মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বেড়েছে- এতে কে কখন লাশ হয়ে বা পঙ্গু হয়ে বাড়ি ফিরবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা-মেয়ের মর্মান্তিক খবরটি ছিল প্রায় সবার মুখে মুখে। নারায়ণগঞ্জের শিরিন আক্তার তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে যেভাবে ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন এ রকম আর কত ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে? বস্তুত সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোই পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। মানুষের কর্মব্যস্ততা বাড়ছে, ফলে সড়ক-মহাসড়কে উৎকণ্ঠাকে মেনে নিয়েই সবাইকে চলাচল করতে হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় বর্তমানে দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার মূল্যবান প্রাণ ঝরে যাওয়ার ফলে যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে, এ ক্ষতি পূরণের উপায় কী? উল্লিখিত সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করলেও এ বিষয়ে সমন্বিত কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পথচারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা জরুরি। শহরাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বেশিরভাগই পথচারী।
প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় যে হাজারও মানুষের প্রাণ ঝরে যায়, অর্থমূল্যে এর ক্ষতি নির্ণয় করা যায় না। তারপরও সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের চেষ্টা চলে। এসব হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা বলে উল্লেখ করা হয়। ফিটনেসবিহীন বাহন, চালকের অদক্ষতাসহ সড়ক দুর্ঘটনার যেসব কারণ বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন- সেসব সমস্যার সমাধানে কী অগ্রগতি হয়েছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরা প্রয়োজন।
সব দেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অর্থাৎ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নৌপথে যোগাযোগের ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হয়নি। রেলপথের আধুনিকায়নসহ নৌপথের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা কমবে, এমনটাই আশা করা যায়।
যে কোনো দুর্ঘটনার পর চালকের অদক্ষতা, উদাসীনতা- এসব নিয়ে অনেকেই তীব্র উষ্মা প্রকাশ করে থাকেন। চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে আসবে এমনটা আশা করা যায়। চালকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উন্নত নৈতিকতা ও উচ্চ মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতির আশ্রয় নেয় কিনা এ বিষয়ে কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় যে হাজারও মানুষের প্রাণ ঝরে যায়, অর্থমূল্যে এর ক্ষতি নির্ণয় করা যায় না। তারপরও সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের চেষ্টা চলে। এসব হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা বলে উল্লেখ করা হয়। ফিটনেসবিহীন বাহন, চালকের অদক্ষতাসহ সড়ক দুর্ঘটনার যেসব কারণ বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন- সেসব সমস্যার সমাধানে কী অগ্রগতি হয়েছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরা প্রয়োজন।
সব দেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অর্থাৎ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নৌপথে যোগাযোগের ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হয়নি। রেলপথের আধুনিকায়নসহ নৌপথের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা কমবে, এমনটাই আশা করা যায়।
যে কোনো দুর্ঘটনার পর চালকের অদক্ষতা, উদাসীনতা- এসব নিয়ে অনেকেই তীব্র উষ্মা প্রকাশ করে থাকেন। চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে আসবে এমনটা আশা করা যায়। চালকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উন্নত নৈতিকতা ও উচ্চ মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতির আশ্রয় নেয় কিনা এ বিষয়ে কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
No comments