সাভারে স্কুলছাত্র হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, বিক্ষোভ
সাভারের মোহাম্মদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সবুজ (১৫) হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল সোমবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সবুজকে পিটিয়ে আহত করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। সবুজ সাভারের শোভাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সাভার থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রোববার বিকেলে সাভারের তেঁতুলঝোড়া স্কুল অ্যান্ড
কলেজের সঙ্গে রাজ ফুলবাড়িয়ার মোহাম্মদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সাভার অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। ওই টুর্নামেন্টে মোহাম্মদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের হয়ে খেলতে যায় সবুজ।
খেলা শুরু হওয়ার আগে সবুজ সাভার অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পায়চারি করতে থাকে। এ সময় ওই মাঠেই সাইকেল চালাচ্ছিল রাজীব নামে এক কিশোর। রাজীবের সাইকেলটি সবুজের শরীরের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে সবুজ ক্ষুব্ধ হয়ে রাজীবকে থাপড় মারে। এরপর রাজীব মাঠ থেকে বের হয়ে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আবার ওই মাঠে গিয়ে সবুজের ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সবুজ মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রাজীব তার বন্ধুদের নিয়ে চলে যায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর সবুজের সঙ্গে থাকা বন্ধুরা প্রথমে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজ হত্যার ঘটনায় গতকাল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তার সহপাঠীসহ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা হত্যার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ে ভাঙচুরসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ ও শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে তা করতে পারেনি। পরে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল দুপুরে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করে তারা।
এদিকে পুত্র হত্যার ঘটনায় সবুজের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার গভীর রাতে সাভার থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় রাজীবসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সাভার থানার দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে কে ওই রাজীব আর তার সঙ্গে কারা সবুজকে মারধরে অংশ নেয় তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
খেলা শুরু হওয়ার আগে সবুজ সাভার অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পায়চারি করতে থাকে। এ সময় ওই মাঠেই সাইকেল চালাচ্ছিল রাজীব নামে এক কিশোর। রাজীবের সাইকেলটি সবুজের শরীরের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে সবুজ ক্ষুব্ধ হয়ে রাজীবকে থাপড় মারে। এরপর রাজীব মাঠ থেকে বের হয়ে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আবার ওই মাঠে গিয়ে সবুজের ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সবুজ মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রাজীব তার বন্ধুদের নিয়ে চলে যায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর সবুজের সঙ্গে থাকা বন্ধুরা প্রথমে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজ হত্যার ঘটনায় গতকাল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তার সহপাঠীসহ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা হত্যার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ে ভাঙচুরসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ ও শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে তা করতে পারেনি। পরে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল দুপুরে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করে তারা।
এদিকে পুত্র হত্যার ঘটনায় সবুজের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার গভীর রাতে সাভার থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় রাজীবসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সাভার থানার দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে কে ওই রাজীব আর তার সঙ্গে কারা সবুজকে মারধরে অংশ নেয় তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
No comments