অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড
দুর্বৃত্তদের
হাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ও প্রকৌশলী ড. অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার
ঘটনাটি ১১ বছর আগে প্রায় একই জায়গায় একইভাবে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ আক্রান্ত
হওয়ার ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বইমেলা থেকে ফেরার
পথে টিএসসিসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৩নং গেটে সংঘটিত নৃশংস এ ঘটনায় তার
স্ত্রীও গুরুতর আহত হয়েছেন। ছাত্র, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক-মানবাধিকার কর্মী ও
রাজনৈতিক নেতারা একটি প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের জন্য
ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, লেখক-অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ ও
ব্লগার রাজীব হায়দারের ওপর হামলার ধারাবাহিকতায় জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী
বিজ্ঞানমনস্ক ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করেছে। জানা
গেছে, ব্লগে এবং বিভিন্ন বইয়ে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে
আসছিলেন ড. অভিজিৎ। পুলিশ ধারণা করছে, এসব কারণে তিনি উগ্রপন্থী বা
প্রতিক্রিয়াশীল কোনো গ্র“পের রোষানলের শিকার হয়েছেন। অবশ্য টুইটার বার্তায় এ
ঘটনার দায় স্বীকার করেছে দেশের একটি উগ্রপন্থী সংগঠন।
টিএসসির মতো নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা এলাকায় এরকম একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বইমেলা উপলক্ষে এ এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকার কথা। তারপরও এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল- জনমনে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার সময়ও এ এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থানে পুলিশের উপস্থিতিতে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে থাকলে তাদের সক্ষমতা ও দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। পাশাপাশি বইমেলার মতো নির্মল, সুন্দর ও সর্বজনীন একটি উৎসবও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি জ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশ রুদ্ধ করার পাশাপাশি মুক্তচিন্তার অনুশীলনকেও বাধাগ্রস্ত করবে, যা মোটেই কাম্য নয়। হুমায়ুন আজাদ ও ব্লগার রাজীব হায়দার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উগ্রপন্থীদের জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করা হয়। যে কোনো উগ্রপন্থাই খারাপ। প্রতিটি ধর্মের অন্তর্নিহিত মর্মবাণী হচ্ছে শান্তি। অশান্তি, নৈরাজ্য, বিশৃংখলা শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও পরিতাজ্য।
দেশে উগ্রপন্থার বিস্তার ও কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার জেএমবি ও হুজিসহ চারটি সংগঠন নিষিদ্ধ করেছে। নিষিদ্ধ হলেও দেশ থেকে উগ্রপন্থা যে নির্মূল হয়নি- ড. অভিজিৎ খুন হওয়ার ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। উগ্রপন্থীরা ধ্বংস, খুন ও বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে যেভাবে ইসলাম কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে, সেটি আদতে ইসলামের পথ নয়। শান্তি ও মানবতার ধর্ম হিসেবে ইসলাম কখনোই হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করে না। হানাহানি-কাটাকাটি ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। উদার ও সহনশীল মনোভাবসম্পন্ন মানুষের
আবাসভূমি হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম ও মর্যাদা ছিল, বিগত দিনগুলোয় উগ্রপন্থীদের অপতৎপরতার কারণে তার অনেকটাই ম্লান হয়েছে। ড. অভিজিৎ রায়ের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ উদ্ঘাটন করতে হবে।
টিএসসির মতো নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা এলাকায় এরকম একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বইমেলা উপলক্ষে এ এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকার কথা। তারপরও এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল- জনমনে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলার সময়ও এ এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থানে পুলিশের উপস্থিতিতে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে থাকলে তাদের সক্ষমতা ও দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। পাশাপাশি বইমেলার মতো নির্মল, সুন্দর ও সর্বজনীন একটি উৎসবও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি জ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশ রুদ্ধ করার পাশাপাশি মুক্তচিন্তার অনুশীলনকেও বাধাগ্রস্ত করবে, যা মোটেই কাম্য নয়। হুমায়ুন আজাদ ও ব্লগার রাজীব হায়দার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উগ্রপন্থীদের জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করা হয়। যে কোনো উগ্রপন্থাই খারাপ। প্রতিটি ধর্মের অন্তর্নিহিত মর্মবাণী হচ্ছে শান্তি। অশান্তি, নৈরাজ্য, বিশৃংখলা শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও পরিতাজ্য।
দেশে উগ্রপন্থার বিস্তার ও কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার জেএমবি ও হুজিসহ চারটি সংগঠন নিষিদ্ধ করেছে। নিষিদ্ধ হলেও দেশ থেকে উগ্রপন্থা যে নির্মূল হয়নি- ড. অভিজিৎ খুন হওয়ার ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। উগ্রপন্থীরা ধ্বংস, খুন ও বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে যেভাবে ইসলাম কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে, সেটি আদতে ইসলামের পথ নয়। শান্তি ও মানবতার ধর্ম হিসেবে ইসলাম কখনোই হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করে না। হানাহানি-কাটাকাটি ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। উদার ও সহনশীল মনোভাবসম্পন্ন মানুষের
আবাসভূমি হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম ও মর্যাদা ছিল, বিগত দিনগুলোয় উগ্রপন্থীদের অপতৎপরতার কারণে তার অনেকটাই ম্লান হয়েছে। ড. অভিজিৎ রায়ের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ উদ্ঘাটন করতে হবে।
No comments