ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পুনঃতাগিদ
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক যে সাব-কমিটি কয়েকদিন আগে ঢাকা সফরে এসে ফিরে গেছেন, সেই কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আরেকবার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে বড় দুই দলের মধ্যে কোনো তাগিদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ সহসাই দেশটিতে সমঝোতা হবে বলে
মনে হয় না। তারা তাদের সাম্প্রতিক আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, অবিলম্বে বড় দুই দলের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত, না হলে দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
বস্তুত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক সাব-কমিটি নতুন কিছু বলেনি। বড় দুই দলের মধ্যে সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন থেকে অনুভূত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের মহাসচিব পর্যন্ত তার উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই নেত্রীকে সংলাপ অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন। এককথায় বললে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার বিষয়টি এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল ও ব্যক্তির মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছে। এ উচ্চারণের পেছনের কারণটাও স্পষ্ট। দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা আর বেশিদিন স্থায়ী হলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা দেশটির ভবিষ্যৎ বিপন্ন করে তুলতে পারে। সাধারণ মানুষের প্রাণহানিই ঘটছে না শুধু, দেশের অর্থনীতি নাজুক হয়ে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ কাজের অভাবে, চলাচলের অভাবে যাপন করছে মানবেতর জীবন। অথচ দেশে-বিদেশে রাজনৈতিক সমঝোতার দাবিটি প্রবল হয়ে উঠলেও দুই দলের নেতৃত্বের ওপর তার কোনো প্রভাব নেই। দুই দলই গ্যাঁট হয়ে বসে আছে তাদের অনড় অবস্থানে। ২০ দলীয় জোট অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি ক্রমাগত দিয়ে চলেছে হরতাল কর্মসূচি। এসব হরতাল পরিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে না, তারপরও আবেদনহীন হরতাল ঘোষণা করে চলেছে তারা। সরকার পক্ষের অনড় অবস্থানও ব্যাখ্যাযোগ্য নয়। তারা বলছেন, খুনিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। আমাদের কথা হল, মানুষ হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হলেও তো আলোচনা হওয়া দরকার।
আমরা জাতিসংঘ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের প্রতি সম্মান দেখানোর আবেদন জানাই বড় দুই দলের নেতৃত্বের প্রতি। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের ১৬ কোটি মানুষই এখন উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তারা সবাই একটি সমাধান চায়। এই অনিশ্চিত জীবন থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া কোনো
কঠিন কাজ নয়। দরকার শুধু উভয়পক্ষের একটি সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কালবিলম্ব না করেই।
মনে হয় না। তারা তাদের সাম্প্রতিক আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, অবিলম্বে বড় দুই দলের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত, না হলে দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
বস্তুত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক সাব-কমিটি নতুন কিছু বলেনি। বড় দুই দলের মধ্যে সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন থেকে অনুভূত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের মহাসচিব পর্যন্ত তার উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই নেত্রীকে সংলাপ অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন। এককথায় বললে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার বিষয়টি এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল ও ব্যক্তির মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছে। এ উচ্চারণের পেছনের কারণটাও স্পষ্ট। দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা আর বেশিদিন স্থায়ী হলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা দেশটির ভবিষ্যৎ বিপন্ন করে তুলতে পারে। সাধারণ মানুষের প্রাণহানিই ঘটছে না শুধু, দেশের অর্থনীতি নাজুক হয়ে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ কাজের অভাবে, চলাচলের অভাবে যাপন করছে মানবেতর জীবন। অথচ দেশে-বিদেশে রাজনৈতিক সমঝোতার দাবিটি প্রবল হয়ে উঠলেও দুই দলের নেতৃত্বের ওপর তার কোনো প্রভাব নেই। দুই দলই গ্যাঁট হয়ে বসে আছে তাদের অনড় অবস্থানে। ২০ দলীয় জোট অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি ক্রমাগত দিয়ে চলেছে হরতাল কর্মসূচি। এসব হরতাল পরিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে না, তারপরও আবেদনহীন হরতাল ঘোষণা করে চলেছে তারা। সরকার পক্ষের অনড় অবস্থানও ব্যাখ্যাযোগ্য নয়। তারা বলছেন, খুনিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়। আমাদের কথা হল, মানুষ হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হলেও তো আলোচনা হওয়া দরকার।
আমরা জাতিসংঘ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের প্রতি সম্মান দেখানোর আবেদন জানাই বড় দুই দলের নেতৃত্বের প্রতি। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের ১৬ কোটি মানুষই এখন উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তারা সবাই একটি সমাধান চায়। এই অনিশ্চিত জীবন থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া কোনো
কঠিন কাজ নয়। দরকার শুধু উভয়পক্ষের একটি সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কালবিলম্ব না করেই।
No comments