ভরাট করা হচ্ছে প্রবহমান বিল
(কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বিলটি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বিলটির চণ্ডীবের অংশ থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো) কিশোরগঞ্জের
ভৈরব পৌর শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র বিলটি মাটি ফেলে ভরাট করা
হচ্ছে। এর ফলে বিলটি এখন মেঘনার মূল মোহনা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে
গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা বিএনপির
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি চক্র বিল
ভরাটের সঙ্গে জড়িত। চক্রটি এরই মধ্যে শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া ও
গাছতলাঘাট এলাকার বেশির ভাগ অংশ ভরাট করে ফেলেছে।
ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ সত্যলিপি জরিপ (বিআরএস) অনুযায়ী মাটি ভরাট করার স্থানটিকে বিল হিসেবে ধরা হয়। আর ২০০০ সালের ৩৬ নম্বর আইন অনুযায়ী সরকারি রেকর্ডভুক্ত নদী, খাল, বিল, হালট ও জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করা যাবে না। এমনকি ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ভরাটের সুযোগ নেই। বিলটি ভরাটের আগে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, বিলটির শুরু উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম থেকে। পৌর শহরের ভৈরবপুর ও চণ্ডীবের মহল্লার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনার মূল স্রোতধারার সঙ্গে মিলেছে এটি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার। মেঘনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় বছরজুড়ে এতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকত। দুই পাশের কৃষিজমির সেচের উৎসও ছিল বিলটি। কয়েক হাজার পরিবারের মাছের চাহিদা মিটত এই বিল থেকে। বর্ষায় ভৈরব বন্দরের সঙ্গে শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর ও শিমুলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এই বিলের মাধ্যমে নৌকাযোগে পরিবহন করত।
একাধিক সূত্র জানায়, বিলের চারপাশে আরিফুল ইসলামসহ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের কৃষিজমি রয়েছে। বিল ঘেঁষে আছে কিছু খাসজমিও। পৌর শহরের ভেতরে হওয়ায় ওই স্থানটির বর্তমান বাজারমূল্য আকাশচুম্বী। চক্রটির উদ্দেশ্য বিলটির কয়েক কিলোমিটার এলাকা ভরাট করে আবাসন ব্যবসা করা। ব্যবসার উপযোগী করতে অন্যদের কৃষিজমিও ভরাট করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অনেকের কৃষিজমি ইতিমধ্যে ভরাট করা হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বিল ভরাট চলছে। বিলটিতে বালুচর ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। বিলে বিভক্ত ভৈরবপুর ও চণ্ডীবের মহল্লা এখন এক হয়ে গেছে।
আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যতটুকু ভরাট করেছি তা আমার নিজের জায়গা।’ বিল ভরাটের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিলের দুই পাশের জমিমালিকেরা বিলসহ কৃষিজমি ভরাট করছেন।
পৌর মেয়র মো. শাহিন বলেন, ভৈরবপুর ও চণ্ডীবের মহল্লার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের নর্দমার পানি নিষ্কাশনে বিলটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনো কারণে বিল রক্ষা করা না গেলে ভৈরবের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। এ অবস্থায় বিল রক্ষায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। একই কথা জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনও।
ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ সত্যলিপি জরিপ (বিআরএস) অনুযায়ী মাটি ভরাট করার স্থানটিকে বিল হিসেবে ধরা হয়। আর ২০০০ সালের ৩৬ নম্বর আইন অনুযায়ী সরকারি রেকর্ডভুক্ত নদী, খাল, বিল, হালট ও জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করা যাবে না। এমনকি ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ভরাটের সুযোগ নেই। বিলটি ভরাটের আগে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, বিলটির শুরু উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম থেকে। পৌর শহরের ভৈরবপুর ও চণ্ডীবের মহল্লার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনার মূল স্রোতধারার সঙ্গে মিলেছে এটি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত কিলোমিটার। মেঘনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় বছরজুড়ে এতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকত। দুই পাশের কৃষিজমির সেচের উৎসও ছিল বিলটি। কয়েক হাজার পরিবারের মাছের চাহিদা মিটত এই বিল থেকে। বর্ষায় ভৈরব বন্দরের সঙ্গে শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর ও শিমুলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এই বিলের মাধ্যমে নৌকাযোগে পরিবহন করত।
একাধিক সূত্র জানায়, বিলের চারপাশে আরিফুল ইসলামসহ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের কৃষিজমি রয়েছে। বিল ঘেঁষে আছে কিছু খাসজমিও। পৌর শহরের ভেতরে হওয়ায় ওই স্থানটির বর্তমান বাজারমূল্য আকাশচুম্বী। চক্রটির উদ্দেশ্য বিলটির কয়েক কিলোমিটার এলাকা ভরাট করে আবাসন ব্যবসা করা। ব্যবসার উপযোগী করতে অন্যদের কৃষিজমিও ভরাট করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অনেকের কৃষিজমি ইতিমধ্যে ভরাট করা হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বিল ভরাট চলছে। বিলটিতে বালুচর ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। বিলে বিভক্ত ভৈরবপুর ও চণ্ডীবের মহল্লা এখন এক হয়ে গেছে।
আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যতটুকু ভরাট করেছি তা আমার নিজের জায়গা।’ বিল ভরাটের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিলের দুই পাশের জমিমালিকেরা বিলসহ কৃষিজমি ভরাট করছেন।
পৌর মেয়র মো. শাহিন বলেন, ভৈরবপুর ও চণ্ডীবের মহল্লার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের নর্দমার পানি নিষ্কাশনে বিলটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোনো কারণে বিল রক্ষা করা না গেলে ভৈরবের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। এ অবস্থায় বিল রক্ষায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। একই কথা জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনও।
No comments