হার্ডলাইনে সরকার -আবারো শুরু হয়েছে ধরপাকড় by আবু সালেহ আকন
রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম নেই। মিছিল-সমাবেশ নেই। কিন্তু তাই বলে গ্রেফতার অভিযান থামছে না। প্রতিদিনই গ্রেফতার হচ্ছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। আবার কেউ কেউ গ্রেফতার হওয়ার পরে পুরনো মামলায় জড়িয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্রমেই হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার। ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি যাতে দানা বাঁধতে না পারে সেজন্যই এই গ্রেফতার অভিযান। একইসাথে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সহিংসতা নিয়ে দায়েরকৃত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ডিসিদের চিঠি দেয়া হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন যাতে চাঙ্গা না হতে পারে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবকে। আমেরিকা যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে শাহবাগ থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হালিমকে সম্প্রতি খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সম্প্রতি ঝিনাইদহে গ্রেফতার হন জামায়াতে ইসলামীর ৩৮ নেতাকর্মীসহ ৪০ জন। কুরআন ও হাদিসের তালিম নেয়ার সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা। ওইদিন সিলেট ও সাতকানিয়া থেকে বিরোধী দলের আরো ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। গত ১৮ ও ২১ সেপ্টেম্বর জামায়াতের হরতাল এবং ২২ সেপ্টেম্বরের ২০ দলীয় জোটের হরতালকে কেন্দ্র করে দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে পুলিশি কাজে বাধা দান, পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুরনো মামলার সাথে নিত্যনতুন মামলা হচ্ছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতিদিনই দু-চারটি মামলা হচ্ছে দেশের কোথাও না কোথাও। রাস্তায় নামলেই মামলা হচ্ছে। মিছিল, সমাবেশসহ যেকোনো কর্মসূচিকে ঘিরেই এই মামলাগুলো দায়ের হচ্ছে। বেশির ভাগ মামলায় বাদি হচ্ছে পুলিশ। নতুন করে গ্রেফতার ও মামলা প্রদানের সাথে সাথে চলছে পুরনো মামলার চার্জশিট প্রদান। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করে বিভিন্ন মামলায় চার্জশিট প্রদান করা হচ্ছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর সাবেক মেয়র বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ৮৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় চার্জশিট প্রদান করা হয়। রাজশাহীতে বোমা মেরে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত এই মামলায় চার্জশিট প্রদান করা হয়। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নুর হোসেন খন্দকার এই চার্জশিট দাখিল করেন।
এ দিকে, সহিংসতাকে ঘিরে যেসব মামলা হয়েছে বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব মামলা হয়েছে সেসব মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের ৪৪ জেলায় এরূপ মামলার সংখ্যা তিন হাজার ৭৮০টি। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে ৭২৯টি মামলার। এসব মামলায় এজাহার নামীয় আসামি রয়েছে তিন লাখ ৫৫ হাজার ৯০৮ জন। অজ্ঞাত আসামি রয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার ৮৬২ জন। সূত্র জানায়, এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হলে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মী এই মামলায় আটকে যাবেন। এতে হয় তাদের পালিয়ে বাঁচতে হবে, না হয় গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারে বিরোধী জোট। এমন আশঙ্কাই করছে সরকার। আর সে কারণেই আগেভাগে শুরু হয়েছে ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান। একইসাথে পুরনো মামলাগুলোকেও চাঙ্গা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, পুলিশি অভিযানও বাড়ছে আগের চেয়ে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। ঈদের পরপর এই অভিযানের আরো বিস্তৃতি ঘটবে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া দিগন্তকে বলেছেন, সরকার মনে করছে ঈদের পর আন্দোলন কর্মসূচি তীব্র হয়ে উঠবে। আর আন্দোলন যাতে চাঙ্গা হতে না পারে সেজন্যই নতুন করে শুরু হয়েছে ব্যাপকহারে গ্রেফতার। একইসাথে পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে সেসব মামলায় সাজা দিতে চাচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের।
এ দিকে, পুলিশের আইজিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে এই গ্রেফতার অভিযানের ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবকে। আমেরিকা যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে শাহবাগ থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হালিমকে সম্প্রতি খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সম্প্রতি ঝিনাইদহে গ্রেফতার হন জামায়াতে ইসলামীর ৩৮ নেতাকর্মীসহ ৪০ জন। কুরআন ও হাদিসের তালিম নেয়ার সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা। ওইদিন সিলেট ও সাতকানিয়া থেকে বিরোধী দলের আরো ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। গত ১৮ ও ২১ সেপ্টেম্বর জামায়াতের হরতাল এবং ২২ সেপ্টেম্বরের ২০ দলীয় জোটের হরতালকে কেন্দ্র করে দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে পুলিশি কাজে বাধা দান, পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুরনো মামলার সাথে নিত্যনতুন মামলা হচ্ছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতিদিনই দু-চারটি মামলা হচ্ছে দেশের কোথাও না কোথাও। রাস্তায় নামলেই মামলা হচ্ছে। মিছিল, সমাবেশসহ যেকোনো কর্মসূচিকে ঘিরেই এই মামলাগুলো দায়ের হচ্ছে। বেশির ভাগ মামলায় বাদি হচ্ছে পুলিশ। নতুন করে গ্রেফতার ও মামলা প্রদানের সাথে সাথে চলছে পুরনো মামলার চার্জশিট প্রদান। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করে বিভিন্ন মামলায় চার্জশিট প্রদান করা হচ্ছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর সাবেক মেয়র বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ৮৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় চার্জশিট প্রদান করা হয়। রাজশাহীতে বোমা মেরে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত এই মামলায় চার্জশিট প্রদান করা হয়। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নুর হোসেন খন্দকার এই চার্জশিট দাখিল করেন।
এ দিকে, সহিংসতাকে ঘিরে যেসব মামলা হয়েছে বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব মামলা হয়েছে সেসব মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের ৪৪ জেলায় এরূপ মামলার সংখ্যা তিন হাজার ৭৮০টি। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে ৭২৯টি মামলার। এসব মামলায় এজাহার নামীয় আসামি রয়েছে তিন লাখ ৫৫ হাজার ৯০৮ জন। অজ্ঞাত আসামি রয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার ৮৬২ জন। সূত্র জানায়, এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হলে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মী এই মামলায় আটকে যাবেন। এতে হয় তাদের পালিয়ে বাঁচতে হবে, না হয় গ্রেফতার হয়ে জেলে যেতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারে বিরোধী জোট। এমন আশঙ্কাই করছে সরকার। আর সে কারণেই আগেভাগে শুরু হয়েছে ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান। একইসাথে পুরনো মামলাগুলোকেও চাঙ্গা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, পুলিশি অভিযানও বাড়ছে আগের চেয়ে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। ঈদের পরপর এই অভিযানের আরো বিস্তৃতি ঘটবে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া দিগন্তকে বলেছেন, সরকার মনে করছে ঈদের পর আন্দোলন কর্মসূচি তীব্র হয়ে উঠবে। আর আন্দোলন যাতে চাঙ্গা হতে না পারে সেজন্যই নতুন করে শুরু হয়েছে ব্যাপকহারে গ্রেফতার। একইসাথে পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে সেসব মামলায় সাজা দিতে চাচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের।
এ দিকে, পুলিশের আইজিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে এই গ্রেফতার অভিযানের ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
No comments