সৌদি আরব ও কাতার থেকে ২৯ হাজার টন সার আমদানি করবে সরকার-আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির by কিসমত খোন্দকার
দেশের সারের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ১৫ হাজার টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৪ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সারসহ মোট ২৯ হাজার টন সার আমদানি করবে সরকার। এ জন্য সরকারের ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উঠছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা
গেছে। সূত্র জানায়, চলতি ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ লাখ টন। যার মধ্যে বিসিআইসির নিজস্ব কারখানাগুলোর উৎপাদন ১০ লাখ টন ধরে আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ টন। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে দুই লাখ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দুই লাখ টন, কাতার থেকে চার লাখ টন এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আট লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির বিষয়ে এর আগে প্রধানমন্ত্রী আমদানির অনুমোদন দেন।
সূত্র জানায়, কাতারের ক্ষেত্রে ২০১১-২০১২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত চুক্তির মেয়াদ চলতি ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় লটের লে-ক্যানের সময় ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বর শেষ হবে। ওই লে-ক্যান অনুযায়ী কাতারকে প্রাইস অফার দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও কাতার ২০১১-২০১২ অর্থবছরের চুক্তি স্বক্ষরিত না হওয়া সত্ত্বেও উভয় দেশের সুসম্পর্কের কারণে কাতার দ্বিতীয় লটের ১৫ হাজার টন প্রিল্ড ইউরিয়া সারের প্রাইস অফার পাঠায়।
সূত্র জানায়, কাতারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী লে-ক্যানের তিন সপ্তাহ আগের দর সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ফার্টিলাইজার মার্কেটিং বুলেটিন এবং ফার্টিকনে প্রকাশিত অ্যারাবিয়ান গালফ ও মিডলইস্ট এফওবি দরের গড় দর ভিত্তিতে সারের দাম নির্ধারণ হয়। কাতার থেকে প্রতি টন সার আমদানির দাম পড়বে ৫১৮ দশমিক ৫০ ডলার। সে হিসাবে ১৫ হাজার টন সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৩ লাখ ১১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি সংস্থা ফার্টিল থেকে ১৪ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অপর একটি প্রস্তাবও আজকের বৈঠকে উঠবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিসিআইসির টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি ও বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে আমদানিতব্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথম লটে ১৪ হাজার টন ইউরিয়া সার ও ব্রাগিং চার্জসহ এফওবি রুয়াইস বন্দর থেকে প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫১৮ দশমিক ৫০ ডলার।
এ হিসাবে ১৪ হাজার টন সার আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, কাতারের ক্ষেত্রে ২০১১-২০১২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত চুক্তির মেয়াদ চলতি ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় লটের লে-ক্যানের সময় ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বর শেষ হবে। ওই লে-ক্যান অনুযায়ী কাতারকে প্রাইস অফার দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও কাতার ২০১১-২০১২ অর্থবছরের চুক্তি স্বক্ষরিত না হওয়া সত্ত্বেও উভয় দেশের সুসম্পর্কের কারণে কাতার দ্বিতীয় লটের ১৫ হাজার টন প্রিল্ড ইউরিয়া সারের প্রাইস অফার পাঠায়।
সূত্র জানায়, কাতারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী লে-ক্যানের তিন সপ্তাহ আগের দর সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ফার্টিলাইজার মার্কেটিং বুলেটিন এবং ফার্টিকনে প্রকাশিত অ্যারাবিয়ান গালফ ও মিডলইস্ট এফওবি দরের গড় দর ভিত্তিতে সারের দাম নির্ধারণ হয়। কাতার থেকে প্রতি টন সার আমদানির দাম পড়বে ৫১৮ দশমিক ৫০ ডলার। সে হিসাবে ১৫ হাজার টন সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৩ লাখ ১১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি সংস্থা ফার্টিল থেকে ১৪ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অপর একটি প্রস্তাবও আজকের বৈঠকে উঠবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিসিআইসির টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি ও বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে আমদানিতব্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথম লটে ১৪ হাজার টন ইউরিয়া সার ও ব্রাগিং চার্জসহ এফওবি রুয়াইস বন্দর থেকে প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫১৮ দশমিক ৫০ ডলার।
এ হিসাবে ১৪ হাজার টন সার আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার টাকা।
No comments