শেষ ৫ ওভারেই সমস্যা এবং সমাধান by মাসুদ পারভেজ
নিজে পারফরম করেছেন বলেই শুধু নয়, অন্য কারণেও ম্যাচটার কথা খুব ভালো মনে থাকার কথা মোহাম্মদ আশরাফুলের। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। যেটি খেলার পর প্রশংসিত হওয়ার বদলে কোচের কাছ থেকে জুটেছিল মানসিক ধাক্কাই! অধারাবাহিকতার রোগ তাঁর বহু পুরনো।
সেটির প্রতিষেধক বের করতে ব্যর্থ তখনকার কোচ জেমি সিডন্স প্রকাশ্যেই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করে বসেছিলেন, 'পরের ম্যাচে ও শূন্য রানে আউট হবে।' অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে তা হয়েওছিলেন। সেই আশরাফুল কিনা কাল ফতুল্লা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ লাল ও সবুজ দলের শেষ টোয়েন্টি টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচের পর নিজে থেকেই তুললেন ওই পাকিস্তান ম্যাচ প্রসঙ্গ। অবশ্য তা শুধুই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের দাবি এবং এর উপযোগিতা বোঝাতে।
বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশ ঠিক টোয়েন্টি টোয়েন্টি উপযোগী দল নয়। অনভ্যস্ত বলেই ১৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩ জয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত জয়টা ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টোয়েন্টি টোয়েন্টির প্রথম বিশ্ব আসরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই জয়টা এসেছিল আবার এ আশরাফুলের ব্যাটে চড়েই। তিনি দাবি করছেন আরো ম্যাচ জেতার সুযোগ তাঁদের সামনে এসেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে থাকা সত্ত্বেও জেতা হয়নি। গত বিশ্বকাপের পাকিস্তান ম্যাচ তেমনই এক উদাহরণ, 'টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ ধরনের পরিস্থিতিই বেশি আসে যখন শেষ ৫ ওভারে ৫০ বা ৫৫ রান লাগে। গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঠিক একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম আমরা। শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৫০ রান (আসলে ৫৩) এবং হাতে উইকেটও ছিল ৮টি। কিন্তু ওই ম্যাচটা আমরা বের করতে পারিনি।'
কাল ফতুল্লায় ঠিক একই পরিস্থিতি ছিল বাংলাদেশ সবুজ দলেরও। লাল দলের বিপক্ষে ১৮০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে আশরাফুল আর অলক কাপালির ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সবুজ শিবির। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ৫ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫১ রানের। নিজে একটা বাজে শট খেলে আউট হওয়ার জন্য আফসোস করলেন খুব। সেই সঙ্গে দলকে জিতিয়ে আসতে না পারা অলক কাপালিকেও অনুশোচনায় পুড়তে দেখেছেন। ১১ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচের তেমন পরিস্থিতিতে উন্নতির শর্তই বেঁধে দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক, 'আজ যেমন পরিস্থিতি হলো, তা হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও। সে রকম হলে ম্যাচ বের করার দক্ষতা দেখাতে হবে আমাদের। এ জায়গাটাতে উন্নতি করা খুব জরুরি।'
ম্যাচ হয়তো বের করা যায়নি, কিন্তু দুই দলের হয়ে পারফরম করেছেন অনেকেই। যার ফলে শেষ ম্যাচে এসে দুটো টোয়েন্টি টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের উদ্দেশ্যও দেখল সাফল্যের মুখ। মিরপুরে গত ৩ অক্টোবর লাল দলের বিপক্ষে অনায়াসে জিতেছিল সবুজ দল। মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি ছিল লাল দলের। আর যাঁদের জন্য এ আয়োজন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টোয়েন্টি টোয়েন্টির জন্য জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটাররা বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন নিষপ্রভ। তবে কাল তাঁদের ব্যাট হাসল। তামিম ইকবাল খেললেন ৯০ রানের ইনিংস। আশরাফুল ও অলকের ব্যাটে ফিফটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে রানে না থাকলেও সেখান থেকে ফিরে সাকিব আল হাসানও খারাপ করেননি। এসবেরও ব্যাপক উপকারিতা দেখছেন আশরাফুল, 'গত কিছুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচগুলো খুবই উপকারী হলো আমাদের জন্য। যাঁরা ভালো করেছে, তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ১১ তারিখের ম্যাচে নামার আগে সবাই খুব চাঙ্গা থাকবে।'
আর সে ম্যাচ খেলতে নামার পর ভালো শুরু চাচ্ছেন আশরাফুল, যেমনটা কাল লাল দলকে দিয়েছেন তামিম, 'আজ লাল দলের তামিম যেভাবে শুরু করেছে, ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে আমাদের এ ধরনের শুরুই প্রয়োজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরুটা ভালো হলে আমাদের অবশ্যই জেতার সুযোগ আছে।' ভালো শুরুর পর শেষ ৫ ওভারে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটা হেলায়ও হারানো যাবে না। এ শর্তের কথা তো আগেই বলে দিয়েছেন আশরাফুল। মানে সমস্যা এবং এর সমাধান লুকিয়ে যেন শেষ ৫ ওভারেই!
বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশ ঠিক টোয়েন্টি টোয়েন্টি উপযোগী দল নয়। অনভ্যস্ত বলেই ১৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩ জয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত জয়টা ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টোয়েন্টি টোয়েন্টির প্রথম বিশ্ব আসরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই জয়টা এসেছিল আবার এ আশরাফুলের ব্যাটে চড়েই। তিনি দাবি করছেন আরো ম্যাচ জেতার সুযোগ তাঁদের সামনে এসেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে থাকা সত্ত্বেও জেতা হয়নি। গত বিশ্বকাপের পাকিস্তান ম্যাচ তেমনই এক উদাহরণ, 'টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ ধরনের পরিস্থিতিই বেশি আসে যখন শেষ ৫ ওভারে ৫০ বা ৫৫ রান লাগে। গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঠিক একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম আমরা। শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৫০ রান (আসলে ৫৩) এবং হাতে উইকেটও ছিল ৮টি। কিন্তু ওই ম্যাচটা আমরা বের করতে পারিনি।'
কাল ফতুল্লায় ঠিক একই পরিস্থিতি ছিল বাংলাদেশ সবুজ দলেরও। লাল দলের বিপক্ষে ১৮০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে আশরাফুল আর অলক কাপালির ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সবুজ শিবির। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ৫ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫১ রানের। নিজে একটা বাজে শট খেলে আউট হওয়ার জন্য আফসোস করলেন খুব। সেই সঙ্গে দলকে জিতিয়ে আসতে না পারা অলক কাপালিকেও অনুশোচনায় পুড়তে দেখেছেন। ১১ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচের তেমন পরিস্থিতিতে উন্নতির শর্তই বেঁধে দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক, 'আজ যেমন পরিস্থিতি হলো, তা হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও। সে রকম হলে ম্যাচ বের করার দক্ষতা দেখাতে হবে আমাদের। এ জায়গাটাতে উন্নতি করা খুব জরুরি।'
ম্যাচ হয়তো বের করা যায়নি, কিন্তু দুই দলের হয়ে পারফরম করেছেন অনেকেই। যার ফলে শেষ ম্যাচে এসে দুটো টোয়েন্টি টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের উদ্দেশ্যও দেখল সাফল্যের মুখ। মিরপুরে গত ৩ অক্টোবর লাল দলের বিপক্ষে অনায়াসে জিতেছিল সবুজ দল। মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি ছিল লাল দলের। আর যাঁদের জন্য এ আয়োজন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টোয়েন্টি টোয়েন্টির জন্য জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটাররা বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন নিষপ্রভ। তবে কাল তাঁদের ব্যাট হাসল। তামিম ইকবাল খেললেন ৯০ রানের ইনিংস। আশরাফুল ও অলকের ব্যাটে ফিফটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে রানে না থাকলেও সেখান থেকে ফিরে সাকিব আল হাসানও খারাপ করেননি। এসবেরও ব্যাপক উপকারিতা দেখছেন আশরাফুল, 'গত কিছুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচগুলো খুবই উপকারী হলো আমাদের জন্য। যাঁরা ভালো করেছে, তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ১১ তারিখের ম্যাচে নামার আগে সবাই খুব চাঙ্গা থাকবে।'
আর সে ম্যাচ খেলতে নামার পর ভালো শুরু চাচ্ছেন আশরাফুল, যেমনটা কাল লাল দলকে দিয়েছেন তামিম, 'আজ লাল দলের তামিম যেভাবে শুরু করেছে, ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে আমাদের এ ধরনের শুরুই প্রয়োজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরুটা ভালো হলে আমাদের অবশ্যই জেতার সুযোগ আছে।' ভালো শুরুর পর শেষ ৫ ওভারে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটা হেলায়ও হারানো যাবে না। এ শর্তের কথা তো আগেই বলে দিয়েছেন আশরাফুল। মানে সমস্যা এবং এর সমাধান লুকিয়ে যেন শেষ ৫ ওভারেই!
No comments