এক একটি ছবি এক একটি স্বপ্ন: অপু বিশ্বাস
কেটে গেছে অনেক বছর। দত্তবাড়ির মন্দিরে অষ্টমী আর নবমীর দিনে শাড়ি পরে বান্ধবীদের সঙ্গে ঠাকুর-দর্শনে যেতেন অপু। তখন সবে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ছেলেরা এসে বলত, ‘কি গো, সিঁথি তো খালি, একটু সিঁদুর দিব নাকি?’
আবার কেউ এসে বলত, ‘মঙ্গলসূত্রটা কি গলায় দেবে? তাহলে আর দেরি কেন? চলো না...।’
আবার কেউ এসে বলত, ‘মঙ্গলসূত্রটা কি গলায় দেবে? তাহলে আর দেরি কেন? চলো না...।’
ছেলেদের এমন দুষ্টুমি উপেক্ষা করেই পূজার আনন্দ উদ্যাপন করেছেন অপু। সাঁতার জানতেন না বলে বিসর্জনের দিনে নৌকায় ওঠা হতো না। করতোয়ার পাড়ে বসেই বিসর্জনের দৃশ্য দেখে বাড়ি ফিরতেন। আজকের দিনগুলো একদম উল্টো। সকাল থেকে রাত অবধি শুটিং আর শুটিং। অপুর ইচ্ছে ছিল বগুড়া যাবেন অষ্টমীতে। দশমীর দিনে ঢাকা আসবেন। কিন্তু কেউ যে আর শিডিউল ছাড়তে চান না। মনটা যখন এক রকম খারাপই হলো, তখনই খুশির খবরটা জানলেন। তিনি বগুড়াতেই যাচ্ছেন এক দিনের জন্য। অর্থাৎ, নবমীর দিনে বগুড়া যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন পরিচালক-প্রযোজক। অপু যখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন, তখন বললেন, অষ্টমীর দিনে উত্তরার দুটি মন্দিরে গিয়ে দেবী দর্শন করবেন। নবমীর দিনে বগুড়াতেই বড় আয়োজন করেছেন এবং সেখানে তিনি তাঁর সতীর্থদের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে ভোগ নেবেন। এমনিতেই খাওয়া-দাওয়ায় অনেক নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ভোগ নেওয়ার সময় সেসব ভুলে যান অপু। কেনাকাটা? বগুড়া থেকেই মামা দুটি শাড়ি কিনে দিয়েছেন। মাস খানেক আগে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন, সেখানে তিনি কেনাকাটা করেছেন। তার পরও যা বাকি ছিল, তা ঢাকা থেকে কিনে নিয়েছেন।
‘সবই করা হবে। আফসোস একটাই, দশমীর দিনে বিসর্জনটাই হয়তো দেখা হবে না। হয়তো টিভির পর্দাতেই তা দেখে নিতে হবে।’ বলছিলেন অপু এতো গেল অপুর পূজা উদ্যাপনের কথা। ব্যক্তি অপু সম্পর্কে জানতে চাই।
পূজায় আপনার বিশেষ পছন্দের মানুষটি আপনাকে কী দিলেন?
অপু হাসেন, ‘এতটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন কেন হঠাৎ? আর আমার যে বিশেষ কেউ আছে তা-ই কে বলল, ভাই? ওসব কিছু নেই। সকাল-বিকেল শুটিং করি। হাসাহাসি করি, কান্নাকাটি করি, তারপর বাড়ি ফিরে যাই।’
আচমকা প্রশ্ন করি, শাকিব খানের জন্য কান্না করেছেন কতবার? অপু অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। ‘শাকিবের সঙ্গে যদি ৫০টি ছবিতে অভিনয় করে থাকি, তবে ৫০ বার কেঁদেছি।’ অপু চটপট জবাব দেন। আর ব্যক্তি শাকিবের জন্য কাঁদেননি?
‘না...। ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, কেঁদেছি। শাকিবের একটি সুখের সংবাদ শুনে কেঁদেছিলাম। যেদিন শুনলাম ও শিল্পী সমিতির সভাপতি হয়েছে, সেদিন আনন্দে কেঁদেছিলাম। সহশিল্পীর এমন সাফল্য সেদিন আমাকে কাঁদিয়েছিল। এটি ছিল আসলে খুশির কান্না।’ অনেকেই বলেন, শাকিব ও অপু দুজন দুজনকে ভালোবাসেন। কেউ কেউ বলেন, বিয়েও করতে পারেন। আসলে কী?
অপু এবার বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু না পেরে হাসতে লাগলেন।
‘প্রায় প্রতিটি ছবিতেই তো শাকিব আমার জন্য অনেক মার খায় আর আমাকে বিয়ে করে। বিয়ে তো ওভাবেই করেছি। সিনেমায় চরিত্রের প্রয়োজনে আমরা দুজনই একে অপরকে বলেছি, “তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। মরে যাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি...।” এর বাইরে অন্য কিছু বলতে পারব না।’ বলছিলেন অপু বিশ্বাস।
অপুর কাছে প্রশ্ন করলাম, সমালোচকেরা আরও বলেন যে শাকিব প্রায় সব ছবিতেই অপুকে নায়িকা হিসেবে নিতে বলেন। অপু এ কথার বিরোধিতা করলেন; বললেন, ‘ছবি ব্যবসাসফল না হলে নির্মাতারা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে শুধু শাকিবের কথায় আমাকে নিতেন না। তবে হ্যাঁ, শাকিব আমাকে সহশিল্পী হিসেবে সহযোগিতা করে। এ জন্য তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আবার এমন সহযোগিতা তো সাহারা, মীম, রোমানা, নিপুণ, শখ—সবাইকে করছে শাকিব। আমি কি সেসব নিয় কিছু বলেছি কখনো? আসলে আমাদের এখানে নির্ভরযোগ্য নায়ক একজন বলেই ওকে নিয়ে এত কথা।’ এবার অপুর কাজের প্রসঙ্গে আসি। অপুর হাতে এখন নির্মাণাধীন ছবি আছে ছয়টি। হাতে আছে সাতটি। চলতি সপ্তাহেই তিনি আরও দুটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হবেন। অভিনয়জীবনের সাত বছর পূর্ণ হয়েছে এ বছর। এরই মধ্যে শাকিব-অপু জুটির অর্ধশত ছবি মুক্তি পেয়েছে। সামনে যে ছবিগুলো মুক্তি পাবে, তাতে বলা যায়, চলতি বছরেই ১০০ ছবি মুক্তির উৎসব করতে পারবেন তাঁরা। গেল ঈদে অপু অভিনীত দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। আসছে কোরবানির ঈদে অপু অভিনীত তিনটি ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত। বললেন, ‘আমার এক একটি ছবি আমার কাছে এক একটি স্বপ্ন। এই স্বপ্নগুলো আমাকে আরও বড় স্বপ্নের কাছে নিয়ে যায়। আমি নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করি। কোনো ছবি যদি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য না পায়, অর্থাৎ, স্বপ্ন যদি দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়, তখন কষ্ট পাই, কিন্তু ভীত হই না। আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করি।
‘সবই করা হবে। আফসোস একটাই, দশমীর দিনে বিসর্জনটাই হয়তো দেখা হবে না। হয়তো টিভির পর্দাতেই তা দেখে নিতে হবে।’ বলছিলেন অপু এতো গেল অপুর পূজা উদ্যাপনের কথা। ব্যক্তি অপু সম্পর্কে জানতে চাই।
পূজায় আপনার বিশেষ পছন্দের মানুষটি আপনাকে কী দিলেন?
অপু হাসেন, ‘এতটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন কেন হঠাৎ? আর আমার যে বিশেষ কেউ আছে তা-ই কে বলল, ভাই? ওসব কিছু নেই। সকাল-বিকেল শুটিং করি। হাসাহাসি করি, কান্নাকাটি করি, তারপর বাড়ি ফিরে যাই।’
আচমকা প্রশ্ন করি, শাকিব খানের জন্য কান্না করেছেন কতবার? অপু অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। ‘শাকিবের সঙ্গে যদি ৫০টি ছবিতে অভিনয় করে থাকি, তবে ৫০ বার কেঁদেছি।’ অপু চটপট জবাব দেন। আর ব্যক্তি শাকিবের জন্য কাঁদেননি?
‘না...। ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, কেঁদেছি। শাকিবের একটি সুখের সংবাদ শুনে কেঁদেছিলাম। যেদিন শুনলাম ও শিল্পী সমিতির সভাপতি হয়েছে, সেদিন আনন্দে কেঁদেছিলাম। সহশিল্পীর এমন সাফল্য সেদিন আমাকে কাঁদিয়েছিল। এটি ছিল আসলে খুশির কান্না।’ অনেকেই বলেন, শাকিব ও অপু দুজন দুজনকে ভালোবাসেন। কেউ কেউ বলেন, বিয়েও করতে পারেন। আসলে কী?
অপু এবার বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু না পেরে হাসতে লাগলেন।
‘প্রায় প্রতিটি ছবিতেই তো শাকিব আমার জন্য অনেক মার খায় আর আমাকে বিয়ে করে। বিয়ে তো ওভাবেই করেছি। সিনেমায় চরিত্রের প্রয়োজনে আমরা দুজনই একে অপরকে বলেছি, “তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। মরে যাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি...।” এর বাইরে অন্য কিছু বলতে পারব না।’ বলছিলেন অপু বিশ্বাস।
অপুর কাছে প্রশ্ন করলাম, সমালোচকেরা আরও বলেন যে শাকিব প্রায় সব ছবিতেই অপুকে নায়িকা হিসেবে নিতে বলেন। অপু এ কথার বিরোধিতা করলেন; বললেন, ‘ছবি ব্যবসাসফল না হলে নির্মাতারা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে শুধু শাকিবের কথায় আমাকে নিতেন না। তবে হ্যাঁ, শাকিব আমাকে সহশিল্পী হিসেবে সহযোগিতা করে। এ জন্য তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আবার এমন সহযোগিতা তো সাহারা, মীম, রোমানা, নিপুণ, শখ—সবাইকে করছে শাকিব। আমি কি সেসব নিয় কিছু বলেছি কখনো? আসলে আমাদের এখানে নির্ভরযোগ্য নায়ক একজন বলেই ওকে নিয়ে এত কথা।’ এবার অপুর কাজের প্রসঙ্গে আসি। অপুর হাতে এখন নির্মাণাধীন ছবি আছে ছয়টি। হাতে আছে সাতটি। চলতি সপ্তাহেই তিনি আরও দুটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হবেন। অভিনয়জীবনের সাত বছর পূর্ণ হয়েছে এ বছর। এরই মধ্যে শাকিব-অপু জুটির অর্ধশত ছবি মুক্তি পেয়েছে। সামনে যে ছবিগুলো মুক্তি পাবে, তাতে বলা যায়, চলতি বছরেই ১০০ ছবি মুক্তির উৎসব করতে পারবেন তাঁরা। গেল ঈদে অপু অভিনীত দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। আসছে কোরবানির ঈদে অপু অভিনীত তিনটি ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত। বললেন, ‘আমার এক একটি ছবি আমার কাছে এক একটি স্বপ্ন। এই স্বপ্নগুলো আমাকে আরও বড় স্বপ্নের কাছে নিয়ে যায়। আমি নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করি। কোনো ছবি যদি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য না পায়, অর্থাৎ, স্বপ্ন যদি দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়, তখন কষ্ট পাই, কিন্তু ভীত হই না। আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করি।
No comments