকাল অফিসে আসেন। কিন্তু এ কথায় থেমে থাকেনি জহিরুল। সে বলেছে, কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা জানানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমাকে। আপনার জন্মদিন চলে গেছে শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি। এতেই সমস্যায় আছি আমি। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আপনি আমার খুব কাছের মানুষ। প্লিজ, আপনি আপত্তি করবেন না। এভাবেই শীতাংশুর অনুমতি নিয়েই মোহাম্মদপুরের ওই বাড়িতে যায় জহিরুল। সেখানে নিরাপত্তাকর্মীরা শীতাংশুর অনুমতি নিয়েই তাকে ফ্ল্যাটে যেতে দেন। তারপরই ঘটে এ ঘটনা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শীতাংশুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্রাবণী বিশ্বাস শ্রুতি। গতকাল দুপুরে কথা হয় তার সঙ্গে। রোমহর্ষক সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শ্রুতি। সে জানায় কেক, জুস ও একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে জহিরুল। তার পরনে ছিল কালো কোট ও প্যান্ট। বাসায় ঢোকেই জন্মদিন পালনের জন্য সবাইকে ড্রয়িং রুমে ডেকে নেয় সে। ওই সময়ে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ বলে জন্মদিনের কেক কাটা হয়। শীতাংশু শেখর বিশ্বাস ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডলের মুখে কেক তুলে দেয় জহিরুল। কেক খেয়ে শোয়ার কক্ষে চলে যান কৃষ্ণা ও শ্রুতি। তখন শীতাংশুর সঙ্গে বসে কথা বলছিল জহিরুল। পাশে ছিল শীতাংশুর ছোট কন্যা অদ্রিতা বিশ্বাস অদৃতি। অদৃতি জানিয়েছে, গ্লাসে জুস ঢেলে দিয়ে শীতাংশুকে তা পান করাচ্ছিল জহিরুল। এর মধ্যেই একটা কাগজে শীতাংশুর স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করে জহিরুল। তখন শীতাংশুকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে প্রায় অচেতন হয়ে সোফা থেকে নিচে পড়ে যান শীতাংশু। তখন জহিরুলই বৌদি বলে চিৎকার করে কৃষ্ণাকে ডাকে। কৃষ্ণা ও শ্রুতি এগিয়ে গেলে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়। আঘাতে শ্রুতির বাম হাতের আঙুল কেটে যায়। হাতুড়ি দিয়ে আট বছর বয়সী অদৃতিকে আঘাত করে জহিরুল। রক্তাক্ত কৃষ্ণা তখন জহিরুলকে অনুনয় করেন তাদের না মারার জন্য। তারপর দ্রুত শোয়ার কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় শ্রুতি। ওই সময়ে স্কুলের ব্যাগ থেকে নিজের মোবাইলফোনটি বের করে খুলনায় তার নানাকে কল করে বিষয়টি জানায় সে। বেশ কিছুক্ষণ পরে দরজা খুলে শ্রুতি দেখতে পায় ড্রয়িং রুমে আগুন জ্বলছে। আগুনে পড়ে আছেন তার মা কৃষ্ণা। এক পাশে রক্তাক্ত প্রায় অচেতন শীতাংশু ও অদৃতি। ওই সময়ে শ্রুতি দরজা খোলে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনকে ডাকে। আগুন আগুন বলে চিৎকার করে সে। তারপরই আশপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
তারপর কি হয়ে তা জানা নেই শ্রুতি ও অদৃতির। তারা জানে না ওই রাতেই তাদের মা কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডল চিরদিনের মতো পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। এ বিষয়ে শ্রুতির চাচাতো ভাই সব্যসাচী বিশ্বাস বলেন, পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই শ্রুতি ও অদৃতিকে তা জানানো হয়নি। তারা সুস্থ হয়ে উঠলে তবেই তা জানানো হবে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন শীতাংশুর বড় ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস। এ বিষয়ে ওই মামলার তদন্তকারী মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে শেয়ারবাজারে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জহিরুলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জহিরুলের পল্লবীর বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একমাত্র আসামি কে এম জহিরুল ইসলাম ওরফে পলাশ। সে পল্লবীর ১৪ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতো। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুরের ২৩০ স্কাইভিউ সাধুরনীড়। তার পিতার নাম কেএম শহীদুল ইসলাম।
স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডল ও দুই কন্যা শ্রুতি এবং অদ্রিতাকে নিয়ে ইকবাল রোডের ৩/১২ নম্বর পাঁচ তলা বাড়ির দু’তলার ফ্ল্যাটে থাকেন বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাস। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার ডহর গ্রামে। তার পিতার নাম যতীন্দ্র নাথ বিশ্বাস। গত ৩০শে মার্চ রাতে ওই বাসাতেই হত্যা করা হয় শীতাংশুর স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডলকে। এ ঘটনায় আহত শীতাংশু ও তার দুই কন্যা মেট্রোপলিটন মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
No comments