মানুষের বানানো প্রাচীনতম ও দীর্ঘতম পানিপথ
চীনের
ইতিহাসে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কমই আছে: মানুষের বানানো পৃথিবীর
দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে প্রাচীনতম পানিপথ এটা, যা সুয়েজ খালের চেয়ে ৯ গুণ
দীর্ঘ। এই খাল কাটা না হলে বেইজিং হয়তো কখনোই চীনের রাজধানী হয়ে উঠত না।
আর এই খাল ছাড়া হয়তো চীন-ই চীন হয়ে উঠত না! এমন আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ
কারণেই দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ‘বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল’ বা ‘বেইজিংয়ের বড় খাল’-কে
এ বছরের জুন মাসে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। সরেজমিন
ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে এক ফটো ফিচারে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন বিবিসির
আমান্দা রুগেরি।
এ প্রজন্মের ‘বেইজিংগার’ বা বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে অল্প কিছু লোক যদিও বা বড় খাল ঘুরে দেখে থাকেন, তাহলে তার চেয়ে আরও কম পর্যটকই তা দেখেছেন। অবশ্য এই বড় খাল দক্ষিণ চীনে তুলনামূলকভাবে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেখানে প্রমোদতরি আর বার্জগুলো এখনো ২ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো এই নৌপথে চলাচল করে। কিন্তু অনেক বেইজিংগারই জানেন না যে, তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ৩৫ কিলোমিটার দূরে বেইজিংয়ের তোংঝু উপশহর থেকে শুরু হওয়া এই হাতে কাটা খাল ১ হাজার ৭৯৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পূর্ব-চীনের ঝেইজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হাংঝোও পর্যন্ত বিস্তৃত।
বেইজিংয়ের এই বড় খাল কাটতে কাটতে পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৮০০ বছর। যে লাখ লাখ শ্রমিক এই খাল কাটতে গিয়ে জীবনতিপাত করেছেন, দুনিয়ার আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভবত এত মানবসম্পদ কাজে লাগাতে হয়নি। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৬ সালে এই খাল কাটার কাজ শুরু হয়। ৬০৫ সালের দিকে চীনের এক সাবেক রাজধানী লুয়োইয়াং থেকে কিংঝিয়াং পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটারের মতো খাল কাটা শেষ হয়েছিল। এর পাঁচ বছর পর ঝেনজিয়াং থেকে হাংঝোও পর্যন্ত আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটা শেষ হয়।
মানুষের বানানো এই দীর্ঘতম পানিপথে আরও জল গড়ানো বাকি ছিল তখনো। ৬১০ সালের দিকে এই খাল পৌঁছে যায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে। অন্ততপক্ষে ৩০ লাখ কৃষককে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল এখানে। ধারণা করা হয়ে থাকে, এই কৃষক-শ্রমিকদের অর্ধেকেরও বেশি কঠোর পরিশ্রম আর অনাহারে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু কুবলাই খান যখন ১২৭১ সালে কাইফেং বা লুয়োইয়াং থেকে রাজধানী স্থানান্তর করে বেইজিংয়ে নিয়ে আসেন, তখন আগের চেয়ে আরও বেশি কৃষক-শ্রমিককে জীবন উৎসর্গ করতে হয় এই খাল কাটার জন্য। এখনকার বেইজিং-হাংঝোও নৌপথের রূপ দিতে আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটতে হয়। সে সময় ১০ বছরে অন্তত ৪০ লাখ মানুষ কাজ করেন কুবলাই খানের নতুন রাজধানীকে আরও সরাসরি এই খালে যুক্ত করতে। ইউনেসকোর ভাষ্য অনুযায়ী, বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল ‘শিল্প বিপ্লবের আগে বাস্তবায়িত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সুপরিসর পুর-কৌশল প্রকল্প’।
প্রাচীন চীন সাম্রাজ্যের জন্য নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই এত সাধনায় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এই খাল কাটা। নাগরিকদের খাদ্যনিরাপত্তা তার মধ্যে অন্যতম। ইয়াংসি অববাহিকা চীনের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত হলেও খোদ ইয়াংসি নদীই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত। কিন্তু শাসকেরা জানেন, ক্ষুধার্ত জনগণই বিদ্রোহ করে বসে আর না-খাওয়া সৈনিকেরা কোনো কাজে আসে না। ফলে এই খাল কাটার মধ্য দিয়ে চীনের শাসকেরা ইয়াংসি থেকে হলুদ নদী হোয়াংহো পর্যন্ত চাল বোঝাই নৌকা চলাচলের সুযোগ করে দিতে পেরেছিলেন। এই অববাহিকায় উৎপাদিত চালের মতোই উত্তর চীনে উৎপাদিত গমও এই নৌপথ দিয়েই দক্ষিণ চীনে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি আরও কিছু ছোট ছোট খাল-নদীতে যুক্ত হয়ে এই নৌ-পথ রাজধানী বেইজিংকে ঘিরে চীনে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম যোগাযোগ, পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান অবলম্বন হয়ে ওঠে।
যেকোনোও মহৎ সৃষ্টিই যেমন সৃজনের পথকে আরও প্রসারিত করে, ঠিক তেমনটাই ঘটেছে বেইজিং বড় খালের ক্ষেত্রে। ৫৮৭ সালেই সুই সাম্রাজ্যের শাসনামলে এই খালে দুনিয়ার প্রথম ‘লক গেট’ বানানো হয়েছিল। হোয়াংহো নদীর সঙ্গে এই খালের সংযোগ পথে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন গেট বসিয়েছিলেন প্রকৌশলী লিয়াং রুই। ৯৮৪ সালে আরেক প্রকৌশলী কিয়াও উইয়েও এই খালে প্রথম ‘পাউন্ড লক’ বানান। আধুনিক পানি-প্রযুক্তিতে অনেক খালেই আমরা এমন ধরনের ব্যবস্থা দেখি। এতে দুই পাশে ঘের দিয়ে একটা নিরাপদ পুকুরের মতো তৈরি করা হয় এবং পানির উচ্চতা কমে-বেড়ে স্থির না হওয়া পর্যন্ত নৌকাগুলো সেখানে অপেক্ষা করতে পারে। ১৯৭৩ সালে ইউরোপে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নেদারল্যান্ডসের ভ্রিসভিকে।
১৯ শতকে চীনে রেলপথের প্রসারের পর থেকেই এই নৌপথের গুরুত্ব কমতে থাকে। গ্র্যান্ড ক্যানালের অনেক ছোট ছোট সংযোগ খালের সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১৯৫৮ সালে মূল খালে একটা বড় ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়। সে সময় থেকেই দক্ষিণ চীনে গুরুত্বের সঙ্গে নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা। অতি সম্প্রতি বেইজিং নগর হয়তো নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করেছে ভুলে যাওয়া এই খালকে। ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের সময় এই খালের পাড় ধরে একটা অলিম্পিক পার্ক গড়ে তোলা হয়। গত বছর এই খালের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘গ্র্যান্ড ক্যানাল ফরেস্ট পার্ক’। গাছ-গাছালি আর পাখ-পাখালিতে ভরা খাল পাড়ের এই উদ্যান এখন অনেক বেইজিংবাসীরই নজর কাড়ছে।
বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল কেবল মানুষের বানানো দীর্ঘতম ও প্রাচীনতম পানিপথ কিংবা এককালের সবচেয়ে বড় পুরকৌশল প্রকল্পই নয়, এটা আমাদের ধীরগতির পরিবেশবান্ধব উন্নয়নেরও একটা নমুনা। আজকের দিনে বেইজিংয়ের বুলেট ট্রেন, কিংবা আকাশছোঁয়া সব অট্টালিকা আর পশ্চিমা ধাঁচের উন্নয়নের জোয়ারের আগে সভ্যতার অগ্রযাত্রায় চীনের অনন্য পথচলার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে মানুষের বানানো এই খাল। এই নৌপথ যথাযথভাবে সংস্কার করে এখানকার প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করা গেলে মানুষের বানানো এই খালও হয়তো আগামী দুনিয়ায় চীনের বিশাল প্রাচীরের মতোই চীনের গর্ব হয়ে থাকবে।
এ প্রজন্মের ‘বেইজিংগার’ বা বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে অল্প কিছু লোক যদিও বা বড় খাল ঘুরে দেখে থাকেন, তাহলে তার চেয়ে আরও কম পর্যটকই তা দেখেছেন। অবশ্য এই বড় খাল দক্ষিণ চীনে তুলনামূলকভাবে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেখানে প্রমোদতরি আর বার্জগুলো এখনো ২ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো এই নৌপথে চলাচল করে। কিন্তু অনেক বেইজিংগারই জানেন না যে, তিয়েনআনমেন স্কয়ারের ৩৫ কিলোমিটার দূরে বেইজিংয়ের তোংঝু উপশহর থেকে শুরু হওয়া এই হাতে কাটা খাল ১ হাজার ৭৯৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পূর্ব-চীনের ঝেইজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হাংঝোও পর্যন্ত বিস্তৃত।
বেইজিংয়ের এই বড় খাল কাটতে কাটতে পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৮০০ বছর। যে লাখ লাখ শ্রমিক এই খাল কাটতে গিয়ে জীবনতিপাত করেছেন, দুনিয়ার আর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভবত এত মানবসম্পদ কাজে লাগাতে হয়নি। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৬ সালে এই খাল কাটার কাজ শুরু হয়। ৬০৫ সালের দিকে চীনের এক সাবেক রাজধানী লুয়োইয়াং থেকে কিংঝিয়াং পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটারের মতো খাল কাটা শেষ হয়েছিল। এর পাঁচ বছর পর ঝেনজিয়াং থেকে হাংঝোও পর্যন্ত আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটা শেষ হয়।
মানুষের বানানো এই দীর্ঘতম পানিপথে আরও জল গড়ানো বাকি ছিল তখনো। ৬১০ সালের দিকে এই খাল পৌঁছে যায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে। অন্ততপক্ষে ৩০ লাখ কৃষককে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল এখানে। ধারণা করা হয়ে থাকে, এই কৃষক-শ্রমিকদের অর্ধেকেরও বেশি কঠোর পরিশ্রম আর অনাহারে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু কুবলাই খান যখন ১২৭১ সালে কাইফেং বা লুয়োইয়াং থেকে রাজধানী স্থানান্তর করে বেইজিংয়ে নিয়ে আসেন, তখন আগের চেয়ে আরও বেশি কৃষক-শ্রমিককে জীবন উৎসর্গ করতে হয় এই খাল কাটার জন্য। এখনকার বেইজিং-হাংঝোও নৌপথের রূপ দিতে আরও ৪০০ কিলোমিটার খাল কাটতে হয়। সে সময় ১০ বছরে অন্তত ৪০ লাখ মানুষ কাজ করেন কুবলাই খানের নতুন রাজধানীকে আরও সরাসরি এই খালে যুক্ত করতে। ইউনেসকোর ভাষ্য অনুযায়ী, বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল ‘শিল্প বিপ্লবের আগে বাস্তবায়িত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সুপরিসর পুর-কৌশল প্রকল্প’।
প্রাচীন চীন সাম্রাজ্যের জন্য নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই এত সাধনায় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল এই খাল কাটা। নাগরিকদের খাদ্যনিরাপত্তা তার মধ্যে অন্যতম। ইয়াংসি অববাহিকা চীনের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত হলেও খোদ ইয়াংসি নদীই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত। কিন্তু শাসকেরা জানেন, ক্ষুধার্ত জনগণই বিদ্রোহ করে বসে আর না-খাওয়া সৈনিকেরা কোনো কাজে আসে না। ফলে এই খাল কাটার মধ্য দিয়ে চীনের শাসকেরা ইয়াংসি থেকে হলুদ নদী হোয়াংহো পর্যন্ত চাল বোঝাই নৌকা চলাচলের সুযোগ করে দিতে পেরেছিলেন। এই অববাহিকায় উৎপাদিত চালের মতোই উত্তর চীনে উৎপাদিত গমও এই নৌপথ দিয়েই দক্ষিণ চীনে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি আরও কিছু ছোট ছোট খাল-নদীতে যুক্ত হয়ে এই নৌ-পথ রাজধানী বেইজিংকে ঘিরে চীনে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম যোগাযোগ, পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান অবলম্বন হয়ে ওঠে।
যেকোনোও মহৎ সৃষ্টিই যেমন সৃজনের পথকে আরও প্রসারিত করে, ঠিক তেমনটাই ঘটেছে বেইজিং বড় খালের ক্ষেত্রে। ৫৮৭ সালেই সুই সাম্রাজ্যের শাসনামলে এই খালে দুনিয়ার প্রথম ‘লক গেট’ বানানো হয়েছিল। হোয়াংহো নদীর সঙ্গে এই খালের সংযোগ পথে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন গেট বসিয়েছিলেন প্রকৌশলী লিয়াং রুই। ৯৮৪ সালে আরেক প্রকৌশলী কিয়াও উইয়েও এই খালে প্রথম ‘পাউন্ড লক’ বানান। আধুনিক পানি-প্রযুক্তিতে অনেক খালেই আমরা এমন ধরনের ব্যবস্থা দেখি। এতে দুই পাশে ঘের দিয়ে একটা নিরাপদ পুকুরের মতো তৈরি করা হয় এবং পানির উচ্চতা কমে-বেড়ে স্থির না হওয়া পর্যন্ত নৌকাগুলো সেখানে অপেক্ষা করতে পারে। ১৯৭৩ সালে ইউরোপে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নেদারল্যান্ডসের ভ্রিসভিকে।
১৯ শতকে চীনে রেলপথের প্রসারের পর থেকেই এই নৌপথের গুরুত্ব কমতে থাকে। গ্র্যান্ড ক্যানালের অনেক ছোট ছোট সংযোগ খালের সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১৯৫৮ সালে মূল খালে একটা বড় ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়। সে সময় থেকেই দক্ষিণ চীনে গুরুত্বের সঙ্গে নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা। অতি সম্প্রতি বেইজিং নগর হয়তো নতুন করে আবিষ্কার করতে শুরু করেছে ভুলে যাওয়া এই খালকে। ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের সময় এই খালের পাড় ধরে একটা অলিম্পিক পার্ক গড়ে তোলা হয়। গত বছর এই খালের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘গ্র্যান্ড ক্যানাল ফরেস্ট পার্ক’। গাছ-গাছালি আর পাখ-পাখালিতে ভরা খাল পাড়ের এই উদ্যান এখন অনেক বেইজিংবাসীরই নজর কাড়ছে।
বেইজিং গ্র্যান্ড ক্যানাল কেবল মানুষের বানানো দীর্ঘতম ও প্রাচীনতম পানিপথ কিংবা এককালের সবচেয়ে বড় পুরকৌশল প্রকল্পই নয়, এটা আমাদের ধীরগতির পরিবেশবান্ধব উন্নয়নেরও একটা নমুনা। আজকের দিনে বেইজিংয়ের বুলেট ট্রেন, কিংবা আকাশছোঁয়া সব অট্টালিকা আর পশ্চিমা ধাঁচের উন্নয়নের জোয়ারের আগে সভ্যতার অগ্রযাত্রায় চীনের অনন্য পথচলার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে মানুষের বানানো এই খাল। এই নৌপথ যথাযথভাবে সংস্কার করে এখানকার প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করা গেলে মানুষের বানানো এই খালও হয়তো আগামী দুনিয়ায় চীনের বিশাল প্রাচীরের মতোই চীনের গর্ব হয়ে থাকবে।
No comments