ঢাকা ফার্স্ট-বাসযোগ্য করার দায় আমাদেরই
আবারও অবনতির খবর। বসবাসের অযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকা এবার শীর্ষে। এ বছরও বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা। ১৪০টি দেশের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৪০তম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের 'বৈশ্বিক বসবাস উপযোগিতা' শীর্ষক এক জরিপে এ ফল
পাওয়া গেছে বলে ঢাকায় পত্র-পত্রিকার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। এ জরিপের ফল গত মঙ্গলবার ব্রিসবেন টাইমস অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। এই একই জরিপে ২০১১ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল খারাপের দিক থেকে দ্বিতীয় অর্থাৎ ১৪০টি দেশের মধ্যে ১৩৯। জরিপে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা, অপরাধ সংঘটনের হার, স্বাস্থ্যসেবার মান ইত্যাদি যাচাই করে নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ঢাকা পেয়েছে ৩৮.৭।
রাজধানী ঢাকা যে দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, এমন অভিযোগ একেবারে নতুন নয়। যদিও রাজধানী ঢাকাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কথা অনেক দিন আগে থেকেই বলা হচ্ছে। একটি পরিকল্পিত অত্যাধুনিক নগরী গড়ে তোলার কথা বারবার বলা হলেও বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। নানা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছে ঢাকা। আয়তনে বৃদ্ধি পেলেও রাজধানীবাসীর সুযোগ-সুবিধা সেভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। রোধ করা যায়নি অপরিকল্পিত নগরায়ণ। ফলে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ঢাকা। এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নানা অনুষঙ্গ। এখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রশ্নের সম্মুখীন। কোথায় কখন কার লাশ পড়ে থাকবে, তার ঠিক নেই। মিরপুরে গত মঙ্গলবার সকালে ছিনতাইকারীদের যে তাণ্ডব হয়েছে, তা বর্ণনা দেওয়ার মতো নয়। একদল ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। আহত হয়েছেন আরো সাতজন। এর পাশাপাশি মানুষের বিরক্তির আরেক কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে যানজট। রাজধানীতে যে সংখ্যায় গাড়ি বেড়েছে, প্রতিদিন যত গাড়ি নামছে রাজধানীর রাস্তায়- তার তুলনায় রাস্তার সংখ্যা বাড়েনি। একদা মসজিদের শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকা আজ গাড়ির শহর, যানজটের শহর। রাস্তায় বের হলে কখন গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে, সেটা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। দিনের অধিকাংশ শ্রমসময় নষ্ট হচ্ছে পথে। দীর্ঘ সময় গাড়ির জটে আটকে থেকে অনেকেই বিরক্ত এই মেগাসিটির ওপর। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ আপাতত খোলা নেই। আবার রাজধানীতে প্রতিদিন কত গাড়ি চলাচল করছে, তাও নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। বছর দুয়েক আগে সহযোগী একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, রাজধানীতে প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি গাড়ি চলাচল করে। এখন সে সংখ্যা আরো বেড়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিদিনই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানীতে দূরপাল্লার বাস আসছে। রাজধানীকে কেন্দ্র করে মনোরেল, মেট্রোরেল ইত্যাদি স্বপ্নের যে প্রকল্পের কথা উচ্চারিত হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজধানীর বাতাসে এখন বিষ। খালগুলো মরে গেছে, দখল হয়ে গেছে। বিষাক্ত বর্জ্য রাজধানীর পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। একদিকে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য রাজধানীর পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে; অন্যদিকে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামগুলো আবাসিক এলাকায় যেকোনো ধরনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। এতে ঝুঁকি আরো বাড়ছে। নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। আকাশ ঢেকে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকি। দিন দিন নগরীর পরিধি বাড়লেও পরিকল্পনার অভাব এখনো প্রকটভাবেই দৃশ্যমান। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও মানুষের লোভের আগুনে পুড়ছে রাজধানীবাসীর স্বপ্ন।
রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে হলে এর পরিবেশ বদলে দিতে হবে। ঢাকাকে বাসযোগ্য করার বিকল্প নেই। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বাসযোগ্য করতে হবে এ মহানগরীকে। ঢাকা ফার্স্ট হোক বাসযোগ্যতার সুনামে; নরকবিশেষের দুর্নামে নয়।
রাজধানী ঢাকা যে দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, এমন অভিযোগ একেবারে নতুন নয়। যদিও রাজধানী ঢাকাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কথা অনেক দিন আগে থেকেই বলা হচ্ছে। একটি পরিকল্পিত অত্যাধুনিক নগরী গড়ে তোলার কথা বারবার বলা হলেও বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। নানা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছে ঢাকা। আয়তনে বৃদ্ধি পেলেও রাজধানীবাসীর সুযোগ-সুবিধা সেভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। রোধ করা যায়নি অপরিকল্পিত নগরায়ণ। ফলে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ঢাকা। এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নানা অনুষঙ্গ। এখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রশ্নের সম্মুখীন। কোথায় কখন কার লাশ পড়ে থাকবে, তার ঠিক নেই। মিরপুরে গত মঙ্গলবার সকালে ছিনতাইকারীদের যে তাণ্ডব হয়েছে, তা বর্ণনা দেওয়ার মতো নয়। একদল ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। আহত হয়েছেন আরো সাতজন। এর পাশাপাশি মানুষের বিরক্তির আরেক কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে যানজট। রাজধানীতে যে সংখ্যায় গাড়ি বেড়েছে, প্রতিদিন যত গাড়ি নামছে রাজধানীর রাস্তায়- তার তুলনায় রাস্তার সংখ্যা বাড়েনি। একদা মসজিদের শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকা আজ গাড়ির শহর, যানজটের শহর। রাস্তায় বের হলে কখন গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে, সেটা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। দিনের অধিকাংশ শ্রমসময় নষ্ট হচ্ছে পথে। দীর্ঘ সময় গাড়ির জটে আটকে থেকে অনেকেই বিরক্ত এই মেগাসিটির ওপর। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ আপাতত খোলা নেই। আবার রাজধানীতে প্রতিদিন কত গাড়ি চলাচল করছে, তাও নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। বছর দুয়েক আগে সহযোগী একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, রাজধানীতে প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি গাড়ি চলাচল করে। এখন সে সংখ্যা আরো বেড়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিদিনই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানীতে দূরপাল্লার বাস আসছে। রাজধানীকে কেন্দ্র করে মনোরেল, মেট্রোরেল ইত্যাদি স্বপ্নের যে প্রকল্পের কথা উচ্চারিত হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজধানীর বাতাসে এখন বিষ। খালগুলো মরে গেছে, দখল হয়ে গেছে। বিষাক্ত বর্জ্য রাজধানীর পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। একদিকে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য রাজধানীর পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে; অন্যদিকে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামগুলো আবাসিক এলাকায় যেকোনো ধরনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। এতে ঝুঁকি আরো বাড়ছে। নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। আকাশ ঢেকে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকি। দিন দিন নগরীর পরিধি বাড়লেও পরিকল্পনার অভাব এখনো প্রকটভাবেই দৃশ্যমান। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও মানুষের লোভের আগুনে পুড়ছে রাজধানীবাসীর স্বপ্ন।
রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে হলে এর পরিবেশ বদলে দিতে হবে। ঢাকাকে বাসযোগ্য করার বিকল্প নেই। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বাসযোগ্য করতে হবে এ মহানগরীকে। ঢাকা ফার্স্ট হোক বাসযোগ্যতার সুনামে; নরকবিশেষের দুর্নামে নয়।
No comments