অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতি চাপের মুখে
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে আছে বলে অবশেষে স্বীকার করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিকেও এর জন্য দায়ী করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের অর্থনীতি বেশ চাপের মুখে পড়েছে। এটা যে শুধু আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতির কারণেই হচ্ছে, তা নয়, এ জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ অনেক নীতিও দায়ী।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের অর্থনীতি বেশ চাপের মুখে পড়েছে। এটা যে শুধু আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতির কারণেই হচ্ছে, তা নয়, এ জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ অনেক নীতিও দায়ী।’
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল সোমবার ‘মূল্যস্ফীতির পেছনের কারণ: স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি কার্যকর উন্নয়নের জন্য বিকল্প নীতি ও কাঠামো’ শীর্ষক এক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চার দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, ইউএন ডেসা ও ইউএন এসকাপ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময় মূল্যস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে সীমিত রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু একে সীমিত রাখা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যেকোনো উপায়েই হোক, মূল্যস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে সীমিত রাখতে হবে।’
বাজেট ঘাটতি নিয়ে আবদুল মুহিত বলেন, সরকার বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করেছিল। কয়েক বছর ধরেই এটা করা হচ্ছে। তবে বিশাল অঙ্কের ভর্তুকির কারণে এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ বছর ভর্তুকির পরিমাণ জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেটা অনেক বেড়ে গেছে। দেরিতে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের কারণেই মূলত ভর্তুকির পরিমাণ বেড়েছে।
‘প্রচুর অর্থ খরচ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়তো ঠিক নয়’ মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণেই জাতীয় ও শিল্পের উৎপাদন বেড়েছে।
নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়াকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যাংকিং সেবার পরিধি খুবই কম। ১৫ কোটি মানুষের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা আছে মাত্র সাত হাজার। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ছড়িয়ে দিতে ব্যাংকিং সেবার পরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় সমস্যা, সঞ্চয়ের হার, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এবং সরকারি ব্যয় কম হওয়ার পরও ১৫ বছর ধরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে সরকারকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে হবে। এ জন্য মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে সমন্বয় করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, জাতিসংঘের এদেশীয় পরিচালক স্টিফেন প্রিজনার, ইউএন ডেসার কর্মকর্তা জন লাক্সলি, ইউএন এসকাপের কর্মকর্তা আয়নুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না: উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে; রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিলে হবে না।’ তিনি বলেন, দেশে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার কোনো অভাব নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।
কর্মশালায় একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সাবেক এই গভর্নর আরও বলেন, ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। একই কারণে মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। কর্মশালায় আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়নুল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময় মূল্যস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে সীমিত রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু একে সীমিত রাখা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যেকোনো উপায়েই হোক, মূল্যস্ফীতিকে এক অঙ্কের ঘরে সীমিত রাখতে হবে।’
বাজেট ঘাটতি নিয়ে আবদুল মুহিত বলেন, সরকার বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করেছিল। কয়েক বছর ধরেই এটা করা হচ্ছে। তবে বিশাল অঙ্কের ভর্তুকির কারণে এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ বছর ভর্তুকির পরিমাণ জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেটা অনেক বেড়ে গেছে। দেরিতে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের কারণেই মূলত ভর্তুকির পরিমাণ বেড়েছে।
‘প্রচুর অর্থ খরচ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়তো ঠিক নয়’ মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণেই জাতীয় ও শিল্পের উৎপাদন বেড়েছে।
নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়াকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যাংকিং সেবার পরিধি খুবই কম। ১৫ কোটি মানুষের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা আছে মাত্র সাত হাজার। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ছড়িয়ে দিতে ব্যাংকিং সেবার পরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় সমস্যা, সঞ্চয়ের হার, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এবং সরকারি ব্যয় কম হওয়ার পরও ১৫ বছর ধরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে সরকারকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে হবে। এ জন্য মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে সমন্বয় করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, জাতিসংঘের এদেশীয় পরিচালক স্টিফেন প্রিজনার, ইউএন ডেসার কর্মকর্তা জন লাক্সলি, ইউএন এসকাপের কর্মকর্তা আয়নুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না: উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে; রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিলে হবে না।’ তিনি বলেন, দেশে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার কোনো অভাব নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।
কর্মশালায় একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সাবেক এই গভর্নর আরও বলেন, ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। একই কারণে মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। কর্মশালায় আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়নুল হাসান।
No comments