প্রধানমন্ত্রীর 'ঈদ উপহার' ১০০% বিরোধী দলমুক্ত! by রেজা রায়হান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এমপিদের মাধ্যমে অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থ মহিলাদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করছেন। এই তালিকায় আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের শরিক দলগুলোর সংসদ সদস্যরা আছেন। বঞ্চিত হয়েছেন শুধু বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
এমনকি একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমও এই বরাদ্দ পাননি। অথচ সংসদ সদস্য পদ (টাঙ্গাইল-৫) হারানো জাতীয় পার্টির আবুল কাশেমের নামেও উপহারসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিএনপির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও তাঁর নামে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে এমপিদের নামে বরাদ্দ হলে শুধু সরকারদলীয় নয়, বিরোধী দলের এমপিদের নামেও বরাদ্দ হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে বিতরণকৃত ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শাড়ি এবং থ্রি-পিস (সালোয়ার, কামিজ ও ওড়না)। ঈদের আগে এক লাখ ৮৪ হাজার দুস্থ ও অসহায় মহিলার ত্রাণ হিসেবে এই বস্ত্রসামগ্রী উপহার পাওয়ার কথা।
সূত্র মতে, গত ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ শামীম মুশফিকের স্বাক্ষরে জারিকৃত আদেশে বলা হয়েছে, 'আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী (শাড়ি ও থ্রি-পিস) বিতরণের সদয় ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।' এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ৩০৮ জন সংসদ সদস্যের (মহিলা সংসদ সদস্যসহ) নামের বিপরীতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাতে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে ৫০০ পিস সিনথেটিক শাড়ি এবং ১০০টি থ্রি-পিস বরাদ্দের তালিকা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ঢাকাস্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে বর্ণিত ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করে সংসদ সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় বিতরণ ও হিসাব সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ সংসদ সদস্যই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে সরাসরি ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করে এলাকায় বিতরণের জন্য নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। বঞ্চিত হচ্ছেন কেবল বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ও তাঁদের নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষ।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসারের আদেশে বর্ণিত তালিকার ৩০৮ সংসদ সদস্যের মধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, এলডিপি এবং একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের নামে কোনো ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কেউ কেউ ত্রাণ ভাণ্ডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিরোধী সংসদ সদস্যদের এলাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়। তবে তালিকায় দেখা যায়, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সদস্য পদ বাতিল হওয়া জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবুল কাশেমের অনুকূলে বরাদ্দ রয়েছে। গত ২৫ জুলাই আদেশ জারির সময় নতুন সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান শপথ নেননি। তবে আবুল কাশেমের সদস্য পদ বাতিলের রায় অনেক আগেই হয়েছিল। মাহমুদুল হাসান গত ৮ আগস্ট শপথ নেন। তবে সরকারের 'নীতি' অনুযায়ী আগে শপথ নিলেও রাজনৈতিক কারণে মাহমুদুল হাসানের নির্বাচনী এলাকার বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হতো না। অন্যদিকে বরাদ্দ থাকলেও আবুল কাশেম ত্রাণসামগ্রী উত্তোলন করেননি বলে জানান টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক বজলুল করিম চৌধুরী। আর এ কারণে বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও টাঙ্গাইল-৫ নির্বাচনী এলাকার ৬০০ অসহায় দরিদ্র ও দুস্থ মহিলা এই বস্ত্রসামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ থেকে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী- এ দুটি জেলা সম্পূর্ণই বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা সেখানে ক্ষমতাসীন জোটের কোনো দলীয় সংসদ সদস্য নেই। বর্তমানে সংসদে মহিলা সদস্যসহ মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০। এর মধ্যে একজন স্বতন্ত্র সদস্যসহ বিরোধী দলের সদস্য ৪২ জন। এই ৪২ জনের নির্বাচনী এলাকার অধিবাসী দরিদ্র ও দুস্থ মহিলারা এবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করায় তাঁর এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষের ঈদ সামগ্রী পাওয়ার বিষয়টিও অনিশ্চিত।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে এবং সংসদ নেতা হিসেবেও প্রধানমন্ত্রী সরকার ও বিরোধী দলনির্বিশেষে সব সংসদ সদস্যের ও তাঁদের এলাকার জনগণের প্রতি সমান আচরণ করবেন- এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দলীয়করণের সংস্কৃতি রাজনীতিকে এখন এতটাই নিচে নামিয়েছে যে ঈদে সামান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণেও দলীয়করণ সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকা থেকে যেসব সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জামায়াতের দুজন এবং বিজেপি, এলডিপি ও স্বতন্ত্র একজন করে সদস্য ছাড়া বাকি ৩৭ জনই বিএনপির। বঞ্চিত সংসদ সদস্যরা হলেন জয়পুরহাটের মো. মোজাহার আলী প্রধান ও গোলাম মোস্তফা, বগুড়ার এ কে এম হাফিজুর রহমান, আব্দুল মোমিন তালুকদার, জেড আই এম মোস্তফা আলী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মওদুদ আহমদ, সিরাজগঞ্জের বেগম রুমানা মাহমুদ, মেহেরপুরের মো. আমজাদ হোসেন, খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ভোলার আন্দালিব রহমান (বিজেপি), বরিশালের মো. মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ ও মো. মজিবর রহমান সরোয়ার, টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, হবিগঞ্জের শেখ সুজাত মিয়া, কুমিল্লার এম কে আনোয়ার ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, চাঁদপুরের মো. হারুনুর রশিদ, ফেনীর খালেদা জিয়া, জয়নাল আবেদীন ও মো. মোশাররফ হোসেন, নোয়াখালীর এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবদিন ফারুক, মো. বরকতউল্লা বুলু ও মোহাম্মদ ফজলুল আজিম (স্বতন্ত্র), লক্ষ্মীপুরের নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, চট্টগ্রামের সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম (এলডিপি), আ ন ম শামসুল ইসলাম (জামায়াতে ইসলামী), জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও মোস্তফা কামাল পাশা, কক্সবাজারের বেগম হাসিনা আহমেদ, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ (জামায়াতে ইসলামী) ও লুৎফুর রহমান এবং মহিলা আসনের বেগম নিলোফার চৌধুরী মনি, মোসাম্মৎ শাম্মী আখতার, রাশেদা বেগম হীরা, বেগম রেহানা আখতার রানু ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া।
বিএনপিদলীয় সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি কালের কণ্ঠকে জানান, ঈদ উপলক্ষে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার কিংবা স্পিকারের পক্ষ থেকে কোনো বরাদ্দ পাননি। এসব বরাদ্দ করা সামগ্রী কোনো ব্যক্তি বা দলের নিজস্ব কিছু নয়। এগুলো দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকার। এগুলো সব জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিরোধী দলের সংসদ সদস্য হওয়ায় তাঁরা এটা পাননি। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলেই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটল।
সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বর্তমানে নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে দুই দিন ধরে টেলিফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে এমপিদের নামে বরাদ্দ হলে শুধু সরকারদলীয় নয়, বিরোধী দলের এমপিদের নামেও বরাদ্দ হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে বিতরণকৃত ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শাড়ি এবং থ্রি-পিস (সালোয়ার, কামিজ ও ওড়না)। ঈদের আগে এক লাখ ৮৪ হাজার দুস্থ ও অসহায় মহিলার ত্রাণ হিসেবে এই বস্ত্রসামগ্রী উপহার পাওয়ার কথা।
সূত্র মতে, গত ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ শামীম মুশফিকের স্বাক্ষরে জারিকৃত আদেশে বলা হয়েছে, 'আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী (শাড়ি ও থ্রি-পিস) বিতরণের সদয় ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।' এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ৩০৮ জন সংসদ সদস্যের (মহিলা সংসদ সদস্যসহ) নামের বিপরীতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাতে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে ৫০০ পিস সিনথেটিক শাড়ি এবং ১০০টি থ্রি-পিস বরাদ্দের তালিকা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ঢাকাস্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে বর্ণিত ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করে সংসদ সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় বিতরণ ও হিসাব সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ সংসদ সদস্যই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে সরাসরি ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করে এলাকায় বিতরণের জন্য নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। বঞ্চিত হচ্ছেন কেবল বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ও তাঁদের নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষ।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসারের আদেশে বর্ণিত তালিকার ৩০৮ সংসদ সদস্যের মধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, এলডিপি এবং একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের নামে কোনো ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কেউ কেউ ত্রাণ ভাণ্ডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিরোধী সংসদ সদস্যদের এলাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়। তবে তালিকায় দেখা যায়, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সদস্য পদ বাতিল হওয়া জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আবুল কাশেমের অনুকূলে বরাদ্দ রয়েছে। গত ২৫ জুলাই আদেশ জারির সময় নতুন সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান শপথ নেননি। তবে আবুল কাশেমের সদস্য পদ বাতিলের রায় অনেক আগেই হয়েছিল। মাহমুদুল হাসান গত ৮ আগস্ট শপথ নেন। তবে সরকারের 'নীতি' অনুযায়ী আগে শপথ নিলেও রাজনৈতিক কারণে মাহমুদুল হাসানের নির্বাচনী এলাকার বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হতো না। অন্যদিকে বরাদ্দ থাকলেও আবুল কাশেম ত্রাণসামগ্রী উত্তোলন করেননি বলে জানান টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক বজলুল করিম চৌধুরী। আর এ কারণে বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও টাঙ্গাইল-৫ নির্বাচনী এলাকার ৬০০ অসহায় দরিদ্র ও দুস্থ মহিলা এই বস্ত্রসামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ থেকে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী- এ দুটি জেলা সম্পূর্ণই বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা সেখানে ক্ষমতাসীন জোটের কোনো দলীয় সংসদ সদস্য নেই। বর্তমানে সংসদে মহিলা সদস্যসহ মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০। এর মধ্যে একজন স্বতন্ত্র সদস্যসহ বিরোধী দলের সদস্য ৪২ জন। এই ৪২ জনের নির্বাচনী এলাকার অধিবাসী দরিদ্র ও দুস্থ মহিলারা এবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করায় তাঁর এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষের ঈদ সামগ্রী পাওয়ার বিষয়টিও অনিশ্চিত।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে এবং সংসদ নেতা হিসেবেও প্রধানমন্ত্রী সরকার ও বিরোধী দলনির্বিশেষে সব সংসদ সদস্যের ও তাঁদের এলাকার জনগণের প্রতি সমান আচরণ করবেন- এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দলীয়করণের সংস্কৃতি রাজনীতিকে এখন এতটাই নিচে নামিয়েছে যে ঈদে সামান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণেও দলীয়করণ সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকা থেকে যেসব সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জামায়াতের দুজন এবং বিজেপি, এলডিপি ও স্বতন্ত্র একজন করে সদস্য ছাড়া বাকি ৩৭ জনই বিএনপির। বঞ্চিত সংসদ সদস্যরা হলেন জয়পুরহাটের মো. মোজাহার আলী প্রধান ও গোলাম মোস্তফা, বগুড়ার এ কে এম হাফিজুর রহমান, আব্দুল মোমিন তালুকদার, জেড আই এম মোস্তফা আলী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মওদুদ আহমদ, সিরাজগঞ্জের বেগম রুমানা মাহমুদ, মেহেরপুরের মো. আমজাদ হোসেন, খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ভোলার আন্দালিব রহমান (বিজেপি), বরিশালের মো. মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ ও মো. মজিবর রহমান সরোয়ার, টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, হবিগঞ্জের শেখ সুজাত মিয়া, কুমিল্লার এম কে আনোয়ার ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, চাঁদপুরের মো. হারুনুর রশিদ, ফেনীর খালেদা জিয়া, জয়নাল আবেদীন ও মো. মোশাররফ হোসেন, নোয়াখালীর এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবদিন ফারুক, মো. বরকতউল্লা বুলু ও মোহাম্মদ ফজলুল আজিম (স্বতন্ত্র), লক্ষ্মীপুরের নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, চট্টগ্রামের সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম (এলডিপি), আ ন ম শামসুল ইসলাম (জামায়াতে ইসলামী), জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও মোস্তফা কামাল পাশা, কক্সবাজারের বেগম হাসিনা আহমেদ, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ (জামায়াতে ইসলামী) ও লুৎফুর রহমান এবং মহিলা আসনের বেগম নিলোফার চৌধুরী মনি, মোসাম্মৎ শাম্মী আখতার, রাশেদা বেগম হীরা, বেগম রেহানা আখতার রানু ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া।
বিএনপিদলীয় সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি কালের কণ্ঠকে জানান, ঈদ উপলক্ষে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার কিংবা স্পিকারের পক্ষ থেকে কোনো বরাদ্দ পাননি। এসব বরাদ্দ করা সামগ্রী কোনো ব্যক্তি বা দলের নিজস্ব কিছু নয়। এগুলো দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকার। এগুলো সব জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিরোধী দলের সংসদ সদস্য হওয়ায় তাঁরা এটা পাননি। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলেই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটল।
সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বর্তমানে নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে দুই দিন ধরে টেলিফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
No comments