বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দায় নিলো না দিল্লি
সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য কোনো কোনো মহল ভারতকে দায়ি করলেও দিল্লি বলেছে বাংলাদেশের সাব-স্টেশনে কোনো সমস্যার জেরে তারা (বাংলাদেশ) বিদ্যুৎ নিতে পারেনি। কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকা আজ এক প্রতিবেদনে এখবর জানায়।
ভারতের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের একিক্সকিউটিভ ডিরেক্টর (অপারেশন্স) আর পি শাসমল-এর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, আর পি শাসমল শনিবার বিকেলে সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমাদের দিকে সব ঠিকঠাক রয়েছে। বাংলাদেশের সাব-স্টেশনে কোনো সমস্যার জেরে তারা বিদ্যুৎ নিতে পারেনি।’
গতকাল গ্রিড বিপর্যয়ে অন্ধকারে ডুবে যায় প্রায় গোটা বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ দফতর এমনকী হাসপাতালেও কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরু হওয়ার পরে কোনো কোনো মহল থেকে এ জন্য ভারতকে দায়ী করে নানা খবর প্রচার করা হয়। এর ফলে নানা বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের এক কর্তা দাবি করেন, ভেড়ামারা উপজেলায় জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ফল্ট হওয়ার পরেই ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। ভারত-বাংলাদেশ লাইনের সংযোগস্থলে এই ফল্টটি হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-লাইনে কোনো বিপর্যয়ের কারণেই সব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়েছে বলে তারা খবর পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড ফেল করেছে। আমরা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরেছে।’
আনন্দবাজার জানায়, সকাল ১১টা নাগাদ রাজধানী ঢাকার প্রায় সব এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়। জরুরি প্রয়োজনের যে সব ক্ষেত্র লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে থাকে, সেগুলোও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরে আধ ঘণ্টার মধ্যেই দেশের অন্যান্য অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। গ্রিড বিপর্যয়ের পরে আরো বড় সঙ্কট এড়াতে দেশের নানা প্রান্তে অবস্থিত মোট নয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়। এর ফলে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হয়। তার ওপর ভারত থেকে যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে, তা-ও নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিভিন্ন আবাসন ও অফিসে জেনারেটর ও ইনভার্টার চালিয়ে কাজকর্ম করা হলেও চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে সেগুলো চোখ বুজতে থাকে। পানীয় জলের হাহাকার তীব্র হয়। অধিকাংশ পোশাক কারখানাতেই ছুটি দিয়ে দিতে হয়। হাসপাতালগুলোতে অস্ত্রোপচারও বন্ধ রাখতে হয়। বন্ধ থাকে এক্সরে ও অন্যান্য পরীক্ষা।
আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করে নানা বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে থাকে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ চ্যানেলে। কোনো কোনো মহল প্রচার করে ভারত থেকে বিদ্যুৎ টেনে নেয়ার ফলেই বাংলাদেশের মানুষ সঙ্কটে পড়েছে। তবে বিকেলের দিকে সরকারিভাবে ঢাকা জানায়, নিজেদের সমস্যাতেই এই দুর্ভোগ। বেশি রাতের দিকে ঢাকার কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ আসে। তবে মধ্যরাতেও বহু এলাকাই অন্ধকারে ডুবে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ দিন রাজশাহীর নাটোরে বিরোধী বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বহু দিন পরে জনসভা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, এই সভার টেলিভিশন সম্প্রচার আটকাতেই সরকার দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
ভারতের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের একিক্সকিউটিভ ডিরেক্টর (অপারেশন্স) আর পি শাসমল-এর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, আর পি শাসমল শনিবার বিকেলে সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমাদের দিকে সব ঠিকঠাক রয়েছে। বাংলাদেশের সাব-স্টেশনে কোনো সমস্যার জেরে তারা বিদ্যুৎ নিতে পারেনি।’
গতকাল গ্রিড বিপর্যয়ে অন্ধকারে ডুবে যায় প্রায় গোটা বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ দফতর এমনকী হাসপাতালেও কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরু হওয়ার পরে কোনো কোনো মহল থেকে এ জন্য ভারতকে দায়ী করে নানা খবর প্রচার করা হয়। এর ফলে নানা বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের এক কর্তা দাবি করেন, ভেড়ামারা উপজেলায় জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ফল্ট হওয়ার পরেই ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। ভারত-বাংলাদেশ লাইনের সংযোগস্থলে এই ফল্টটি হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-লাইনে কোনো বিপর্যয়ের কারণেই সব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়েছে বলে তারা খবর পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড ফেল করেছে। আমরা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরেছে।’
আনন্দবাজার জানায়, সকাল ১১টা নাগাদ রাজধানী ঢাকার প্রায় সব এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়। জরুরি প্রয়োজনের যে সব ক্ষেত্র লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে থাকে, সেগুলোও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরে আধ ঘণ্টার মধ্যেই দেশের অন্যান্য অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। গ্রিড বিপর্যয়ের পরে আরো বড় সঙ্কট এড়াতে দেশের নানা প্রান্তে অবস্থিত মোট নয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়। এর ফলে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হয়। তার ওপর ভারত থেকে যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে, তা-ও নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিভিন্ন আবাসন ও অফিসে জেনারেটর ও ইনভার্টার চালিয়ে কাজকর্ম করা হলেও চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে সেগুলো চোখ বুজতে থাকে। পানীয় জলের হাহাকার তীব্র হয়। অধিকাংশ পোশাক কারখানাতেই ছুটি দিয়ে দিতে হয়। হাসপাতালগুলোতে অস্ত্রোপচারও বন্ধ রাখতে হয়। বন্ধ থাকে এক্সরে ও অন্যান্য পরীক্ষা।
আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করে নানা বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে থাকে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ চ্যানেলে। কোনো কোনো মহল প্রচার করে ভারত থেকে বিদ্যুৎ টেনে নেয়ার ফলেই বাংলাদেশের মানুষ সঙ্কটে পড়েছে। তবে বিকেলের দিকে সরকারিভাবে ঢাকা জানায়, নিজেদের সমস্যাতেই এই দুর্ভোগ। বেশি রাতের দিকে ঢাকার কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ আসে। তবে মধ্যরাতেও বহু এলাকাই অন্ধকারে ডুবে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ দিন রাজশাহীর নাটোরে বিরোধী বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বহু দিন পরে জনসভা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, এই সভার টেলিভিশন সম্প্রচার আটকাতেই সরকার দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
No comments