মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন আনীত ১১নং অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও ১২নং অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০ ও ১৪নং অভিযোগগুলোতে তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২নং অভিযোগে ২০ বছর, ৩নং অভিযোগে সাত বছর, ৪নং অভিযোগে সাত বছর, ৬নং অভিযোগে সাত বছর, ৭নং অভিযোগে সাত বছর, ৯নং অভিযোগে সাত বছর, ১০নং অভিযোগে সাত বছর ও ১৪নং অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ১, ৫, ৮ ও ১৩নং অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি অভিযোগ আনা হয়।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবাইদুল হাসান একাই রায় ঘোষণা করেন। রোববার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে তিনি ৩৫১ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুজিবুর রহমান ও বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম। এর আগে আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে মীর কাসেম আলীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে তাকে এজলাসে নেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত বৃহস্পতিবার রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রায়ের তারিখ ঘোষণার সময় চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উপস্থিত ছিলেন না। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। তবে রায় প্রদানের সময় তিন বিচারপতিই উপস্থিত ছিলেন। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার বিচারকার্যক্রম শেষে গত ৪ মে রায়ের তারিখ অপেক্ষমাণ ঘোষণা করা হয়।
২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর নির্দেশে। সেই থেকে তিনি বন্দী রয়েছেন। গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এরপর এ মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়।
রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও উদ্যোক্তা মীর কাসেম আলী ১৯৫২ সালে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার চাকরির সুবাদে তিনি ১৯৬৫ সাল থেকে চট্টগ্রামে বসবাস করেন এবং ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন।
No comments