ঢাকায় পুলিশের ১১ মামলায় সাত হাজার আসামি
রাজধানীতে গত রোববার চোরাগোপ্তা হামলা, ককটেলের বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছয় থানায় ১১টি মামলা করেছে পুলিশ। আর মতিঝিলে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত যুবকের বাবা একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের করা ১১ মামলায় সাত হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ১৩০ জনের সুনির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা-কর্মী।
বাকি আসামিরা অজ্ঞাতনামা। এসব মামলায় রোববার আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের সবাইকে গতকাল আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সিলেটে রোববারের তাণ্ডবের ঘটনায় সেখানকার পাঁচ থানায় সাতটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও নয় জেলা: রাজশাহী, গাজীপুর, ফরিদপুর, শেরপুর, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুরে রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ৯৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রোববার ঢাকায় বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীসহ আট জেলায় চোরাগোপ্তা হামলা, ককটেলের বিস্ফোরণ, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকায় একজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন জখম হয়। আর সিলেটে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন এক বাসযাত্রী।
জানতে চাইলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম রোববারের তাণ্ডবের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি বড় ধরনের অরাজকতার পরিকল্পনা করেছিল। সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়ায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ও চোরাগোপ্তা হামলা হয়েছে। মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীতে পুলিশের করা মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক সরাফতুল্লাহ ওরফে সফু, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন, ছাত্রদলের ওবায়দুল হক ওরফে নাসির, আনিসুর রহমান তালুকদার ওরফে খোকন উল্লেখযোগ্য। তাঁদের প্রত্যেককেই তিন-চারটি মামলার আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হবে।
ডিবির উপকমিশনার ও মহানগর পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোববার ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ ২৮০ জনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের মধ্যে ১২০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার করা ১২০ জনের অধিকাংশই বিএনপির কর্মী। এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরেরও কিছু নেতা-কর্মী ও ভাড়াটে লোকজনও আছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে অরাজকতা তৈরি করতে বিএনপি কাদের ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল, এর কয়েকটি তালিকাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা নাশকতার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও অর্থায়নে জড়িত, এ বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
আরিফুজ্জামানকে নিয়ে বিভ্রান্তি: মতিঝিলে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত আরিফুজ্জামানের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি কাটেনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার সংবাদ সম্মেলনে আরিফুজ্জামানকে বিএনপির কর্মী দাবি করেছিলেন।
আরিফুজ্জামানের বাবা জয়নাল আবেদীন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক ছিলেন না। রোববার রাতে আরিফুজ্জামানের জানাজা ও দাফনের সময়ও কোনো দলের নেতা-কর্মী আসেননি। শুধু মতিঝিল ও খিলগাঁও থানার পুলিশ ছিল।
তবে ডিবির উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, মনিরুজ্জামান বিএনপির সমর্থক ছিলেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ও আঘাতের ধরন দেখে তাঁকে বোমা বহনকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সিলেটে রোববারের তাণ্ডবের ঘটনায় সেখানকার পাঁচ থানায় সাতটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও নয় জেলা: রাজশাহী, গাজীপুর, ফরিদপুর, শেরপুর, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুরে রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ৯৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রোববার ঢাকায় বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীসহ আট জেলায় চোরাগোপ্তা হামলা, ককটেলের বিস্ফোরণ, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকায় একজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন জখম হয়। আর সিলেটে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন এক বাসযাত্রী।
জানতে চাইলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম রোববারের তাণ্ডবের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি বড় ধরনের অরাজকতার পরিকল্পনা করেছিল। সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়ায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ও চোরাগোপ্তা হামলা হয়েছে। মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীতে পুলিশের করা মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক সরাফতুল্লাহ ওরফে সফু, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন, ছাত্রদলের ওবায়দুল হক ওরফে নাসির, আনিসুর রহমান তালুকদার ওরফে খোকন উল্লেখযোগ্য। তাঁদের প্রত্যেককেই তিন-চারটি মামলার আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হবে।
ডিবির উপকমিশনার ও মহানগর পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোববার ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ ২৮০ জনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের মধ্যে ১২০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার করা ১২০ জনের অধিকাংশই বিএনপির কর্মী। এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরেরও কিছু নেতা-কর্মী ও ভাড়াটে লোকজনও আছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে অরাজকতা তৈরি করতে বিএনপি কাদের ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল, এর কয়েকটি তালিকাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা নাশকতার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও অর্থায়নে জড়িত, এ বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
আরিফুজ্জামানকে নিয়ে বিভ্রান্তি: মতিঝিলে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত আরিফুজ্জামানের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি কাটেনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার সংবাদ সম্মেলনে আরিফুজ্জামানকে বিএনপির কর্মী দাবি করেছিলেন।
আরিফুজ্জামানের বাবা জয়নাল আবেদীন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক ছিলেন না। রোববার রাতে আরিফুজ্জামানের জানাজা ও দাফনের সময়ও কোনো দলের নেতা-কর্মী আসেননি। শুধু মতিঝিল ও খিলগাঁও থানার পুলিশ ছিল।
তবে ডিবির উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, মনিরুজ্জামান বিএনপির সমর্থক ছিলেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য ও আঘাতের ধরন দেখে তাঁকে বোমা বহনকারী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
No comments