কর নিতে হলে রাষ্ট্রকে সেবাও দিতে হবে by প্রতীক বর্ধন
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে। খবরটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। এসব প্রক্রিয়া যত সহজ হবে ততই জনগণের জন্য মঙ্গল। এমনকি এর কারণে মানুষ কর প্রদানে আরও উৎসাহী হয়ে উঠবেন বলেও ধারণা করা যায়। রাজস্ব বোর্ডের ভাষ্যমতে, দেশে করযোগ্য মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখের মতো, কিন্তু কর দিচ্ছেন মোট ১৮ লাখের মতো। রাজস্ব বোর্ড আশা করছে, এর মাধ্যমে আরও অনেক মানুষকে করের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। কথা হচ্ছে, করযোগ্য অনেক মানুষ কর ফাঁকি দিচ্ছেন এটা যেমন ঠিক, তেমনি যাঁরা কর দিচ্ছেন তাঁরাও কি রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথাযথ সেবা পাচ্ছেন।
নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের একটি মাধ্যম হচ্ছে কর প্রদান। এর বিনিময়ে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে নানা রকম সেবা দেওয়া, তাঁর নিরাপত্তা বিধান করা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটাই হচ্ছে রীতি। কর প্রদান করতে গিয়ে মানুষ ভোগান্তির সম্মুখীন হন, এটা কোনো নতুন বিষয় নয়। লেখকের পরিচিত এক ব্যক্তি স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে গেলে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন, এত টাকা কর দেবেন কেন? আমাদের হাতে ছেড়ে দিন, আমরা অনেক কমিয়ে দেব। বিনিময়ে আমাদের একটা অংশ দিতে হবে। এ রকম হয়রানির কারণে মানুষ কর প্রদানে উৎসাহিত হন না।
কথা হচ্ছে, যেকোনো রাষ্ট্রে জনগণ তাঁদের আয়ের ওপর কর দেবেন, আর সে অর্থে রাষ্ট্র তার ব্যয় নির্বাহ করবে ও জনগণকে নানা রকম সেবা দেবে। যে রাষ্ট্র জনগণকে যত সেবা দেবে, সেখানে জনগণও তত বেশি কর দেবে, এটাই সাধারণভাবে হওয়ার কথা। অথচ বাংলাদেশের জনগণের রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সেবার পরিমাণ কমতে কমতে এখন শূন্যের কোঠায় চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান—জনগণের এসব প্রাপ্তিতে সরকারের ভূমিকা আর নেই বললেই চলে। দেশে সরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এমনকি সরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম এমন জায়গায় গেছে যে শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তেই হয়। আর যারা বেসরকারি স্কুল–কলেজে পড়ে, তাদের কথা আর না-ই বললাম। ঢাকা নগরে মাধ্যমিকের একজন ছাত্র তা সে সরকারি বা বেসরকারি স্কুল যেখানেই পড়ুক না কেন, তার কোচিং ও টিউশন বাবদ অভিভাবককে কম করে হলেও মাসে পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। অর্থাৎ একটি পরিবারে যদি দুজন স্কুলগামী ছাত্র থাকে, তাহলে অভিভাবককে তাঁদের পড়াশোনার জন্যই মাসে অন্তত ১২-১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। আর বলাই বাহুল্য, বেসরকারি স্কুলের মাসিক ও ভর্তি ফি আকাশছোঁয়া। অন্যান্য খরচ তো আছেই।
স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা আরও শোচনীয়। সরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ রকম শয্যা সংকটের কারণে সেখানে চিকিৎসা পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। আবার গুরুতর রোগের চিকিৎসা সেখানে হয় না। আর মোটামুটি সচ্ছল মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তরা সরকারি হাসপাতালে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন আরও অনেক আগেই। বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা একবার হলেও গেছেন, তাঁরা জানেন, সেখানে কী পরিমাণ খরচ হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শুধু একজনের রোগের কারণে একটি পরিবার কপর্দকহীন হয়ে যেতে পারে। ফলে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তকে একধরনের অনিশ্চিত জীবন যাপন করতে হয়। অন্য কথায়, এ রাষ্ট্রে সামাজিক নিরাপত্তার কোনো বালাই নেই বললেই চলে। রাষ্ট্র কোনো দিনও তার নাগরিকদের বড় অংশকে এ রকম অনিশ্চয়তার জীবনের দিকে ঠেলে দিতে পারে না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক রীতি নয়।
শুধু এ দুই খাতের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলেই একজন মানুষ এ রাষ্ট্রে কেন কর দেবেন, সে যুক্তি খুঁজে পাবেন না। কারণ, এর বিনিময়ে রাষ্ট্রের কাছ থেকে তাঁর প্রাপ্তি প্রায় শূন্যই বলা যায়। তার পরও মানুষ এখানে কর দিচ্ছেন। আয়কর মেলায় দেখা যায়, তরুণদের মধ্যে কর প্রদানে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
রাজস্ব বোর্ডের হিসাব অনুসারে, তাদের প্রাপ্ত করের প্রায় ৭০ শতাংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে, আর বাকি ৩০ শতাংশ আসে প্রত্যক্ষ কর থেকে। তার মানে দেখা যাচ্ছে, করের সিংহভাগই জোগান দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করা বেশি হওয়ার অর্থ হচ্ছে, এ রাষ্ট্রে যাঁদের আয় বেশি তাঁরা কর দেন কম, আর যাঁদের আয় কম, তাঁরাই বেশি কর দেন। এটা কোনো গণতান্ত্রিক রীতি হতে পারে না। প্রগ্রেসিভ কর ব্যবস্থায় যাঁদের আয় বেশি, তাঁদের ওপর ক্রমবর্ধমান হারে করারোপ করা হয়। এতে নাগরিকদের মধ্যে আয়ের ব্যবধান ক্রমেই কমিয়ে আনা হয়, যা রাষ্ট্রে একধরনের ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রগ্রেসিভ কর ব্যবস্থায় একটি দেশে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ মোট আদায়কৃত করের প্রায় ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রকাশনাতেই এ কথা বলা হয়েছে। দেশে পরোক্ষ করের মধ্যে ভ্যাটের হার অনেক বেশি, ১৫ শতাংশ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১২ শতাংশ এবং জাপানে ৫ শতাংশ।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২-১৩ করবর্ষে বার্ষিক আয় বিবরণীতে মাত্র পাঁচ হাজার ৬৬২ জন ব্যক্তি তাঁদের সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি টাকার ওপর দেখিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য নয়। কোটি টাকার ওপর সম্পদ থাকলে করের ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত মাশুল দিতে হয়। সে কারণে বিত্তশালীরা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নানা রকম ফন্দি-ফিকির করেন। আর পরোক্ষ করের মাধ্যমে এর দায় বহন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, ভ্যাট।
ব্যাপারটা দুই তরফ থেকেই ঘটতে হবে। নাগরিকদের যেমন কর দিতে হবে, তেমনি রাষ্ট্রেরও তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আবার রাষ্ট্রে যাঁদের আয় বেশি, তাঁদের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করতে হবে। এর জন্য সম্পদ কর আরোপ করতে হবে। একটি রাষ্ট্রকে প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্র হয়ে উঠতে হলে এ কাজ করতেই হবে—নাগরিকদের মধ্যে কিছুটা হলেও সমতা বিধান করা। তাহলে মানুষও কর দিতে আরও উৎসাহী হয়ে উঠবেন। আর রাজস্ব বোর্ডের বিরুদ্ধেও অনিয়মের যত অভিযোগ আছে, সেগুলোর জবাবও তাদের দিতে হবে। এ দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে মানুষ নিঃসন্দেহে কর দিতে উৎসাহী হবেন।
প্রতীক বর্ধন: সাংবাদিক।
নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের একটি মাধ্যম হচ্ছে কর প্রদান। এর বিনিময়ে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে নানা রকম সেবা দেওয়া, তাঁর নিরাপত্তা বিধান করা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটাই হচ্ছে রীতি। কর প্রদান করতে গিয়ে মানুষ ভোগান্তির সম্মুখীন হন, এটা কোনো নতুন বিষয় নয়। লেখকের পরিচিত এক ব্যক্তি স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে গেলে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন, এত টাকা কর দেবেন কেন? আমাদের হাতে ছেড়ে দিন, আমরা অনেক কমিয়ে দেব। বিনিময়ে আমাদের একটা অংশ দিতে হবে। এ রকম হয়রানির কারণে মানুষ কর প্রদানে উৎসাহিত হন না।
কথা হচ্ছে, যেকোনো রাষ্ট্রে জনগণ তাঁদের আয়ের ওপর কর দেবেন, আর সে অর্থে রাষ্ট্র তার ব্যয় নির্বাহ করবে ও জনগণকে নানা রকম সেবা দেবে। যে রাষ্ট্র জনগণকে যত সেবা দেবে, সেখানে জনগণও তত বেশি কর দেবে, এটাই সাধারণভাবে হওয়ার কথা। অথচ বাংলাদেশের জনগণের রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সেবার পরিমাণ কমতে কমতে এখন শূন্যের কোঠায় চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান—জনগণের এসব প্রাপ্তিতে সরকারের ভূমিকা আর নেই বললেই চলে। দেশে সরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এমনকি সরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম এমন জায়গায় গেছে যে শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তেই হয়। আর যারা বেসরকারি স্কুল–কলেজে পড়ে, তাদের কথা আর না-ই বললাম। ঢাকা নগরে মাধ্যমিকের একজন ছাত্র তা সে সরকারি বা বেসরকারি স্কুল যেখানেই পড়ুক না কেন, তার কোচিং ও টিউশন বাবদ অভিভাবককে কম করে হলেও মাসে পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। অর্থাৎ একটি পরিবারে যদি দুজন স্কুলগামী ছাত্র থাকে, তাহলে অভিভাবককে তাঁদের পড়াশোনার জন্যই মাসে অন্তত ১২-১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। আর বলাই বাহুল্য, বেসরকারি স্কুলের মাসিক ও ভর্তি ফি আকাশছোঁয়া। অন্যান্য খরচ তো আছেই।
স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা আরও শোচনীয়। সরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ রকম শয্যা সংকটের কারণে সেখানে চিকিৎসা পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। আবার গুরুতর রোগের চিকিৎসা সেখানে হয় না। আর মোটামুটি সচ্ছল মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তরা সরকারি হাসপাতালে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন আরও অনেক আগেই। বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা একবার হলেও গেছেন, তাঁরা জানেন, সেখানে কী পরিমাণ খরচ হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শুধু একজনের রোগের কারণে একটি পরিবার কপর্দকহীন হয়ে যেতে পারে। ফলে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তকে একধরনের অনিশ্চিত জীবন যাপন করতে হয়। অন্য কথায়, এ রাষ্ট্রে সামাজিক নিরাপত্তার কোনো বালাই নেই বললেই চলে। রাষ্ট্র কোনো দিনও তার নাগরিকদের বড় অংশকে এ রকম অনিশ্চয়তার জীবনের দিকে ঠেলে দিতে পারে না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক রীতি নয়।
শুধু এ দুই খাতের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলেই একজন মানুষ এ রাষ্ট্রে কেন কর দেবেন, সে যুক্তি খুঁজে পাবেন না। কারণ, এর বিনিময়ে রাষ্ট্রের কাছ থেকে তাঁর প্রাপ্তি প্রায় শূন্যই বলা যায়। তার পরও মানুষ এখানে কর দিচ্ছেন। আয়কর মেলায় দেখা যায়, তরুণদের মধ্যে কর প্রদানে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
রাজস্ব বোর্ডের হিসাব অনুসারে, তাদের প্রাপ্ত করের প্রায় ৭০ শতাংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে, আর বাকি ৩০ শতাংশ আসে প্রত্যক্ষ কর থেকে। তার মানে দেখা যাচ্ছে, করের সিংহভাগই জোগান দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করা বেশি হওয়ার অর্থ হচ্ছে, এ রাষ্ট্রে যাঁদের আয় বেশি তাঁরা কর দেন কম, আর যাঁদের আয় কম, তাঁরাই বেশি কর দেন। এটা কোনো গণতান্ত্রিক রীতি হতে পারে না। প্রগ্রেসিভ কর ব্যবস্থায় যাঁদের আয় বেশি, তাঁদের ওপর ক্রমবর্ধমান হারে করারোপ করা হয়। এতে নাগরিকদের মধ্যে আয়ের ব্যবধান ক্রমেই কমিয়ে আনা হয়, যা রাষ্ট্রে একধরনের ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রগ্রেসিভ কর ব্যবস্থায় একটি দেশে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ মোট আদায়কৃত করের প্রায় ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রকাশনাতেই এ কথা বলা হয়েছে। দেশে পরোক্ষ করের মধ্যে ভ্যাটের হার অনেক বেশি, ১৫ শতাংশ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১২ শতাংশ এবং জাপানে ৫ শতাংশ।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২-১৩ করবর্ষে বার্ষিক আয় বিবরণীতে মাত্র পাঁচ হাজার ৬৬২ জন ব্যক্তি তাঁদের সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি টাকার ওপর দেখিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য নয়। কোটি টাকার ওপর সম্পদ থাকলে করের ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত মাশুল দিতে হয়। সে কারণে বিত্তশালীরা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য নানা রকম ফন্দি-ফিকির করেন। আর পরোক্ষ করের মাধ্যমে এর দায় বহন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, ভ্যাট।
ব্যাপারটা দুই তরফ থেকেই ঘটতে হবে। নাগরিকদের যেমন কর দিতে হবে, তেমনি রাষ্ট্রেরও তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আবার রাষ্ট্রে যাঁদের আয় বেশি, তাঁদের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করতে হবে। এর জন্য সম্পদ কর আরোপ করতে হবে। একটি রাষ্ট্রকে প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্র হয়ে উঠতে হলে এ কাজ করতেই হবে—নাগরিকদের মধ্যে কিছুটা হলেও সমতা বিধান করা। তাহলে মানুষও কর দিতে আরও উৎসাহী হয়ে উঠবেন। আর রাজস্ব বোর্ডের বিরুদ্ধেও অনিয়মের যত অভিযোগ আছে, সেগুলোর জবাবও তাদের দিতে হবে। এ দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে মানুষ নিঃসন্দেহে কর দিতে উৎসাহী হবেন।
প্রতীক বর্ধন: সাংবাদিক।
No comments