মাঠের মুখ


মিরপুর স্টেডিয়াম তখন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো। আম্পায়ারদের মাঠ পরিদর্শনের কথা সকাল সাড়ে নয়টায়, কিন্তু চারপাশ এতটাই কুয়াশাচ্ছন্ন যে মাঠ পরিদর্শনের প্রয়োজনই হয়নি। সৈয়দ শফিকুল আলম চৌধুরী এর মধ্যেই মাঠে চলে এসেছেন পঞ্চম শ্রেণীপড়ুয়া ছেলে সাইফকে সঙ্গে নিয়ে। আন্তর্জাতিক গ্যালারির এক কোনায় গুটিসুটি মেরে বসে আছেন বাপবেটা। পরিস্থিতি দেখে শফিক সাহেব হতাশ, তবে হাল ছাড়ছেন না, ‘যে অবস্থা, খেলা শুরু হতে মনে হয় ভালোই দেরি


হবে। এত কুয়াশা থাকলে তো ফ্লাডলাইট জ্বালিয়েও লাভ নেই। দেখা যাক, আমরা থাকব মাঠে...।’ এমনিতে টিভিতে খেলা দেখতেই তাঁর বেশি ভালো লাগে। রিপ্লে দেখা যায়, ধারাভাষ্য শোনা যায়। মাঠে এসেছেন ছেলের চাপে। ওয়ানডের সময় ছেলেকে নিয়ে মাঠে এসেছিলেন। এরপর থেকেই ছেলের দাবি, টেস্টেও মাঠে নিয়ে যেতে হবে। ওয়ানডেতে টিকিটের হাহাকার দেখে কাল সকাল সকাল চলে এসেছেন। বাসা মাঠ থেকে খুব বেশি দূরে নয়, মিরপুর ১৪ নম্বরে। রূপালী ব্যাংকে দীর্ঘ চাকরিজীবন শেষে এখন অবসরে। ৬০ বছর বয়স, শরীরের বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। অবসর জীবনে তাই পুরোপুরিই বিশ্রামে আছেন। ছেলের জেদের কারণে মাঝেমধ্যে নিয়ম ভাঙতে হয়। গ্যালারিতে শীতে জমে গেলেও দিনের খেলা নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলেন তিনি, ‘আজকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ম্যাচের ভাগ্যে কী আছে, অনেকটাই পরিষ্কার হবে আজকের খেলায়।’

No comments

Powered by Blogger.