মহাসড়কে শঙ্কা-ভয় by মাহমুদ মানজুর
নাশকতা এড়াতে মহাসড়কে পুলিশ পাহারা |
রাতে
বাস চালাতে নিষেধাজ্ঞা। কারণ- নিরাপত্তা। হরতাল-অবরোধে দিনেও মহাসড়কে
শঙ্কা-ভয়। ভয় আর আতঙ্ক নিয়েই রাস্তায় নামানো হচ্ছে কিছু যানবাহন। কিন্তু
এতে প্রত্যাশামতো যাত্রী মিলছে না। আতঙ্কে পারতপক্ষে মানুষ দূর গন্তব্যে
যেতে বাসে উঠছেন না। রাজধানীর প্রধান তিনটি বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে,
সব মিলিয়ে ২০ ভাগ যানবাহনও ছাড়ে না। দিনে হাতেগোনা বাস চললেও যাত্রী পাওয়া
যাচ্ছে না। আর রাতে পুরোই বন্ধ থাকছে দূরপাল্লার বাস। এমন অবস্থায় পরিবহন
মালিক এবং শ্রমিকরা পড়ছেন চরম বিপাকে। ঢাকা-দিনাজপুর রুটের বাবলু পরিবহনের
হেলপার মণ্ডল বলেন, মালিকের নিষেধ আছে হরতালে গাড়ি না চালানোর। মালিক চান
না তার ৮০ লাখ টাকা দামের গাড়িটি পেট্রলবোমায় ছাই হয়ে যাক। মণ্ডল অসহায়ের
সুরে বলেন, কথা ছিল কাল হরতাল শেষ হলে সন্ধ্যায় গাড়ি নিয়ে যাবো। কিন্তু
হরতাল তো এখন শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ছে। বেতনের টাকাও শেষ। এখন খাবো কি?
বউ-বাচ্চাকে খাওয়াবো কি? কিছু মাথায় ধরে না। এদিকে নগরীর মিরপুর রোডের মৃদু
জ্যাম পেরিয়ে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে পা রাখতেই চোখে পড়ে পুরো
বিপরীত দৃশ্য। থরে থরে গাড়ি সাজানো টার্মিনালজুড়ে। নেই টিকিট বিক্রেতা
অথবা বাস হেলপারের হাঁকডাক। কাউন্টার সবই খোলা। যাত্রীশূন্য পুরো
টার্মিনাল। কাউন্টার ম্যানেজারদের কেউ পত্রিকা পড়ছেন। কেউবা বাসের
ড্রাইভার-হেলপারদের সঙ্গে গল্পে মেতেছেন। কথা হয় হানিফ এন্টারপ্রাইজের
ম্যানেজারের সঙ্গে। তার তথ্য মতে, সারা দিনে এখন হানিফ এন্টারপ্রাইজের গড়ে
১৫ থেকে ২০টি গাড়ি গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে দিনে-রাতে
মিলিয়ে এ রুটে ন্যূনতম শতাধিক গাড়ি ছেড়ে যেতো। এ টার্মিনালের আরেক জনপ্রিয়
পরিবহন শ্যামলী। এ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজারও বলেন, ভাই এ হরতাল-অবরোধে
আমাদের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আর কেউ না। আমরাই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত। যাত্রী নাই,
গাড়ি চলে না। আমাদের সংসার তো দূরের কথা চা-পানির পয়সাটাও মাঝেমধ্যে হয়
না। দেড় মাস হলো ধার করে চলি আর টার্মিনালে বসে মাছি মারি। গাবতলী
টার্মিনাল ঘুরে এবং পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়,
হরতাল-অবরোধের প্রথম দিকে দিনের বেলায় যাত্রী কম হলেও রাতের দিকে ভালই
যাত্রী হতো। তবে সরকারের নতুন নির্দেশনা মানতে গিয়ে এ টার্মিনাল থেকে বিকাল
৪টার পর আর কোন গাড়ি ছাড়া হয় না। গাবতলী টার্মিনালকেন্দ্রিক বাংলাদেশ
বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য এবং মুখপাত্র মো.
সালাহউদ্দিন মানবজমিনকে এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নাশকতা এড়াতে সরকার
আমাদের বলেছেন, রাত নয়টার মধ্যে আমাদের প্রতিটি গাড়ি যেন স্ব-স্ব গন্তব্যে
পৌঁছায়। এর ফলে গেল ১৫ দিন ধরে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে সর্বোচ্চ চারটা
পর্যন্ত টার্মিনাল থেকে বাস ছেড়ে যায়। অথচ বরাবরই আমাদের এ টার্মিনালে
দিনের চেয়ে রাতের যাত্রীই বেশি থাকে। গাবতলীকেন্দ্রিক বাসমালিক সমিতির
অন্যতম এ নেতা আরও জানান, সাধারণত গাবতলী টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ১৫০০
থেকে দুই হাজার গাড়ি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে
যায়। আর গেল ৫০ দিন ধরে সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৫০০-এর বেশি গাড়ি ছাড়তে পারি
না। এর মধ্যে প্রায় সব গাড়িই অর্ধেকের বেশি খালি আসা-যাওয়া করছে।
এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের মতো একই চিত্র দেখা গেছে মহাখালী বাস টার্মিনালে। এ টার্মিনাল থেকে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এনা পরিবহন, আলম এশিয়া, ডাউন-টাউনের মতো চেয়ারকোচসহ অসংখ্য লোকাল বাস। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে এ টার্মিনালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় যাত্রীশূন্যতার দৃশ্য। বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য দু-তিন জন হেলপার-কনডাক্টর-কাউন্টার ম্যানেজারের হাঁকডাক থাকলেও যাত্রীসংখ্যা চোখে পড়ার মতো নয়। হাতে এক্সে রিপোর্টের বড় খাম। কাঁধে ঝোলানো বাক্সপেটরা। পরনে লুঙ্গি। হাঁটছেন খানিক খুঁড়িয়ে। হাসপাতালের বিছানা থেকে সোজা টার্মিনালে এসেছেন এটুকু স্পষ্ট। কাছে গিয়ে জানা যায়, শুক্কুর আলী (৫০) নামের এ মানুষটি ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে গত রোববার তাকে রিলিজ করে দিলেও একরকম জোর করেই ছিলেন গতকাল পর্যন্ত। ভেবেছিলেন, হরতাল ভাঙলে বাড়ি যাবেন। সেটা সম্ভব হয়নি। দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাস টার্মিনালে আসতে হলো শুক্কুর আলীকে।
টাঙ্গাইল বাস টার্মিনালের এনা পরিবহনের সুপারভাইজার জানান, তাদের গাড়িসংখ্যা ৫০টি। স্বাভাবিক সময়ে এ ৫০টি গাড়ি প্রতিদিন তিনবার করে প্রায় ১৫০টি ট্রিপ দেয়। আর এখন দিনে ৫০টি গাড়ি এক ট্রিপ করে দিতেও কষ্ট হয়। অর্থাৎ আগে একটি গাড়ি ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে তিনবার আসা-যাওয়া করতো। আর এখন সেই গাড়ি টাঙ্গাইল গেলে দ্বিতীয় ট্রিপ নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসতে পারে না। কারণ হিসেবে সুপারভাইজার বলেন, যাত্রী নেই। পেট্রলবোমার আতঙ্ক। আমরা দিন-রাত প্রায় ১৮ ঘণ্টাই যাত্রীদের জন্য অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু যাত্রীরা না এলে আমরা বাস ছাড়বো কিভাবে?
এদিকে নগরীর আরেক অন্যতম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদের দৃশ্য প্রায় একই। বিকাল পাঁচটা নাগাদ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীর আনাগোনা এবং পরিবহন ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা মোটামুটি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এ টার্মিনাল থেকে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩৭টি রুটে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার গাড়ি ছেড়ে যায়। সেটি এখন নেমে এসেছে প্রায় এক থেকে দেড় হাজারে। এর মধ্যে কুমিল্লা-লাকসামের গাড়ি চলাচল খানিক স্বাভাবিক থাকলেও এ রুটের অন্য গাড়িগুলোর টাইম-শিডিউল ভেঙে পড়েছে। ঢাকা-লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটের অন্যতম চেয়ারকোচ সানফ্লাওয়ারের কাউন্টার ম্যানেজার জসীম বলেন, আগে সকাল-দুপুর-রাতে নিয়মিত ঘড়ি ধরে গাড়ি ছাড়তাম। অগ্রিম টিকিটও বিক্রি করতাম। এখন অগ্রিম টিকিট বলে কিছু নেই। কারণ দিনে দু-একটির বেশি গাড়ি ছাড়ার সুযোগ পাই না। রাস্তায় কখন কি ঘটে, তা ছাড়া যাত্রীও থাকেন না। সব মিলিয়ে আমরা টিকিট কাউন্টার-সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো এক রকম ভাতে-পানিতে মরে যাচ্ছি।
সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে হানিফ, শ্যামলী, সোহাগ, এস আলমের গাড়িগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও প্রতি গাড়িতে ১০ থেকে ১৫ জনের বেশি যাত্রী পাওয়া যায় না। এসব বাস কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে যেখানে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি করে গাড়ি ছাড়তাম, এখন একটি গাড়ি ছাড়তে এক ঘণ্টা সময় নিই। তাও তেলের পয়সা ওঠে না। গতকাল সরেজমিন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, এ টার্মিনালে যাত্রীর চেয়ে টিকিট বিক্রেতার সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। সায়েদাবাদ সংশ্লিষ্ট বাসমালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম মানবজমিনকে বলেন, আমাদের ব্যবসার কি অবস্থা। আমাদের পরিবহন শ্রমিকদের কি দুর্দশা- সবই তো সবার কাছে স্পষ্ট। নতুন করে আর কি বলবো। শুধু হাতজোড় করে এটুকু অনুরোধ করি, প্লিজ আমাদের এবার বাঁচান। হরতাল-অবরোধ থামান। আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি।
এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের মতো একই চিত্র দেখা গেছে মহাখালী বাস টার্মিনালে। এ টার্মিনাল থেকে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এনা পরিবহন, আলম এশিয়া, ডাউন-টাউনের মতো চেয়ারকোচসহ অসংখ্য লোকাল বাস। মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে এ টার্মিনালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় যাত্রীশূন্যতার দৃশ্য। বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য দু-তিন জন হেলপার-কনডাক্টর-কাউন্টার ম্যানেজারের হাঁকডাক থাকলেও যাত্রীসংখ্যা চোখে পড়ার মতো নয়। হাতে এক্সে রিপোর্টের বড় খাম। কাঁধে ঝোলানো বাক্সপেটরা। পরনে লুঙ্গি। হাঁটছেন খানিক খুঁড়িয়ে। হাসপাতালের বিছানা থেকে সোজা টার্মিনালে এসেছেন এটুকু স্পষ্ট। কাছে গিয়ে জানা যায়, শুক্কুর আলী (৫০) নামের এ মানুষটি ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে গত রোববার তাকে রিলিজ করে দিলেও একরকম জোর করেই ছিলেন গতকাল পর্যন্ত। ভেবেছিলেন, হরতাল ভাঙলে বাড়ি যাবেন। সেটা সম্ভব হয়নি। দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাস টার্মিনালে আসতে হলো শুক্কুর আলীকে।
টাঙ্গাইল বাস টার্মিনালের এনা পরিবহনের সুপারভাইজার জানান, তাদের গাড়িসংখ্যা ৫০টি। স্বাভাবিক সময়ে এ ৫০টি গাড়ি প্রতিদিন তিনবার করে প্রায় ১৫০টি ট্রিপ দেয়। আর এখন দিনে ৫০টি গাড়ি এক ট্রিপ করে দিতেও কষ্ট হয়। অর্থাৎ আগে একটি গাড়ি ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে তিনবার আসা-যাওয়া করতো। আর এখন সেই গাড়ি টাঙ্গাইল গেলে দ্বিতীয় ট্রিপ নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসতে পারে না। কারণ হিসেবে সুপারভাইজার বলেন, যাত্রী নেই। পেট্রলবোমার আতঙ্ক। আমরা দিন-রাত প্রায় ১৮ ঘণ্টাই যাত্রীদের জন্য অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু যাত্রীরা না এলে আমরা বাস ছাড়বো কিভাবে?
এদিকে নগরীর আরেক অন্যতম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদের দৃশ্য প্রায় একই। বিকাল পাঁচটা নাগাদ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীর আনাগোনা এবং পরিবহন ছেড়ে যাওয়ার সংখ্যা মোটামুটি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এ টার্মিনাল থেকে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩৭টি রুটে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার গাড়ি ছেড়ে যায়। সেটি এখন নেমে এসেছে প্রায় এক থেকে দেড় হাজারে। এর মধ্যে কুমিল্লা-লাকসামের গাড়ি চলাচল খানিক স্বাভাবিক থাকলেও এ রুটের অন্য গাড়িগুলোর টাইম-শিডিউল ভেঙে পড়েছে। ঢাকা-লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটের অন্যতম চেয়ারকোচ সানফ্লাওয়ারের কাউন্টার ম্যানেজার জসীম বলেন, আগে সকাল-দুপুর-রাতে নিয়মিত ঘড়ি ধরে গাড়ি ছাড়তাম। অগ্রিম টিকিটও বিক্রি করতাম। এখন অগ্রিম টিকিট বলে কিছু নেই। কারণ দিনে দু-একটির বেশি গাড়ি ছাড়ার সুযোগ পাই না। রাস্তায় কখন কি ঘটে, তা ছাড়া যাত্রীও থাকেন না। সব মিলিয়ে আমরা টিকিট কাউন্টার-সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো এক রকম ভাতে-পানিতে মরে যাচ্ছি।
সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে হানিফ, শ্যামলী, সোহাগ, এস আলমের গাড়িগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও প্রতি গাড়িতে ১০ থেকে ১৫ জনের বেশি যাত্রী পাওয়া যায় না। এসব বাস কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে যেখানে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি করে গাড়ি ছাড়তাম, এখন একটি গাড়ি ছাড়তে এক ঘণ্টা সময় নিই। তাও তেলের পয়সা ওঠে না। গতকাল সরেজমিন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, এ টার্মিনালে যাত্রীর চেয়ে টিকিট বিক্রেতার সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। সায়েদাবাদ সংশ্লিষ্ট বাসমালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম মানবজমিনকে বলেন, আমাদের ব্যবসার কি অবস্থা। আমাদের পরিবহন শ্রমিকদের কি দুর্দশা- সবই তো সবার কাছে স্পষ্ট। নতুন করে আর কি বলবো। শুধু হাতজোড় করে এটুকু অনুরোধ করি, প্লিজ আমাদের এবার বাঁচান। হরতাল-অবরোধ থামান। আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি।
No comments