স্মরণ- মুহাম্মদ শামসুর রহমান by সরদার হাসান জামান
আজ ২ নভেম্বর মুহাম্মদ শামসুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। জন্ম ১৯১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। তিনি ১৯৩৯ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি (বিএ) অর্জন করার পর প্রথমে ভারতের মেদিনীপুর জেলায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করে তার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি গ্রামের দরিদ্র মানুষের দুরবস্থা দেখে তা নিরসনের জন্য ‘পল্লী মঙ্গল’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। পরবর্তীকালে সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুল, হাইস্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অনেক অবদান আজো স্বীকৃত।
গ্রামের মানুষের কথা যাতে দেশে-বিদেশের বিশেষত সরকারের উচ্চপর্যায়ের মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়, সে জন্য তিনি কিশোর বয়স থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়াকালে আনন্দবাজার পত্রিকায় তার লেখা ছাপা হতো। পরে পাকিস্তান অবজারভারের পূর্ব পাকিস্তান প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কিছু দিন কৃষি বিভাগের ইন্সপেক্টরের চাকরিরত অবস্থায় চিন্তা করেন, ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি করলে ব্যক্তিগত বৈষয়িক উন্নতি ছাড়া মানুষের কল্যাণ করা যাবে না। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে ছাপাখানার ব্যবসায় ও একটি পত্রিকা প্রকাশ করার সঙ্কল্প করেন। ১৯৫০ সালে খুলনা থেকে সাপ্তাহিক তওহীদ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।
সাংবাদিকতা পেশায় আরো শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করার জন্য তিনি কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তোলেন খুলনা প্রেস কাব এবং এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এ জন্য মৃত্যুর কয়েক বছর আগে খুলনা প্রেস কাবের পক্ষ থেকে তাকে সাংবাদিক গণসংবর্ধনা দেয়া হয় এবং ওই অঞ্চলের সাংবাদিকতার দিকপাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
তিনি সুদীর্ঘ ২২ বছর দৈনিক সংগ্রামের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া মুহাম্মদ শামসুর রহমান দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘মুসলিম এইড লন্ডনের’ বাংলাদেশ শাখার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার সুবাদে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, খাজা নাজিমুদ্দিন, খান এ সবুর প্রমুখ প্রভাবশালী নেতার সাথে তার শখ্য ছিল।
এসব নেতার অনুরোধে তিনি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের এমএনএ (পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য) প্রার্থী পদের জন্য মনোনীত হন। পরে ১৯৬২ সালে খুলনা-সাতক্ষীরার পাঁচটি উপজেলা মিলে একটি প্রভিন্সের এমএনএ নির্বাচিত হন। তিনিই যশোর থেকে সাতক্ষীরা ও খুলনা থেকে সাতক্ষীরা মহাসড়কের জন্য জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সমাজসেবা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে তিনি ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন।
গ্রামের মানুষের কথা যাতে দেশে-বিদেশের বিশেষত সরকারের উচ্চপর্যায়ের মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়, সে জন্য তিনি কিশোর বয়স থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়াকালে আনন্দবাজার পত্রিকায় তার লেখা ছাপা হতো। পরে পাকিস্তান অবজারভারের পূর্ব পাকিস্তান প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কিছু দিন কৃষি বিভাগের ইন্সপেক্টরের চাকরিরত অবস্থায় চিন্তা করেন, ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি করলে ব্যক্তিগত বৈষয়িক উন্নতি ছাড়া মানুষের কল্যাণ করা যাবে না। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে ছাপাখানার ব্যবসায় ও একটি পত্রিকা প্রকাশ করার সঙ্কল্প করেন। ১৯৫০ সালে খুলনা থেকে সাপ্তাহিক তওহীদ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।
সাংবাদিকতা পেশায় আরো শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করার জন্য তিনি কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তোলেন খুলনা প্রেস কাব এবং এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এ জন্য মৃত্যুর কয়েক বছর আগে খুলনা প্রেস কাবের পক্ষ থেকে তাকে সাংবাদিক গণসংবর্ধনা দেয়া হয় এবং ওই অঞ্চলের সাংবাদিকতার দিকপাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
তিনি সুদীর্ঘ ২২ বছর দৈনিক সংগ্রামের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া মুহাম্মদ শামসুর রহমান দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘মুসলিম এইড লন্ডনের’ বাংলাদেশ শাখার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার সুবাদে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, খাজা নাজিমুদ্দিন, খান এ সবুর প্রমুখ প্রভাবশালী নেতার সাথে তার শখ্য ছিল।
এসব নেতার অনুরোধে তিনি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের এমএনএ (পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য) প্রার্থী পদের জন্য মনোনীত হন। পরে ১৯৬২ সালে খুলনা-সাতক্ষীরার পাঁচটি উপজেলা মিলে একটি প্রভিন্সের এমএনএ নির্বাচিত হন। তিনিই যশোর থেকে সাতক্ষীরা ও খুলনা থেকে সাতক্ষীরা মহাসড়কের জন্য জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সমাজসেবা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে তিনি ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন।
No comments