দেশে ‘দেবতুল্য’, পশ্চিমাদের চোখে ‘খেয়ালি একনায়ক’...
দেশের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের চিত্রায়ণে তিনি ‘দেবতুল্য নেতা’। কিন্তু পরমাণু কর্মসূচি, শাসনকার্যে কঠোরতাসহ বিভিন্ন কারণে পশ্চিমাদের চোখে তিনি ‘খেয়ালি একনায়ক’ ও ‘বদমেজাজি শাসক’। খেয়ালি এই একনায়কের নাম কিম জং-ইল দ্বিতীয়। অনেকের মতে, এই আধুনিক যুগেও তিনি রয়ে গিয়েছিলেন স্নায়ুযুদ্ধ যুগের নেতা হিসেবে। উত্তর কোরিয়ার সদ্য প্রয়াত নেতা কিম জং-ইলের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব একটা তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি
জন্মস্থান ও জন্মসাল নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, কোরিয়ার বিখ্যাত পায়েকতু পর্বতের কাছে উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নেতা পিতা কিম ইল সংয়ের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী সেনাদের এক গোপন শিবিরে ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্ম। তবে সোভিয়েত রেকর্ড অনুযায়ী, সোভিয়েত ইউনিয়নের সাইবেরিয়াতে ১৯৪১ সালে জন্ম নেন কিম।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইটের দৃষ্টিতে কিম ছিলেন বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মানুষ। তাঁর রয়েছে তিন ছেলে। এর মধ্যে ছোট ছেলে কিম জং উনকেই তিনি তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করে গেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে গতকাল তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়ার পাশাপাশি ছোট ছেলে কিম জং উনকেই উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৯৫০-৫৩ সালে সংঘটিত কোরিয়া যুদ্ধের সময় নিরাপত্তার খাতিরে চীনে কাটান কিম জং-ইল। পিয়ংইয়ংয়ে তাঁর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত কিম ইল সং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন এবং কমিউনিস্ট বিপ্লবের দীক্ষা নিয়েছেন।
১৯৯৪ সালে বাবা কিম ইল সংয়ের মৃত্যুর পর কিম জং-ইল সমাজতান্ত্রিক এ দেশটির হাল ধরেন। সেই সঙ্গে নানা ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে’ জড়িয়ে বিশ্ব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। বিশেষ করে তিনি পশ্চিমাদের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হন।
ক্ষমতা গ্রহণ করে বাবার পথ অনুসরণ করে ‘সামরিক বাহিনীই প্রথম’—এই নীতি পালনে ব্রত হন কিম। এ জন্য দেশের অধিকাংশ সম্পদই সামরিক খাতে নিয়োজিত করেন। এমনকি দেশটিতে চরম দুর্ভিক্ষের সময়ও এ নীতি থেকে পিছু হটেননি তিনি। যার ফলে দেশটির ‘কোরিয়ান পিপলস আর্মি’ এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সেনাবাহিনী। তিনি নিজে ছিলেন এই ‘কোরিয়ান পিপলস আর্মির’ প্রধান।
বলা হয়ে থাকে, তাঁর চারপাশের বিশ্ব যখন পরিবর্তনকে লুফে নিয়েছে, কিম তখন আঁকড়ে ধরে থেকেছেন পুরোনো স্নায়ুযুদ্ধ যুগের নিয়মনীতিকে। ২০০২ সাল থেকে কিম জং-ইলের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করে। ২০০৬ সালে দেশটি ভূগর্ভে পরমাণু অস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালায়। একই ধরনের অন্য একটি পরীক্ষা চালানো হয় ২০০৯ সালে। এই পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা বিশ্বের তীব্র বিরোধিতা ও নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয় উত্তর কোরিয়া। বিশ্বে প্রায় একঘরে হয়ে পড়ে দেশটি।
২০০৮ সালে প্রথমবার হূদেরাগে আক্রান্ত হন কিম। এরপর আর তাঁকে তেমনভাবে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। রয়টার্স, এপি ও আল-জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইটের দৃষ্টিতে কিম ছিলেন বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মানুষ। তাঁর রয়েছে তিন ছেলে। এর মধ্যে ছোট ছেলে কিম জং উনকেই তিনি তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করে গেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে গতকাল তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়ার পাশাপাশি ছোট ছেলে কিম জং উনকেই উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৯৫০-৫৩ সালে সংঘটিত কোরিয়া যুদ্ধের সময় নিরাপত্তার খাতিরে চীনে কাটান কিম জং-ইল। পিয়ংইয়ংয়ে তাঁর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত কিম ইল সং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন এবং কমিউনিস্ট বিপ্লবের দীক্ষা নিয়েছেন।
১৯৯৪ সালে বাবা কিম ইল সংয়ের মৃত্যুর পর কিম জং-ইল সমাজতান্ত্রিক এ দেশটির হাল ধরেন। সেই সঙ্গে নানা ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে’ জড়িয়ে বিশ্ব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। বিশেষ করে তিনি পশ্চিমাদের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হন।
ক্ষমতা গ্রহণ করে বাবার পথ অনুসরণ করে ‘সামরিক বাহিনীই প্রথম’—এই নীতি পালনে ব্রত হন কিম। এ জন্য দেশের অধিকাংশ সম্পদই সামরিক খাতে নিয়োজিত করেন। এমনকি দেশটিতে চরম দুর্ভিক্ষের সময়ও এ নীতি থেকে পিছু হটেননি তিনি। যার ফলে দেশটির ‘কোরিয়ান পিপলস আর্মি’ এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সেনাবাহিনী। তিনি নিজে ছিলেন এই ‘কোরিয়ান পিপলস আর্মির’ প্রধান।
বলা হয়ে থাকে, তাঁর চারপাশের বিশ্ব যখন পরিবর্তনকে লুফে নিয়েছে, কিম তখন আঁকড়ে ধরে থেকেছেন পুরোনো স্নায়ুযুদ্ধ যুগের নিয়মনীতিকে। ২০০২ সাল থেকে কিম জং-ইলের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করে। ২০০৬ সালে দেশটি ভূগর্ভে পরমাণু অস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালায়। একই ধরনের অন্য একটি পরীক্ষা চালানো হয় ২০০৯ সালে। এই পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা বিশ্বের তীব্র বিরোধিতা ও নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয় উত্তর কোরিয়া। বিশ্বে প্রায় একঘরে হয়ে পড়ে দেশটি।
২০০৮ সালে প্রথমবার হূদেরাগে আক্রান্ত হন কিম। এরপর আর তাঁকে তেমনভাবে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। রয়টার্স, এপি ও আল-জাজিরা।
No comments