একই পথে তৌফিক ও পাকিস্তান by আরিফুল ইসলাম
আগের দুই দিনের কথা ভুলে যান। শুধু কালকের পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে কী মনে হবে? লাঞ্চের আগে কোনো উইকেট না হারিয়েও ২১ ওভারে ৫২ রান, সারা দিনে ২ উইকেট হারিয়েও ৬৯ ওভারে মাত্র ২০৫ রান—এসবের ব্যাখ্যা একটাই হতে পারে, ম্যাচ বাঁচাতে লড়ছে পাকিস্তান! সত্যিটা আপনিও জানেন। ম্যাচ বাঁচাতে লড়তে হওয়া মানে পাকিস্তানের জন্য বলতে গেলে পরাজয়ের সমান। বাংলাদেশের জন্য উল্টোটা, ড্র-ই তো জয়ের সমান! একদিক থেকে
চিন্তা করলে পাকিস্তান তা-ই বাংলাদেশের উপকারই করছে। পাকিস্তান যত বেশিক্ষণ ব্যাটিং করবে, বাংলাদেশের ড্র করার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। ৩ উইকেটে ৩০০ ছুঁই-ছুঁই রানের পরও তাই প্রশ্নবিদ্ধ পাকিস্তানের ব্যাটিং।
এই শম্বুক ব্যাটিংয়ের ‘নেতা’ তৌফিক উমরের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল নিজেদের সহজাত খেলাটা খেলা এবং বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করা। দিনের শুরুতে দু-তিন উইকেট হারিয়ে ফেললে সমস্যা হয়ে যেত। তাই পরিকল্পনা ছিল আগে ওদের রানের কাছাকাছি যাওয়া। এখন আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। কাল আমরা চালিয়ে খেলব, এরপর দেখা যাক ম্যাচ কোন দিকে গড়ায়।’
তৌফিকই যা বললেন, পাকিস্তানের শম্বুক ব্যাটিংয়ের রহস্য কিন্তু সেটাই, ‘সহজাত’ খেলা। এই দলের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যনের মধ্যে মোহাম্মদ হাফিজই যা একটু রোমাঞ্চপ্রিয়। বাকি কেউ ওভারপ্রতি সাড়ে তিন-চার রান করে তোলার অস্ট্রেলীয় মানদণ্ডে একটুও বিশ্বাসী নন। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ বলেই হয়তো এমন ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তান ঠিক এই ব্যাটিংটাই করে আসছে বছরজুড়েই। কালকের আগে এ বছর এক শর বেশি রান করা পাকিস্তানের এমন ১২ ইনিংসের নয়টিতেই রানরেট ছিল তিনের কম। বাকি তিনটির দুটিতে ছিল ৩.৩৫, একটিতে ঠিক ৩.০০। এটাই তো পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের আসল চেহারা।
তবে তৌফিকের ব্যাটিংয়ের আসল চেহারা এটা নয়। টেস্টে যেদিন প্রথম ব্যাট করতে নেমেছিলেন, অন্য প্রান্তে ছিলেন সাঈদ আনোয়ার। আনোয়ারের মতো না হলেও দারুণ সব শট খেলতেন তিনিও। ২০০১ এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন টেস্ট অভিষেকে, এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০০৩ সালে কেপটাউনে পোলক-এনটিনি-হেওয়ার্ড-ক্যালিসদের বিপক্ষে যে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন (১৩৫), বিদেশের মাটিতে সেটিকে মনে করা হয় পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ইনিংস। তবে বাজে ফর্ম, আইসিএল-অধ্যায় কাটিয়ে গত বছর যখন আবার দলে ফিরলেন, দেখা গেল অন্য তৌফিককে। ব্যাটিং দৃষ্টিসুখকর নয়, একান্ত বাধ্য না হলে শট খেলেন না, উইকেটে পড়ে থাকেন।
তৌফিকের দাবি, নিজেকে এমন বানিয়ে ফেলা দলের প্রয়োজনেই, ‘দল যা চায় আমাকে তো তা-ই করতে হবে। কোচ-অধিনায়কের চাওয়া, নতুন বলটা নিরাপদে কাটিয়ে দেওয়া, ঝুঁকি না নিয়ে খেলা। আমিও এখন সেটাই করার চেষ্টা করি।’ এতে দারুণভাবে সফল বাঁহাতি ওপেনার, ক্যারিয়ারের সাত সেঞ্চুরির তিনটিই এল এ বছর। পাকিস্তানের হয়ে এ বছর সর্বোচ্চ টেস্ট রানও তাঁর (৮২৮)।
তৌফিকের মতো এই শম্বুক ব্যাটিং করে এ বছর দারুণ সফল তাঁর দল পাকিস্তানও। তৌফিক তাই বিশ্বাস করছেন, এই ম্যাচে পাকিস্তান ভালো করেই জিততে পারে, ‘এখনো দুই দিন বাকি আছে টেস্টের। আমাদের যে বোলিং আক্রমণ, তা দু-তিন সেশনই যেকোনো দলকে অলআউট করার জন্য যথেষ্ট। আমাদের প্রথমে লক্ষ্য থাকবে বড় একটা লিড নেওয়া, এরপর জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ব।’
পাকিস্তানের এই বোলিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কথা ভাবুন, দু-তিন সেশনে গুটিয়ে যাওয়া খুবই সম্ভব। ড্র হচ্ছেই ভেবে তৃপ্তিতে ডুবে থাকার সময় তাই এখনো আসেনি!
এই শম্বুক ব্যাটিংয়ের ‘নেতা’ তৌফিক উমরের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল নিজেদের সহজাত খেলাটা খেলা এবং বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করা। দিনের শুরুতে দু-তিন উইকেট হারিয়ে ফেললে সমস্যা হয়ে যেত। তাই পরিকল্পনা ছিল আগে ওদের রানের কাছাকাছি যাওয়া। এখন আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। কাল আমরা চালিয়ে খেলব, এরপর দেখা যাক ম্যাচ কোন দিকে গড়ায়।’
তৌফিকই যা বললেন, পাকিস্তানের শম্বুক ব্যাটিংয়ের রহস্য কিন্তু সেটাই, ‘সহজাত’ খেলা। এই দলের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যনের মধ্যে মোহাম্মদ হাফিজই যা একটু রোমাঞ্চপ্রিয়। বাকি কেউ ওভারপ্রতি সাড়ে তিন-চার রান করে তোলার অস্ট্রেলীয় মানদণ্ডে একটুও বিশ্বাসী নন। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ বলেই হয়তো এমন ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তান ঠিক এই ব্যাটিংটাই করে আসছে বছরজুড়েই। কালকের আগে এ বছর এক শর বেশি রান করা পাকিস্তানের এমন ১২ ইনিংসের নয়টিতেই রানরেট ছিল তিনের কম। বাকি তিনটির দুটিতে ছিল ৩.৩৫, একটিতে ঠিক ৩.০০। এটাই তো পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের আসল চেহারা।
তবে তৌফিকের ব্যাটিংয়ের আসল চেহারা এটা নয়। টেস্টে যেদিন প্রথম ব্যাট করতে নেমেছিলেন, অন্য প্রান্তে ছিলেন সাঈদ আনোয়ার। আনোয়ারের মতো না হলেও দারুণ সব শট খেলতেন তিনিও। ২০০১ এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন টেস্ট অভিষেকে, এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০০৩ সালে কেপটাউনে পোলক-এনটিনি-হেওয়ার্ড-ক্যালিসদের বিপক্ষে যে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন (১৩৫), বিদেশের মাটিতে সেটিকে মনে করা হয় পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ইনিংস। তবে বাজে ফর্ম, আইসিএল-অধ্যায় কাটিয়ে গত বছর যখন আবার দলে ফিরলেন, দেখা গেল অন্য তৌফিককে। ব্যাটিং দৃষ্টিসুখকর নয়, একান্ত বাধ্য না হলে শট খেলেন না, উইকেটে পড়ে থাকেন।
তৌফিকের দাবি, নিজেকে এমন বানিয়ে ফেলা দলের প্রয়োজনেই, ‘দল যা চায় আমাকে তো তা-ই করতে হবে। কোচ-অধিনায়কের চাওয়া, নতুন বলটা নিরাপদে কাটিয়ে দেওয়া, ঝুঁকি না নিয়ে খেলা। আমিও এখন সেটাই করার চেষ্টা করি।’ এতে দারুণভাবে সফল বাঁহাতি ওপেনার, ক্যারিয়ারের সাত সেঞ্চুরির তিনটিই এল এ বছর। পাকিস্তানের হয়ে এ বছর সর্বোচ্চ টেস্ট রানও তাঁর (৮২৮)।
তৌফিকের মতো এই শম্বুক ব্যাটিং করে এ বছর দারুণ সফল তাঁর দল পাকিস্তানও। তৌফিক তাই বিশ্বাস করছেন, এই ম্যাচে পাকিস্তান ভালো করেই জিততে পারে, ‘এখনো দুই দিন বাকি আছে টেস্টের। আমাদের যে বোলিং আক্রমণ, তা দু-তিন সেশনই যেকোনো দলকে অলআউট করার জন্য যথেষ্ট। আমাদের প্রথমে লক্ষ্য থাকবে বড় একটা লিড নেওয়া, এরপর জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ব।’
পাকিস্তানের এই বোলিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কথা ভাবুন, দু-তিন সেশনে গুটিয়ে যাওয়া খুবই সম্ভব। ড্র হচ্ছেই ভেবে তৃপ্তিতে ডুবে থাকার সময় তাই এখনো আসেনি!
No comments