সারা দেশে জমির খাজনা আদায় বন্ধ! by আপেল মাহমুদ
সারা দেশে জমির খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) আদায় বন্ধ রয়েছে। ভূমি অফিসে দাখিলা বই (খাজনা আদায়ের রসিদ) সংকটের কারণে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে একদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে, অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়েছে লাখ লাখ সেবাপ্রত্যাশী মানুষ। দেশের চারহাজার ৪৬৩টি তহশিল অফিসের কাজকর্মেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। খাজনা দিতে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে ভূমি অফিসের কর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের অধীনস্থ বিজি প্রেস থেকে সঠিক সময়ে দাখিলা বই সরবরাহ না করায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে ভূমি অফিসগুলোতে দাখিলা বই সরবরাহ শুরু হবে বলে জানান ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা। ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে এক মাস এবং ঢাকা শহরের ভূমি অফিসগুলোতে ১৫ দিন ধরে দাখিলা বই নেই। আগে আর কখনো এত বেশি সময় ধরে দেশে দাখিলা বইয়ের সংকট দেখা যায়নি বলে জানান একাধিক এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার ভূমি)। তাঁরা দাবি করেন, আগে থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও চাহিদা মোতাবেক দাখিলা বই পাওয়া যায়নি।
সাভারের এসি ল্যান্ড মিজানুর রহমান বকাউল কালের কণ্ঠকে বলেন, জমির খাজনা গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাজকর্মে ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে ভূমি মালিকরা হয়রানির
শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন ভূমি অফিসে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খাজনা না দিতে পারার কারণে অনেকেই তাঁদের প্রয়োজনে জমি বিক্রি কিংবা ব্যাংকে বন্ধন দিতে পারছেন না। কারণ এসব কাজের জন্য ভূমি মালিকদের নিজের নামে নামজারি করার পর খতিয়ান খুলে খাজনা দিয়ে রসিদ নেওয়া বাধ্যতামূলক। বৃদ্ধ হযরত আলী ১৫ দিন ঘুরেও জমির খাজনা দিতে পারছেন না ধানমণ্ডি ভূমি অফিসে। তিনি বলেন, 'খাজনা দিতে না পারায় জমি বিক্রি করতে পারছি না। ফলে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান আটকে আছে।'
ডেমরা ভূমি অফিসের সামনে ইদ্রিস আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, খাজনা দিতে না পারায় তাঁর ঋণের টাকা অনুমোদন দিচ্ছে না ব্যাংক। তা ছাড়া জমির খাজনা সময়মতো দিতে না পারলে মালিকানা স্বত্বের ধারাবাহিকতা ঠিক থাকে না। অনেক সময় আদালতে জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য বাদি-বিবাদিদের দাখিলা রসিদ দেখাতে হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে কয়েক কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বিজি প্রেসের। এ কারণে দাখিলা বই ছাপাতে তারা অনীহা প্রকাশ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আর্থিক কারণে দাখিলা বই ছাপা বন্ধ রয়েছে এ কথা ঠিক নয়। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রিন্ট অর্ডার দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে দাখিলা বই সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হয়তো এ নিয়মটা পালন করা হয়নি বলে দাখিলা বই ছাপাতে দেরি হচ্ছে। তা ছাড়া খাজনা আদায়ের দাখিলা বই সাধারণ কোনো সরকারি প্রকাশনা নয়। কারণ একটি খাজনার রসিদের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব। এ কারণে দাখিলা বইকে চেক বই বলা হয়।'
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের শাখা-৩ থেকে বলা হয়, ভূমি অফিসের অধিকাংশ প্রকাশনা ছাপানোর দায়িত্ব বর্তমানে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের। জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ চাহিদা অনুযায়ী ফরম, দাখিলা কিংবা ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) ছাপিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শুধু ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
তবে বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দাখিলা বই যাতে দ্রুত ছাপানো হয়, সেজন্য গত ৪ অক্টোবর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ল ম আবদুর রহমান এনডিসির নেতৃত্বে একটি জরুরি সভা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর থেকে জরুরি ভিত্তিতে গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেসে দাখিলা বই ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা ভূমি অফিসগুলোতে সরবরাহ শুরু হবে বলে জানান অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম।
সাভারের এসি ল্যান্ড মিজানুর রহমান বকাউল কালের কণ্ঠকে বলেন, জমির খাজনা গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাজকর্মে ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে ভূমি মালিকরা হয়রানির
শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন ভূমি অফিসে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খাজনা না দিতে পারার কারণে অনেকেই তাঁদের প্রয়োজনে জমি বিক্রি কিংবা ব্যাংকে বন্ধন দিতে পারছেন না। কারণ এসব কাজের জন্য ভূমি মালিকদের নিজের নামে নামজারি করার পর খতিয়ান খুলে খাজনা দিয়ে রসিদ নেওয়া বাধ্যতামূলক। বৃদ্ধ হযরত আলী ১৫ দিন ঘুরেও জমির খাজনা দিতে পারছেন না ধানমণ্ডি ভূমি অফিসে। তিনি বলেন, 'খাজনা দিতে না পারায় জমি বিক্রি করতে পারছি না। ফলে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান আটকে আছে।'
ডেমরা ভূমি অফিসের সামনে ইদ্রিস আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, খাজনা দিতে না পারায় তাঁর ঋণের টাকা অনুমোদন দিচ্ছে না ব্যাংক। তা ছাড়া জমির খাজনা সময়মতো দিতে না পারলে মালিকানা স্বত্বের ধারাবাহিকতা ঠিক থাকে না। অনেক সময় আদালতে জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য বাদি-বিবাদিদের দাখিলা রসিদ দেখাতে হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে কয়েক কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বিজি প্রেসের। এ কারণে দাখিলা বই ছাপাতে তারা অনীহা প্রকাশ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আর্থিক কারণে দাখিলা বই ছাপা বন্ধ রয়েছে এ কথা ঠিক নয়। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রিন্ট অর্ডার দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে দাখিলা বই সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হয়তো এ নিয়মটা পালন করা হয়নি বলে দাখিলা বই ছাপাতে দেরি হচ্ছে। তা ছাড়া খাজনা আদায়ের দাখিলা বই সাধারণ কোনো সরকারি প্রকাশনা নয়। কারণ একটি খাজনার রসিদের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব। এ কারণে দাখিলা বইকে চেক বই বলা হয়।'
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের শাখা-৩ থেকে বলা হয়, ভূমি অফিসের অধিকাংশ প্রকাশনা ছাপানোর দায়িত্ব বর্তমানে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের। জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ চাহিদা অনুযায়ী ফরম, দাখিলা কিংবা ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) ছাপিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শুধু ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
তবে বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দাখিলা বই যাতে দ্রুত ছাপানো হয়, সেজন্য গত ৪ অক্টোবর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ল ম আবদুর রহমান এনডিসির নেতৃত্বে একটি জরুরি সভা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর থেকে জরুরি ভিত্তিতে গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেসে দাখিলা বই ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা ভূমি অফিসগুলোতে সরবরাহ শুরু হবে বলে জানান অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম।
No comments