বলিউডের আকাশে নিখোঁজ তারা
চাকচিক্যে ভরা বলিউডের মায়াবী জগতে
প্রতিষ্ঠিত হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু অনেক তারকাই যথেষ্ট চাহিদা ও
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বলিউড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আড়ালে বসবাস
করছেন। বলিউডের জগৎ ছেড়ে নিজস্ব জগতেই তাঁদের বিচরণ। বলিউডের এমন কয়েকজন
নিখোঁজ তারকার কথা বলা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে।
মমতা কুলকার্নি
নব্বইয়ের দশকের সাড়া জাগানো বলিউডের অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। খুবই অল্প বয়সে চলচ্চিত্রজগতে যাত্রা শুরু করেছিলেন মমতা। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া আশিক আওয়ারা ছবিতে সাইফ আলী খানের সঙ্গে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার লাক্স অ্যাওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার পুরস্কার ঝুলিতে ভরেন মমতা। বলিউডে ১১ বছরের অভিনয়জীবনে তিনি বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন। সালমান খান, আমির খান, শাহরুখ খানের মতো প্রভাবশালী অভিনেতাদের সঙ্গেও অভিনয় করেন তিনি। যথেষ্ট তারকাখ্যাতি থাকার পরও হঠাৎ করেই নিজেকে গুটিয়ে নেন মমতা। দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার পর গত বছরের মে মাসে খবরের শিরোনামে আসেন মমতা কুলকার্নি। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, দুবাইতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী ভিকি গোস্বামীকে মুক্ত করতে ২০১২ সালের নভেম্বরে তাঁর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মমতা। বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের সময় দুবাইতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ভিকি। ১৯৯৭ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। দুবাইতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে ২৫ বছর জেল খাটতে হয়। তবে ভালো আচরণসহ আরও কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সেখানে। ২০১২ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামি রীতি অনুযায়ী মমতাকে বিয়ে করেন ভিকি। এর পরপরই তিনি মুক্তি পান। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ভিকি বদলে গেছেন এবং ভালো মানুষে রূপান্তরিত হয়েছেন।
এদিকে গত বছর মমতা জানান, দীর্ঘ এক যুগ ধরে ঈশ্বরের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। অটোবায়োগ্রাফি অব অ্যান যোগিনী শিরোনামে আধ্যাত্মিক একটি বইও লিখেছেন ৪২ বছর বয়সী মমতা। তিনি বলেন, ‘গত ১২-১৩ বছর আমি কোথায় ছিলাম, কী করেছি, তা আমার পরিবারের সদস্যরাও জানতেন না। আধ্যাত্মিক জগতের নিয়ম পালন করতেই লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতে হয়েছে আমাকে। আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই ঈশ্বরের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের ফুরসতই মেলেনি। এমনকি আয়নায় নিজের মুখটিও দেখিনি। কেবল পার্থিব জগতে বিচরণের জন্যই নয়, ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্যও কেউ কেউ জন্ম নেয়। আমি ভিকিকে ভালোবাসি। আমার প্রায়শ্চিত্ত শেষ হওয়ার পর ভিকি মুক্ত জীবন ফিরে পেয়েছে। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।’ ভিকির মতো মমতাও ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি স্বামীর সঙ্গে কেনিয়ার নাইরোবিতে বসবাস করছেন।
মন্দাকিনী
হালকা রঙের সুন্দর চোখের মায়াবিনী অভিনেত্রী মন্দাকিনী। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া রাম তেরি গঙ্গা মাইলি ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। বলিউডের প্রথম সারির একাধিক অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন মন্দাকিনী। কিন্তু বলিউডে সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারেননি তিনি। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে তাঁর সখ্যকেই বলিউডে মন্দাকিনীর ক্যারিয়ারের ভরাডুবির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কিমি কাতকার
আশির দশকের শেষ দিক থেকে নব্বইয়ের দশকের শুরুর সময় পর্যন্ত পর্দা কাঁপিয়েছেন টারজান ছবির অভিনেত্রী কিমি কাতকার। বলিউডের বাঘা বাঘা অভিনেতার বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ‘বলিউড শাহেনশা’ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন তিনি। আলোকচিত্রী ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা শান্তনু শোরেকে বিয়ের পর বলিউড ছেড়ে দেন কিমি কাতকার।
রাহুল রায়
আশিকি ছবির মাধ্যমে বলিউডে দারুণ অভিষেক হয়েছিল রাহুল রায়ের। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোনো ছবি দিয়েই প্রথম ছবির সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি রাহুল। তারকাবহুল বলিউডের রাজ্যে নীরবে হারিয়ে গেছেন তিনি।
অনু আগারওয়াল
আশিকি ছবির ব্যাপক সাফল্যের রেশ ধরে রাতারাতি তারকা বনে যান অনু আগারওয়াল। প্রথম ছবির সাফল্যের পর আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও ফ্লপ অভিনেত্রীর তালিকায় নাম লেখান তিনি। ১৯৯৯ সালে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তাঁকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৯ দিন কোমায় থাকার পর সেরে উঠলেও তাঁর শরীরের অর্ধেক অংশ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়। তিনি বর্তমানে বিহারে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন। বিহার স্কুল অব যোগায় যোগব্যায়াম চর্চা করেন অনু।
মীনাক্ষী শেষাদ্রী
মাত্র ১৭ বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয় করেছিলেন মীনাক্ষী শেষাদ্রী। পরে বলিউডে নিরঙ্কুশ সাফল্য পান তিনি। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে শাহেনশা এবং জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে হিরোর মতো ছবিতে দেখা গেছে মীনাক্ষীকে। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় মীনাক্ষী অভিনীত সর্বশেষ ছবি ঘাতক। এরপর বলিউডের আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি গুণী এ অভিনেত্রীকে।
ভাগ্যশ্রী
আশির দশকের সাড়া জাগানো ছবি ম্যায়নে পেয়ার কিয়ায় সালমান খানের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে ভাগ্যশ্রীর সফল বলিউড অভিষেক হয়। কিন্তু পরবর্তী কয়েকটি ছবিতে তাঁর প্রতি ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হননি। তাঁর অভিনীত একের পর এক ছবি ফ্লপের খাতায় নাম লেখায়। আর এভাবেই বলিউড থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান ভাগ্যশ্রী।
আয়শা জুলকা
জো জিতা ওহি সিকান্দার ছবিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন আয়শা জুলকা। আর খিলাড়ি ছবিতে অক্ষয় কুমারের নায়িকা ছিলেন তিনি। বলিউডে শক্ত একটি আসনই গেড়েছিলেন আয়শা। কিন্তু ধনাঢ্য আবাসন ব্যবসায়ী সমীর বাসিকে বিয়ের পর বলিউড ছেড়ে দেন জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেত্রী।
সোনম
রাজীব রায় পরিচালিত ত্রিদেব ছবিতে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সোনম। পরবর্তী সময়ে বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজীব রায়কে বিয়ে করেন সোনম। আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে চাঁদাবাজির হুমকি পাওয়ায় ভারত ছেড়ে চলে যান একসময়ের জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেত্রী।
গ্রেসি সিং
‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ তারকা আমির খানের সঙ্গে লগন ছবিতে অভিনয় করে বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়ান গ্রেসি সিং। গঙ্গাজল ছবিতে অজয় দেবগন এবং মুন্নাভাই এমবিবিএস ছবিতে সঞ্জয় দত্তের মতো প্রভাবশালী অভিনেতার বিপরীতে অভিনয় করেন গ্রেসি। শুরুটা ভালো হলেও তাঁর অভিনীত একাধিক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিতে না পারায় গ্রেসির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে থাকে এবং হারিয়ে যান তিনি।
মমতা কুলকার্নি
নব্বইয়ের দশকের সাড়া জাগানো বলিউডের অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। খুবই অল্প বয়সে চলচ্চিত্রজগতে যাত্রা শুরু করেছিলেন মমতা। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া আশিক আওয়ারা ছবিতে সাইফ আলী খানের সঙ্গে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার লাক্স অ্যাওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার পুরস্কার ঝুলিতে ভরেন মমতা। বলিউডে ১১ বছরের অভিনয়জীবনে তিনি বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন। সালমান খান, আমির খান, শাহরুখ খানের মতো প্রভাবশালী অভিনেতাদের সঙ্গেও অভিনয় করেন তিনি। যথেষ্ট তারকাখ্যাতি থাকার পরও হঠাৎ করেই নিজেকে গুটিয়ে নেন মমতা। দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার পর গত বছরের মে মাসে খবরের শিরোনামে আসেন মমতা কুলকার্নি। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, দুবাইতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী ভিকি গোস্বামীকে মুক্ত করতে ২০১২ সালের নভেম্বরে তাঁর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মমতা। বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের সময় দুবাইতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ভিকি। ১৯৯৭ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। দুবাইতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে ২৫ বছর জেল খাটতে হয়। তবে ভালো আচরণসহ আরও কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সেখানে। ২০১২ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামি রীতি অনুযায়ী মমতাকে বিয়ে করেন ভিকি। এর পরপরই তিনি মুক্তি পান। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ভিকি বদলে গেছেন এবং ভালো মানুষে রূপান্তরিত হয়েছেন।
এদিকে গত বছর মমতা জানান, দীর্ঘ এক যুগ ধরে ঈশ্বরের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। অটোবায়োগ্রাফি অব অ্যান যোগিনী শিরোনামে আধ্যাত্মিক একটি বইও লিখেছেন ৪২ বছর বয়সী মমতা। তিনি বলেন, ‘গত ১২-১৩ বছর আমি কোথায় ছিলাম, কী করেছি, তা আমার পরিবারের সদস্যরাও জানতেন না। আধ্যাত্মিক জগতের নিয়ম পালন করতেই লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতে হয়েছে আমাকে। আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই ঈশ্বরের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের ফুরসতই মেলেনি। এমনকি আয়নায় নিজের মুখটিও দেখিনি। কেবল পার্থিব জগতে বিচরণের জন্যই নয়, ঈশ্বরের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্যও কেউ কেউ জন্ম নেয়। আমি ভিকিকে ভালোবাসি। আমার প্রায়শ্চিত্ত শেষ হওয়ার পর ভিকি মুক্ত জীবন ফিরে পেয়েছে। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।’ ভিকির মতো মমতাও ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি স্বামীর সঙ্গে কেনিয়ার নাইরোবিতে বসবাস করছেন।
মন্দাকিনী
হালকা রঙের সুন্দর চোখের মায়াবিনী অভিনেত্রী মন্দাকিনী। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া রাম তেরি গঙ্গা মাইলি ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। বলিউডের প্রথম সারির একাধিক অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন মন্দাকিনী। কিন্তু বলিউডে সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারেননি তিনি। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে তাঁর সখ্যকেই বলিউডে মন্দাকিনীর ক্যারিয়ারের ভরাডুবির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কিমি কাতকার
আশির দশকের শেষ দিক থেকে নব্বইয়ের দশকের শুরুর সময় পর্যন্ত পর্দা কাঁপিয়েছেন টারজান ছবির অভিনেত্রী কিমি কাতকার। বলিউডের বাঘা বাঘা অভিনেতার বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ‘বলিউড শাহেনশা’ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন তিনি। আলোকচিত্রী ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা শান্তনু শোরেকে বিয়ের পর বলিউড ছেড়ে দেন কিমি কাতকার।
রাহুল রায়
আশিকি ছবির মাধ্যমে বলিউডে দারুণ অভিষেক হয়েছিল রাহুল রায়ের। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোনো ছবি দিয়েই প্রথম ছবির সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি রাহুল। তারকাবহুল বলিউডের রাজ্যে নীরবে হারিয়ে গেছেন তিনি।
অনু আগারওয়াল
আশিকি ছবির ব্যাপক সাফল্যের রেশ ধরে রাতারাতি তারকা বনে যান অনু আগারওয়াল। প্রথম ছবির সাফল্যের পর আরও কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও ফ্লপ অভিনেত্রীর তালিকায় নাম লেখান তিনি। ১৯৯৯ সালে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তাঁকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৯ দিন কোমায় থাকার পর সেরে উঠলেও তাঁর শরীরের অর্ধেক অংশ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়। তিনি বর্তমানে বিহারে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন। বিহার স্কুল অব যোগায় যোগব্যায়াম চর্চা করেন অনু।
মীনাক্ষী শেষাদ্রী
মাত্র ১৭ বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয় করেছিলেন মীনাক্ষী শেষাদ্রী। পরে বলিউডে নিরঙ্কুশ সাফল্য পান তিনি। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে শাহেনশা এবং জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে হিরোর মতো ছবিতে দেখা গেছে মীনাক্ষীকে। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় মীনাক্ষী অভিনীত সর্বশেষ ছবি ঘাতক। এরপর বলিউডের আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি গুণী এ অভিনেত্রীকে।
ভাগ্যশ্রী
আশির দশকের সাড়া জাগানো ছবি ম্যায়নে পেয়ার কিয়ায় সালমান খানের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে ভাগ্যশ্রীর সফল বলিউড অভিষেক হয়। কিন্তু পরবর্তী কয়েকটি ছবিতে তাঁর প্রতি ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হননি। তাঁর অভিনীত একের পর এক ছবি ফ্লপের খাতায় নাম লেখায়। আর এভাবেই বলিউড থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান ভাগ্যশ্রী।
আয়শা জুলকা
জো জিতা ওহি সিকান্দার ছবিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন আয়শা জুলকা। আর খিলাড়ি ছবিতে অক্ষয় কুমারের নায়িকা ছিলেন তিনি। বলিউডে শক্ত একটি আসনই গেড়েছিলেন আয়শা। কিন্তু ধনাঢ্য আবাসন ব্যবসায়ী সমীর বাসিকে বিয়ের পর বলিউড ছেড়ে দেন জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেত্রী।
সোনম
রাজীব রায় পরিচালিত ত্রিদেব ছবিতে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সোনম। পরবর্তী সময়ে বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজীব রায়কে বিয়ে করেন সোনম। আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে চাঁদাবাজির হুমকি পাওয়ায় ভারত ছেড়ে চলে যান একসময়ের জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেত্রী।
গ্রেসি সিং
‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ তারকা আমির খানের সঙ্গে লগন ছবিতে অভিনয় করে বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়ান গ্রেসি সিং। গঙ্গাজল ছবিতে অজয় দেবগন এবং মুন্নাভাই এমবিবিএস ছবিতে সঞ্জয় দত্তের মতো প্রভাবশালী অভিনেতার বিপরীতে অভিনয় করেন গ্রেসি। শুরুটা ভালো হলেও তাঁর অভিনীত একাধিক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিতে না পারায় গ্রেসির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে থাকে এবং হারিয়ে যান তিনি।
No comments