নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান -অভিজিৎ হত্যায় নিন্দা
ব্লগার
অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। নিয়মিত
সংবাদ-সম্মেলনে সংস্থাটির মহাসচিব বান কি-মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক
শুক্রবার এ কথা জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের
স্বাধীনতার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন মুখপাত্র। ডুজাররিক বলেছেন,
ব্লগারের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মানবাধিকার ইস্যুতে কর্মরত সহকর্মীদের সঙ্গে
আমরা কথা বলেছি। তারা পরিষ্কারভাবেই এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং
আশা প্রকাশ করেছেন যে, দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায়
বিচারের আওতায় আনা হবে। তারা এমনটাও বলেছেন যে, বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের নিয়মিত
ব্রিফিং এ বাংলাদেশী এক সাংবাদিকের উপস্থিতি ও প্রশ্ন করা নিয়ে ওঠা আপত্তিও
নাচক করে দেন ডুজাররিক। এখানে প্রশ্নোত্তর পর্বের বাংলাদেশ অংশটুকু
উপস্থাপন করা হলো।
প্রশ্ন: সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে প্রশ্ন। সেটা বাংলাদেশে এবং এখানে বাংলাদেশের ব্যাপারে। প্রথমত, বাংলাদেশে অভিজিৎ রায় নামে একজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে, যা বেশ বড় ঘটনা। আমি জানতে চাই জাতিসংঘ, সিপিজে ও অন্যান্যরা সুস্পষ্ট কারণে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিনা। জাতিসংঘ এ ব্যাপারে কি বলছে? আমাদের সহকর্মী এখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন। গতকাল আমি এমএএলইউ (মিডিয়া অ্যাক্রেডিটেশন অ্যান্ড লিয়াজোঁ ইউনিট)-এর কাছে জানার চেষ্টার করেছিলাম, বাংলাদেশে যেমনটা প্রতিবেদনে এসেছে যে বাংলাদেশ সরকার ও তাদের দূতাবাস জাতিসংঘে ওই সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন থাকার বিষয়ে কিছু অনুসন্ধান করেছে এবং তারা চেষ্টা করছেন যাতে তিনি এখানে কোন প্রশ্ন না করতে পারেন। আমি জানতে চাই, এ ধরনের অনুসন্ধানের ব্যাপারে জাতিসংঘের অবস্থান কি?
মুখপাত্র: এক্ষেত্রে জাতিসংঘের অবস্থান হচ্ছে, কেউ যদি অ্যাক্রেডিটেশনের শর্ত পূরণ করেন, তারা এ কক্ষে সাদরে অভ্যর্থিত এবং আমরা তাদের যে কোন প্রশ্ন করতে স্বাগত জানাই। তাদের প্রশ্নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভূমিকা যদি বেশি দীর্ঘ হয়, সেক্ষেত্রে তা আমি সংক্ষিপ্ত করে দিতে পারি। তবে সেটা শুধু আমার চেয়ারের বিশেষ ক্ষমতা।
প্রশ্ন: সদস্য রাষ্ট্রসমূহের জন্য এটা কি যথাযথ যে, সাংবাদিকরা কি প্রশ্ন করবেন সেটা তারা নির্বাচন করে দেয়ার চেষ্টা চালাতে পারবে?
মুখপাত্র: বিষয়টি হচ্ছে, যখন কেউ এই কক্ষে অবস্থান করবেন, তারা যে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন। ঠিক আছে? আর, ব্লগারের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মানবাধিকার ইস্যুতে কর্মরত সহকর্মীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা পরিষ্কারভাবেই এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় আনা হবে। তারা এমনটাও বলেছেন যে, বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে প্রশ্ন। সেটা বাংলাদেশে এবং এখানে বাংলাদেশের ব্যাপারে। প্রথমত, বাংলাদেশে অভিজিৎ রায় নামে একজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে, যা বেশ বড় ঘটনা। আমি জানতে চাই জাতিসংঘ, সিপিজে ও অন্যান্যরা সুস্পষ্ট কারণে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিনা। জাতিসংঘ এ ব্যাপারে কি বলছে? আমাদের সহকর্মী এখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন। গতকাল আমি এমএএলইউ (মিডিয়া অ্যাক্রেডিটেশন অ্যান্ড লিয়াজোঁ ইউনিট)-এর কাছে জানার চেষ্টার করেছিলাম, বাংলাদেশে যেমনটা প্রতিবেদনে এসেছে যে বাংলাদেশ সরকার ও তাদের দূতাবাস জাতিসংঘে ওই সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন থাকার বিষয়ে কিছু অনুসন্ধান করেছে এবং তারা চেষ্টা করছেন যাতে তিনি এখানে কোন প্রশ্ন না করতে পারেন। আমি জানতে চাই, এ ধরনের অনুসন্ধানের ব্যাপারে জাতিসংঘের অবস্থান কি?
মুখপাত্র: এক্ষেত্রে জাতিসংঘের অবস্থান হচ্ছে, কেউ যদি অ্যাক্রেডিটেশনের শর্ত পূরণ করেন, তারা এ কক্ষে সাদরে অভ্যর্থিত এবং আমরা তাদের যে কোন প্রশ্ন করতে স্বাগত জানাই। তাদের প্রশ্নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভূমিকা যদি বেশি দীর্ঘ হয়, সেক্ষেত্রে তা আমি সংক্ষিপ্ত করে দিতে পারি। তবে সেটা শুধু আমার চেয়ারের বিশেষ ক্ষমতা।
প্রশ্ন: সদস্য রাষ্ট্রসমূহের জন্য এটা কি যথাযথ যে, সাংবাদিকরা কি প্রশ্ন করবেন সেটা তারা নির্বাচন করে দেয়ার চেষ্টা চালাতে পারবে?
মুখপাত্র: বিষয়টি হচ্ছে, যখন কেউ এই কক্ষে অবস্থান করবেন, তারা যে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন। ঠিক আছে? আর, ব্লগারের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মানবাধিকার ইস্যুতে কর্মরত সহকর্মীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা পরিষ্কারভাবেই এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় আনা হবে। তারা এমনটাও বলেছেন যে, বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
No comments