বিপন্ন ও আক্রান্ত উচ্চশিক্ষা by ড. মাহফুজ পারভেজ
উচ্চশিক্ষায় সুস্থ পরিবেশ আর রইলো না। শিক্ষক বাসে হামলা করলো সন্ত্রাসীরা। এই সন্ত্রাসীরা কারা? রাজশাহী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামে কারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে? কারা উচ্চশিক্ষাকে দলীয় সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশের একজন দুধের শিশুও জানে। চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেখানে দুষ্কৃতকারীরা বাসে হামলা করে শিক্ষকদের রক্ত ঝরিয়েই ক্ষান্ত হয় নি, শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেও হামলা করেছে। এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ করার ভাষাও শুভ বোধসম্পন্ন মানুষের জানা নেই। পুরো দেশ শক্তির দম্ভ ও দলীয় সন্ত্রাসের নিন্দায় মুখর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক বাসে হামলার ঘটনায় কোন বিবৃতি না দেয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক বেণু কুমার দে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এটা সত্যিই দুঃখজনক যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসে বোমা হামলার পরও শিক্ষামন্ত্রী একটা বিবৃতি পর্যন্ত দেননি। শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বেণু কুমার দে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কি আপনার কাছে কিছুই না? এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় আপনার কি একটুও সমবেদনা জানানোর সময় হলো না? অথচ, একজন স্কুল শিক্ষার্থী আহত হলেও শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় দেখতে গিয়েছেন এমন নজিরও আছে। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক এখন যন্ত্রণায় কাতর। আমরা আশা করছি, তিনি শিগগিরই শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেবেন।
কিন্তু দুষ্কর্মের মূল হোতাদের আড়াল করতে দলীয়করণের রাজনীতি বসে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও একতরফা আচরণ করছে। যদিও ঘটনার সত্যতা আর মূল হোতাদের এভাবে আড়াল করা যাচ্ছে না। প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপিয়েও খালাস হচ্ছে না অপকর্মের হোতারা। কারণ, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে নস্যাৎকারী দৈত্য সম্পর্কে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাই জনগণ চোখের সামনে দেখছে। দেখছে অস্ত্র হাতে তাদের সচিত্র প্রতিবেদন। অতএব, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাচ্ছে না। উগ্র আবেগ ও তীব্র উন্মাদনা দিয়েও সত্য গোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আসল সত্য স্বরূপে বের হয়েই এসেছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? এক সময় টেন্ডারবাজি, অন্তর্কলহে যে উগ্র ছাত্র সংগঠন খোদ প্রধান দলকেই বিপদে ফেলেছিল, তাদেরকে সামলানো যাচ্ছে না কেন? কেন এখন তারা সমগ্র দেশেই আতঙ্কের জাল বিস্তার করছে? নাকি এদেরকে দিয়ে প্রতিপক্ষের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও তৎপরতাকে শক্তির পথে দমনেরই পথ বেছে নেয়া হয়েছে? সংশ্লিষ্টরাই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। ব্যক্তি ও সমাজের মতোই যদি প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে তাহলে কার লাভ? বিশেষ করে, যদি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়, বন্ধ থাকে, সন্ত্রাসকবলিত হয়, তাহলে লাভ কার? জাতির তো কোন লাভ হবে না। ছাত্র বা শিক্ষকেরও ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই এতে। তবে কারা করছে উচ্চশিক্ষা ধ্বংসকারী শক্তি প্রয়োগ এবং সন্ত্রাস? ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর হামলা করছে? সত্যনিষ্ঠ হয়ে এর কারণ বের করতে হবে। ক্ষমতা ও রাজনীতির কালো চশমা দিয়ে নয়, বাস্তব সত্যের মুখোমুখি হয়েই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। জানি, এতটা রাজনৈতিক সততা দেখিয়ে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার মতো উদারতা ও বড়ত্ব অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যেই নেই। তবু মানুষ ও সমাজ, ছাত্র ও শিক্ষক, সর্বোপরি দেশের উচ্চশিক্ষাকে বাঁচানোর স্বার্থে তাদের শুভবোধের উদয় হবে বলেই সকলে আশা করছে। এ কথাও মনে রাখা দরকার, যদি দলীয়-দানবদের এখনই প্রতিহত না করা হয়, তবে সেই সব দানবিক অপশক্তিই নিজ নিজ প্রভুদেরকেও একদা আক্রান্ত করবে। এটাই সন্ত্রাসাশ্রিত রাজনীতির সবচেয়ে বড় কুফল। অতএব, এদের দাপটে খুশি হওয়ার কিছু নেই। যাদের পক্ষে এরা দাপট দেখাচ্ছে, তাদের জন্যও এরা বিপদের কারণ হবে। তাই, সন্ত্রাসের ঘৃণ্য ও বিপজ্জনক পথে নয়, বরং শান্তি ও সৌহার্দ্যের পথ ও পন্থা অনুসরণ করাই সকলের জন্য মঙ্গলজনক। সন্ত্রাসের পথে মানুষকে বিপদে ফেলে, মানুষের নিন্দা ও ঘৃণা কুড়িয়ে রাজনৈতিক সাফল্য পাওয়া যায় না, এ সত্যটিও এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন। সরকার ও বিরোধী, সকলেই কথাটি মনে রাখলেই শুভবোধের বিজয় হবে।
কিন্তু দুষ্কর্মের মূল হোতাদের আড়াল করতে দলীয়করণের রাজনীতি বসে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও একতরফা আচরণ করছে। যদিও ঘটনার সত্যতা আর মূল হোতাদের এভাবে আড়াল করা যাচ্ছে না। প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপিয়েও খালাস হচ্ছে না অপকর্মের হোতারা। কারণ, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে নস্যাৎকারী দৈত্য সম্পর্কে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতাই জনগণ চোখের সামনে দেখছে। দেখছে অস্ত্র হাতে তাদের সচিত্র প্রতিবেদন। অতএব, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাচ্ছে না। উগ্র আবেগ ও তীব্র উন্মাদনা দিয়েও সত্য গোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আসল সত্য স্বরূপে বের হয়েই এসেছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? এক সময় টেন্ডারবাজি, অন্তর্কলহে যে উগ্র ছাত্র সংগঠন খোদ প্রধান দলকেই বিপদে ফেলেছিল, তাদেরকে সামলানো যাচ্ছে না কেন? কেন এখন তারা সমগ্র দেশেই আতঙ্কের জাল বিস্তার করছে? নাকি এদেরকে দিয়ে প্রতিপক্ষের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও তৎপরতাকে শক্তির পথে দমনেরই পথ বেছে নেয়া হয়েছে? সংশ্লিষ্টরাই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। ব্যক্তি ও সমাজের মতোই যদি প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে তাহলে কার লাভ? বিশেষ করে, যদি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়, বন্ধ থাকে, সন্ত্রাসকবলিত হয়, তাহলে লাভ কার? জাতির তো কোন লাভ হবে না। ছাত্র বা শিক্ষকেরও ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই এতে। তবে কারা করছে উচ্চশিক্ষা ধ্বংসকারী শক্তি প্রয়োগ এবং সন্ত্রাস? ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর হামলা করছে? সত্যনিষ্ঠ হয়ে এর কারণ বের করতে হবে। ক্ষমতা ও রাজনীতির কালো চশমা দিয়ে নয়, বাস্তব সত্যের মুখোমুখি হয়েই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। জানি, এতটা রাজনৈতিক সততা দেখিয়ে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার মতো উদারতা ও বড়ত্ব অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যেই নেই। তবু মানুষ ও সমাজ, ছাত্র ও শিক্ষক, সর্বোপরি দেশের উচ্চশিক্ষাকে বাঁচানোর স্বার্থে তাদের শুভবোধের উদয় হবে বলেই সকলে আশা করছে। এ কথাও মনে রাখা দরকার, যদি দলীয়-দানবদের এখনই প্রতিহত না করা হয়, তবে সেই সব দানবিক অপশক্তিই নিজ নিজ প্রভুদেরকেও একদা আক্রান্ত করবে। এটাই সন্ত্রাসাশ্রিত রাজনীতির সবচেয়ে বড় কুফল। অতএব, এদের দাপটে খুশি হওয়ার কিছু নেই। যাদের পক্ষে এরা দাপট দেখাচ্ছে, তাদের জন্যও এরা বিপদের কারণ হবে। তাই, সন্ত্রাসের ঘৃণ্য ও বিপজ্জনক পথে নয়, বরং শান্তি ও সৌহার্দ্যের পথ ও পন্থা অনুসরণ করাই সকলের জন্য মঙ্গলজনক। সন্ত্রাসের পথে মানুষকে বিপদে ফেলে, মানুষের নিন্দা ও ঘৃণা কুড়িয়ে রাজনৈতিক সাফল্য পাওয়া যায় না, এ সত্যটিও এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন। সরকার ও বিরোধী, সকলেই কথাটি মনে রাখলেই শুভবোধের বিজয় হবে।
No comments