ব্যক্তিপর্যায়ে প্লেসমেন্ট বরাদ্দের সর্বোচ্চ সীমা এক কোটি টাকা
ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট বরাদ্দের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি টাকা। পাশাপাশি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ করা ইউনিট বিক্রির বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার (লক-ইন) মেয়াদ এক বছর থেকে কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) মিউচুয়াল ফান্ডের কোটা ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক সভায় গতকাল বুধবার এসব সংশোধনীসহ মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।
সভা শেষে সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা সংশোধনীর খসড়ায় ব্যক্তিপর্যায়ে প্লেসমেন্ট বরাদ্দের সীমা তুলে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত এবং সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারের স্বার্থ বিবেচনায় এই সীমা এক কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে মিউচুয়াল ফান্ডের প্লেসমেন্ট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ লাখ টাকার সর্বোচ্চ সীমা কার্যকর ছিল। সাইফুর রহমান জানান, সংশোধনীতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মিউচুয়াল ফান্ডের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কোষ বা পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত ট্রাস্ট ফান্ড, অবসরকালীন তহবিল বা পেনশন ফান্ড, ভবিষ্য-তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ড, সুপার এনুয়েশন ফান্ড ও ভেঞ্চার মূলধন তহবিল ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। এ ছাড়া এসইসিকে অবহিত করে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা সেবা ও উপদেষ্টা সেবা দিতে পারবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো। সভায় মিউচুয়াল ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রে আইপিওর মাধ্যমে ইউনিট বরাদ্দের বাধ্যবাধকতা ৫০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি মেয়াদহীন বা ওপেন এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বনিম্ন আকার ২০ কোটি টাকার পরিবর্তে করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া এসইসির সংশোধনীতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে মিউচুয়াল ফান্ড গঠনের সুযোগ থাকছে। একই সঙ্গে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমান নির্ণয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
No comments