জানুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে শিক্ষকদের টাইম স্কেল by সাবি্বর নেওয়াজ
এক বছর বন্ধ থাকার পর এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের টাইম স্কেল ফের চালু হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে শিক্ষকরা টাইম স্কেলের বাড়তি অর্থ পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে আনছে। জানুয়ারি থেকে টাইম স্কেল ফের চালু করা হলেও বন্ধ থাকা এক বছরের বকেয়া অর্থ শিক্ষকরা পাবেন কি-না, তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত
করেছে। জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল সোমবার সমকালকে বলেন, 'বেসরকারি শিক্ষকদের টাইম স্কেল দিতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যথা শিগগির সম্ভব টাইম স্কেল দিতে কাজ করছি।' শিক্ষামন্ত্রী টাইম স্কেল দেওয়ার নির্ধারিত কোনো সময়সীমা না জানালেও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই টাইম স্কেল পরিশোধ শুরু করার জন্য তিনি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হিসাব-নিকাশ করে দেখছেন টাইম স্কেল পরিশোধ করতে গেলে এ মুহূর্তে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে। জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ কাটছাঁট করে টাইম স্কেল প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বকেয়া কবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, 'আগে আমরা বন্ধ টাইম স্কেল চালু করে নিই। বকেয়া নিয়ে পরে ভাবব।'
সারাদেশের প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেলের অর্থ চলতি বছরের
জানুয়ারি থেকে স্থগিত করে রেখেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই থেকে টাইম স্কেলের অর্থ ছাড় করা নিয়ে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চলছে ফাইল চালাচালি। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা দিতে অতিরিক্ত ৩২৮ কোটি ২৯ লাখ আট হাজার ২৭৫ টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই চিঠিরও কোনো জবাব মেলেনি।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে কোনো কারণ না দেখিয়েই কলেজ প্রভাষকদের টাইম স্কেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ৬২ জন শিক্ষক উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত এ ৬২ জন শিক্ষককে টাইম স্কেলসহ বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দেন। সেই থেকে এ ৬২ জন শিক্ষক টাইম স্কেল পেয়ে এলেও সারাদেশের বাকি শিক্ষকরা এ সুবিধা পাননি। ছয় বছর বন্ধ থাকার পর গত অক্টোবরে সারাদেশের প্রায় এক হাজার ৮০০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে টাইম স্কেল সুবিধা দেওয়া হয়। এতে সরকারের বাড়তি ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতনের সঙ্গে তারা টাইম স্কেল পেয়েছেন। জানুয়ারির বেতন দিতে গিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় টাইম স্কেলের এ বাড়তি অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে টাইম স্কেল স্থগিত করে দেয়। এখনও তা বন্ধ রয়েছে। জানুয়ারি থেকে তা ফের চালু হতে যাচ্ছে।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু সমকালকে বলেন, টাইম স্কেল চালুর সিদ্ধান্তে দেশের লাখ লাখ শিক্ষক পরিবারে আনন্দের বন্যা বইয়ে যাবে। অন্যদিকে, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, এক বছর টাইম স্কেল বন্ধ রাখার ঘটনায় প্রমাণ হয় এ সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার নয়। আমরা বকেয়া এরিয়ারসহ পুরো টাইম স্কেল চাই।
বকেয়া কবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, 'আগে আমরা বন্ধ টাইম স্কেল চালু করে নিই। বকেয়া নিয়ে পরে ভাবব।'
সারাদেশের প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেলের অর্থ চলতি বছরের
জানুয়ারি থেকে স্থগিত করে রেখেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই থেকে টাইম স্কেলের অর্থ ছাড় করা নিয়ে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চলছে ফাইল চালাচালি। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা দিতে অতিরিক্ত ৩২৮ কোটি ২৯ লাখ আট হাজার ২৭৫ টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই চিঠিরও কোনো জবাব মেলেনি।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে কোনো কারণ না দেখিয়েই কলেজ প্রভাষকদের টাইম স্কেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ৬২ জন শিক্ষক উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত এ ৬২ জন শিক্ষককে টাইম স্কেলসহ বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দেন। সেই থেকে এ ৬২ জন শিক্ষক টাইম স্কেল পেয়ে এলেও সারাদেশের বাকি শিক্ষকরা এ সুবিধা পাননি। ছয় বছর বন্ধ থাকার পর গত অক্টোবরে সারাদেশের প্রায় এক হাজার ৮০০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে টাইম স্কেল সুবিধা দেওয়া হয়। এতে সরকারের বাড়তি ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতনের সঙ্গে তারা টাইম স্কেল পেয়েছেন। জানুয়ারির বেতন দিতে গিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় টাইম স্কেলের এ বাড়তি অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে টাইম স্কেল স্থগিত করে দেয়। এখনও তা বন্ধ রয়েছে। জানুয়ারি থেকে তা ফের চালু হতে যাচ্ছে।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু সমকালকে বলেন, টাইম স্কেল চালুর সিদ্ধান্তে দেশের লাখ লাখ শিক্ষক পরিবারে আনন্দের বন্যা বইয়ে যাবে। অন্যদিকে, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, এক বছর টাইম স্কেল বন্ধ রাখার ঘটনায় প্রমাণ হয় এ সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার নয়। আমরা বকেয়া এরিয়ারসহ পুরো টাইম স্কেল চাই।
No comments