দুর্ধর্ষ দুই তরুণ সিরিয়াল কিলার by ইমরান আলী
‘খুনি’ শব্দটাতেই লুকিয়ে থাকে আতঙ্ক, ভয়,
ঘৃণা সহ অনেক কিছুই। খুনি কি শুধু বয়স্ক বা দুঃসাহসীরাই হয়। না, এমন
সন্ত্রাসী কর্মকা-ের দলভুক্ত হতে পারে তরুণরাও। শুধু বাংলাদেশই নয়,
বহির্বিশ্বের অনেক দেশেই ছিল একেবারে কম বয়সে খুনির দল। অনেকে কোন দলের না
হয়েও একাকী খুন করে গেছে একের পর এক। কখনও ঠান্ডা মাথায়, কখনও প্রতিশোধ
নিতে। যাদেরকে পরবর্তীতে যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদ- দিয়ে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়
করানো হয়েছে।
জর্জ জুনিয়াস স্টিনি। বিশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রে যার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। বয়স মাত্র ১৪।, মৃত্যুদ- কার্যকরের কিছু পূর্বেও নাকি দুর্ধর্ষ এই তরুণকে দেখাচ্ছিলো একেবারে স্বাভাবিক, ভয়হীন। ১১ ও ৮ বছরের দুই মেয়েকে খুন করেছিলো সে কোন কারণ ছাড়াই। থানায় স্টিনির খুন দুটিতে ধর্ষণ প্রচেষ্টাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও অনেকেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলো। পরবর্তীতে স্টিনিকে নিয়ে উপন্যাসসহ মুভিও তৈরি করা হয়েছিল।
জেস প্রমেরয়। যেন নেহায়েত সুবোধ বালক। যে খুন করেও স্বীকারোক্তিতে বলেছিলো, ‘আমি এটা করেছি মনে হয়’। চার্লসটাউনে ম্যাসাচুয়েটসে জন্ম নেয়া এই খুনিকে বলা হয় প্রথম ডিগ্রির খুনি। যখন প্রমেরয় মাত্র ১১ বছরের, তখন থেকেই সে তার সমবয়সী অন্য বন্ধুদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ দেখাতে শুরু করে। চার পাঁচজনকে একসঙ্গে ধরে নিয়ে জঙ্গলে চলে যেতো। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করতো। সুচ ফুটাতো। প্রমেরয়কে পরে স্থানীয় প্রশাসন ধরে নিয়ে ভর্তি করে শিশু শোধনাগারে। সেখানে সে ১০ বছর থাকে। তার ভাল ব্যবহার দেখে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। কিন্তু শোধনাগার থেকে বের হয়েই সে জড়িয়ে পড়ে আবার সেই অপরাধচক্রে। কেটি চুরান নামের ১০ বছর বয়সী এক মেয়েকে কিডন্যাপ করে। তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। হত্যা করে। এখানেই সে থেমে থাকেনি। কিছুদিন পরেই চার বছরের এক শিশুকে সে খুন করে। তথ্য প্রমাণাদিতে তার এই হত্যার কারণ দুটির সঠিক ব্যাখা পাওয়া যায়নি। আবারও আটক হয় এই কিশোরকে। দেয়া হয় আমৃত্যু কারাদ-। ৭২ বছর বয়সে কারাগারেই তার মৃত্যু হয়। অপরাধ সেটা অপরাধই। অল্প কি বেশী মাত্রার সেটা বিচারকির বিষয় হলেও কেউ এসব অপরাধে জড়িয়ে না পড়ুক সেটাই সবার প্রত্যাশা। সেই সঙ্গে অপরাধীর বিচার অবশ্যই কাম্য।
No comments