নৌপথে যাত্রীর চাপ সহনীয় by তৌফিক মারুফ
গুলিস্তান থেকে সদরঘাট। মানুষ আর রিকশা-গাড়ির সারি। ঘরমুখো মানুষ কেবলই ছুটছে। যে করেই হোক, শেকড়ে ফিরতে হবে। এরা সবাই নৌপথের যাত্রী। লঞ্চ-স্টিমার ধরার জন্য হন্যে হয়ে দুপুর থেকে সদরঘাটে ঢাকা নৌবন্দরের উদ্দেশে ছোটে তারা।
এই ভিড় ভাগ হয়ে যায় ঘাটে পৌঁছে। যার যার মতো করে জায়গা করে নেয় বিভিন্ন নৌযানে। এটা বরাবরের চিত্র।
সদরঘাটের এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। মানুষের ঢল ঠিকই আছে। তবে এবার অনেকটাই হালকা-পাতলা। অন্যবারের মতো ঠাসাঠাসি-গাদাগাদি নেই। তবে টিকিট নিয়ে হয়রানি, কালোবাজারি ও যাত্রীবাহী লঞ্চে পণ্য পরিবহনের চিত্র আছে আগের মতোই। প্রশাসনের শত পদক্ষেপ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেও লঞ্চগুলো নিজেদের মতো করেই ভাড়া আদায় করছে।
'নৌপথে এবার মানুষের ঢল নেই, ভিড় আছে ফাঁকা ফাঁকা! কারণ দীর্ঘ বন্ধের সুযোগ।' মন্তব্যটি ঢাকা নৌবন্দর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের। তাঁর কথার প্রতিফলন পাওয়া যায় গতকাল বুধবার সদরঘাট নৌবন্দরের পন্টুন এলাকা ঘুরে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে বন্ধের দিনেও যানজটে নাকাল, ঝক্কিঝামেলা কাটিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে ঘাটে পৌঁছার পর স্বস্তির শ্বাস ফেলছে।
বরিশালমুখী লঞ্চের যাত্রী রুখসানা ইয়াসমিন নিজের ওপরই রাগ ঝাড়লেন। বললেন, 'ইস, মানুষের কাছে যে ভিড়ের কথা শুনছিলাম, এখানে তো তেমটা দেখছি না! কেন যে এই ভরদুপুরে ছুটে এলাম! এখন শুনছি লঞ্চ নাকি সন্ধ্যার পর ছাড়বে। ভিড়ও তো তেমনটা না।'
গতকাল দুপুর ১টায় নর্থসাউথ রোড ও ইংলিশ রোডের মোড়ে রিকশা থেকে নেমে দুই হাতে দুই ব্যাগ আর কাঁধে আরেকটি ঝোলা ঝুলিয়ে হন্তদন্ত হয়ে হাঁটতে শুরু করেন ইসমাইল হোসেন। রিকশা বিদায় দিয়ে এভাবে হাঁটার কারণ জানতে চাইলে ইসমাইল বলেন, 'দেখেন না, সামনে যে জ্যাম, কয়টায় যাইয়া ঘাটে পৌঁছতে পারি, আল্লায় জানে। এর চেয়ে পায়ে হাইট্টা গেলে আগে যাইতে পারুম। কষ্ট হইলেও লঞ্চটা তো ধরতে পারমু!' একটু থেমেই তিনি যোগ করেন, 'ভাগ্যিস এইবার বউ আর মাইয়া-পোলাগো আগে পাঠাইয়া দিছি। নইলে এইবারও খবর আছিল।'
সদরঘাটের পন্টুনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি দেখে নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন কয়েকজন। তাঁরা নিরাপত্তাকর্মী। হাসির কারণ জানতে চাইলে তাঁদের হাসির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। একজন বলেন, 'হাসিও পায় আবার খারাপও লাগে। দেখেন না মানুষগুলান কেমনে পড়িমরি করে দৌড়ায়; কিন্তু কোনো লঞ্চই এহন ছাড়ব না। লঞ্চওয়ালারা খামাখাই মানুষগোরে আগেভাগে আইতে কইছে।' পাশ থেকে মিনারেল ওয়াটারের বোতল হাতে বরগুনাগামী যাত্রী ইলিয়াস বলেন, 'গেলবার লঞ্চ থেকে বলেছিল, ৩টায় ঘাটে আসতে। কিন্তু আড়াইটায় ঘাটে আইসা দেখি লঞ্চ নাই, ২টার আগেই লঞ্চ ঘাট ছাইড়া গেছে। পরে তো বহু কান্দাকাডি কইর্যা কোনোমতে আরেকটা লঞ্চের ছাদে জীবন হাতে লইয়া বাড়ি গেছিলাম। এইবার লঞ্চ থেকে বলছিল, ৪টায় আসতে। তবু গতবারের কথা মনে কইরা ১টার আগেই ঘাটে আইছি। এখন শুনি লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যার দিকে।'
ঘাটের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, হন্তদন্ত হয়ে উদ্বিগ্ন মানুষগুলো ঘাটে প্রবেশ করে পন্টুনে গিয়ে লঞ্চের গা-ছাড়া ভাব দেখে একরকম বিরক্ত হন। পন্টুনে এবার তুলনামূলক অনেকটা ফাঁকা ফাঁকা চিত্র। যদিও বিকালনাগাদ লঞ্চগুলোর ডেক ভরে যায়। এমনকি কেবিনের করিডরেও আশ্রয় নেয় যাত্রীরা।
পারাবত লঞ্চের কর্মী ইনসান বলেন, 'এইটা আসলে ভিড়ই না। যারা নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করে, তারা এমনটা দেখে অভ্যস্ত। সাধারণ সময়েও দুই-তিন দিনের ছুটি হলে এমন ভিড় থাকে।'
গতবারের মতো ঠিক দুপুরের আগে কোনো লঞ্চ না ছাড়লেও গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় এমভি আঁচল-১০ সদরঘাট ছেড়ে যায় হুলারহাটের উদ্দেশে। কিছুক্ষণ পরই ভোলার দৌলতখানের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি শুভরাজ লঞ্চ।
তুলনামূলক কম ভিড় প্রসঙ্গে ঢাকা নৌবন্দরের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাবি্লউটিএ) ঊর্ধ্বতন উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার ঈদের আগে বন্ধ অনেক লম্বা। ফলে মানুষ দীর্ঘ সময়ের সুযোগে ভাগে ভাগে ধীরে-সুস্থে বাড়ি ফিরছে। এক-দুই দিনে বাড়ি ফেরার চাপ এবার থাকছে না। তাই অন্যবারের পরিচিত উপচেপড়া ভিড়ও দেখা যাবে না। তিনি জানান, এবার লঞ্চের ব্যবস্থাপনাও ভালো। রোটেশন তুলে নেওয়া হয়েছে আগেভাগে। সব লঞ্চই নিজ নিজ রুটে চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে। সাধারণ সময় যেখানে ৫০-৫৫টি লঞ্চ যাতায়াত করে, সেখানে এখন ৭০-৭২টি লঞ্চ চলছে দূরপাল্লার রুটে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, 'সাধারণ ডেকের যাত্রী নিয়ে খুব একটা চাপ নেই। চাপ হচ্ছে কেবিন নিয়ে। প্রয়োজনের তুলনায় কেবিন এতই কম যে বুকিং সামাল দিতে অবস্থা বেগতিক হয়ে যায়। পরিচিত জন আর তদবির তো আছেই।'
লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ লঞ্চ কম্পানির প্রধান কার্যালয় বরিশালে হওয়ায় টিকিট বুকিংয়ের চাপও সামলাতে হয় বরিশালে বসে। যারা ঢাকা থেকে বরিশালে যায়, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে বরিশাল থেকেই বুকিং দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে সরকারি নৌযাত্রী পরিবহনেও ডেকের চেয়ে কেবিনের যাত্রী সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ঈদ উপলক্ষে দুটি করে স্টিমার চালু করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।
বিআইডাবি্লউটিসির ঢাকা ঘাটের ব্যবস্থাপক খালেদ নওয়াজ জানান, গতকাল ঢাকা থেকে পিএস মাসউদ ও পিএস লেপচা ছেড়ে যায় হুলারহাটের উদ্দেশে। এ ছাড়া চাঁদপুর থেকে ওই বহরে যুক্ত হচ্ছে পিএস শেলা। তিনি জানান, স্টিমারের ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নেই। এ জন্য শেলাকে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়নি।
দুই লঞ্চের চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু : এদিকে গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সদরঘাটের ১০ নম্বর পন্টুনে হাতিয়াগামী পানামা লঞ্চকে এমভি টিপু-৩ নামের অন্য একটি লঞ্চ বেপরোয়া ধাক্কা দেয়। এ সময় দুই লঞ্চের চাপায় সালেহ আহমেদ (৬৫) নামের এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা নৌবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, অসাবধানতার কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিপজ্জনক স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
সদরঘাটের এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। মানুষের ঢল ঠিকই আছে। তবে এবার অনেকটাই হালকা-পাতলা। অন্যবারের মতো ঠাসাঠাসি-গাদাগাদি নেই। তবে টিকিট নিয়ে হয়রানি, কালোবাজারি ও যাত্রীবাহী লঞ্চে পণ্য পরিবহনের চিত্র আছে আগের মতোই। প্রশাসনের শত পদক্ষেপ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেও লঞ্চগুলো নিজেদের মতো করেই ভাড়া আদায় করছে।
'নৌপথে এবার মানুষের ঢল নেই, ভিড় আছে ফাঁকা ফাঁকা! কারণ দীর্ঘ বন্ধের সুযোগ।' মন্তব্যটি ঢাকা নৌবন্দর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের। তাঁর কথার প্রতিফলন পাওয়া যায় গতকাল বুধবার সদরঘাট নৌবন্দরের পন্টুন এলাকা ঘুরে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে বন্ধের দিনেও যানজটে নাকাল, ঝক্কিঝামেলা কাটিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে ঘাটে পৌঁছার পর স্বস্তির শ্বাস ফেলছে।
বরিশালমুখী লঞ্চের যাত্রী রুখসানা ইয়াসমিন নিজের ওপরই রাগ ঝাড়লেন। বললেন, 'ইস, মানুষের কাছে যে ভিড়ের কথা শুনছিলাম, এখানে তো তেমটা দেখছি না! কেন যে এই ভরদুপুরে ছুটে এলাম! এখন শুনছি লঞ্চ নাকি সন্ধ্যার পর ছাড়বে। ভিড়ও তো তেমনটা না।'
গতকাল দুপুর ১টায় নর্থসাউথ রোড ও ইংলিশ রোডের মোড়ে রিকশা থেকে নেমে দুই হাতে দুই ব্যাগ আর কাঁধে আরেকটি ঝোলা ঝুলিয়ে হন্তদন্ত হয়ে হাঁটতে শুরু করেন ইসমাইল হোসেন। রিকশা বিদায় দিয়ে এভাবে হাঁটার কারণ জানতে চাইলে ইসমাইল বলেন, 'দেখেন না, সামনে যে জ্যাম, কয়টায় যাইয়া ঘাটে পৌঁছতে পারি, আল্লায় জানে। এর চেয়ে পায়ে হাইট্টা গেলে আগে যাইতে পারুম। কষ্ট হইলেও লঞ্চটা তো ধরতে পারমু!' একটু থেমেই তিনি যোগ করেন, 'ভাগ্যিস এইবার বউ আর মাইয়া-পোলাগো আগে পাঠাইয়া দিছি। নইলে এইবারও খবর আছিল।'
সদরঘাটের পন্টুনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি দেখে নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন কয়েকজন। তাঁরা নিরাপত্তাকর্মী। হাসির কারণ জানতে চাইলে তাঁদের হাসির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। একজন বলেন, 'হাসিও পায় আবার খারাপও লাগে। দেখেন না মানুষগুলান কেমনে পড়িমরি করে দৌড়ায়; কিন্তু কোনো লঞ্চই এহন ছাড়ব না। লঞ্চওয়ালারা খামাখাই মানুষগোরে আগেভাগে আইতে কইছে।' পাশ থেকে মিনারেল ওয়াটারের বোতল হাতে বরগুনাগামী যাত্রী ইলিয়াস বলেন, 'গেলবার লঞ্চ থেকে বলেছিল, ৩টায় ঘাটে আসতে। কিন্তু আড়াইটায় ঘাটে আইসা দেখি লঞ্চ নাই, ২টার আগেই লঞ্চ ঘাট ছাইড়া গেছে। পরে তো বহু কান্দাকাডি কইর্যা কোনোমতে আরেকটা লঞ্চের ছাদে জীবন হাতে লইয়া বাড়ি গেছিলাম। এইবার লঞ্চ থেকে বলছিল, ৪টায় আসতে। তবু গতবারের কথা মনে কইরা ১টার আগেই ঘাটে আইছি। এখন শুনি লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যার দিকে।'
ঘাটের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, হন্তদন্ত হয়ে উদ্বিগ্ন মানুষগুলো ঘাটে প্রবেশ করে পন্টুনে গিয়ে লঞ্চের গা-ছাড়া ভাব দেখে একরকম বিরক্ত হন। পন্টুনে এবার তুলনামূলক অনেকটা ফাঁকা ফাঁকা চিত্র। যদিও বিকালনাগাদ লঞ্চগুলোর ডেক ভরে যায়। এমনকি কেবিনের করিডরেও আশ্রয় নেয় যাত্রীরা।
পারাবত লঞ্চের কর্মী ইনসান বলেন, 'এইটা আসলে ভিড়ই না। যারা নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করে, তারা এমনটা দেখে অভ্যস্ত। সাধারণ সময়েও দুই-তিন দিনের ছুটি হলে এমন ভিড় থাকে।'
গতবারের মতো ঠিক দুপুরের আগে কোনো লঞ্চ না ছাড়লেও গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় এমভি আঁচল-১০ সদরঘাট ছেড়ে যায় হুলারহাটের উদ্দেশে। কিছুক্ষণ পরই ভোলার দৌলতখানের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি শুভরাজ লঞ্চ।
তুলনামূলক কম ভিড় প্রসঙ্গে ঢাকা নৌবন্দরের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাবি্লউটিএ) ঊর্ধ্বতন উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার ঈদের আগে বন্ধ অনেক লম্বা। ফলে মানুষ দীর্ঘ সময়ের সুযোগে ভাগে ভাগে ধীরে-সুস্থে বাড়ি ফিরছে। এক-দুই দিনে বাড়ি ফেরার চাপ এবার থাকছে না। তাই অন্যবারের পরিচিত উপচেপড়া ভিড়ও দেখা যাবে না। তিনি জানান, এবার লঞ্চের ব্যবস্থাপনাও ভালো। রোটেশন তুলে নেওয়া হয়েছে আগেভাগে। সব লঞ্চই নিজ নিজ রুটে চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে। সাধারণ সময় যেখানে ৫০-৫৫টি লঞ্চ যাতায়াত করে, সেখানে এখন ৭০-৭২টি লঞ্চ চলছে দূরপাল্লার রুটে।
লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, 'সাধারণ ডেকের যাত্রী নিয়ে খুব একটা চাপ নেই। চাপ হচ্ছে কেবিন নিয়ে। প্রয়োজনের তুলনায় কেবিন এতই কম যে বুকিং সামাল দিতে অবস্থা বেগতিক হয়ে যায়। পরিচিত জন আর তদবির তো আছেই।'
লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ লঞ্চ কম্পানির প্রধান কার্যালয় বরিশালে হওয়ায় টিকিট বুকিংয়ের চাপও সামলাতে হয় বরিশালে বসে। যারা ঢাকা থেকে বরিশালে যায়, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে বরিশাল থেকেই বুকিং দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে সরকারি নৌযাত্রী পরিবহনেও ডেকের চেয়ে কেবিনের যাত্রী সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ঈদ উপলক্ষে দুটি করে স্টিমার চালু করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।
বিআইডাবি্লউটিসির ঢাকা ঘাটের ব্যবস্থাপক খালেদ নওয়াজ জানান, গতকাল ঢাকা থেকে পিএস মাসউদ ও পিএস লেপচা ছেড়ে যায় হুলারহাটের উদ্দেশে। এ ছাড়া চাঁদপুর থেকে ওই বহরে যুক্ত হচ্ছে পিএস শেলা। তিনি জানান, স্টিমারের ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নেই। এ জন্য শেলাকে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়নি।
দুই লঞ্চের চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু : এদিকে গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সদরঘাটের ১০ নম্বর পন্টুনে হাতিয়াগামী পানামা লঞ্চকে এমভি টিপু-৩ নামের অন্য একটি লঞ্চ বেপরোয়া ধাক্কা দেয়। এ সময় দুই লঞ্চের চাপায় সালেহ আহমেদ (৬৫) নামের এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা নৌবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, অসাবধানতার কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিপজ্জনক স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
No comments