মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধ আইন সংশোধন হচ্ছে
আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে সরকার মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ (এন্টি-মানি লন্ডারিং বা এএমএল) আইন এবং সন্ত্রাসে-অর্থায়ন প্রতিরোধ (এন্টি-টেররিজম ফাইন্যান্স) আইনে সংশোধন আনবে।
জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই এসব আইনের সংশোধনী সংবলিত বিল উপস্থাপন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছেন। সচিবালয়ে মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য দেন। খবর ইউএনবির।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমরা অনেক দিন ধরে কাজ করছি। এখন আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছি।’
অর্থমন্ত্রী জানান, দুটি আইনের সংশোধনী সংবলিত খসড়া আগে মন্ত্রিপরিষদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংকিং ও আর্থিক বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) এক প্রতিনিধিদলও বৈঠকে যোগ দেয়। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন এপিজির ডেভিড শ্যানন, অস্ট্রেলীয় ফেডারেল পুলিশের ক্রিস উডস, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের রবার্ট এইচ গিরার্ডি, নাজরানা ইমাম প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, সরকার ইতিমধ্যে অর্থ পাচার ও অবৈধ ব্যবহার রোধে একটি কৌশল গ্রহণ করেছে এবং দ্রুত এ বিষয়ে একটি নীতি বিবৃতি প্রকাশ করবে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে বিষয়টি অর্থনৈতিক থাকলেও এটি এখন রাজনৈতিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি দুটো দিক থেকে দেখতে হবে। একটি হলো অর্থনৈতিক লোকসান, অন্যটি রাজনৈতিক সমস্যা।
মুহিত বলেন, ‘এসব দিক মোকাবিলা করে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা বিশ্বের সামনে অক্টোবর মাসে তুলে ধরব। তার আগে সেপ্টেম্বরে সিডনিতে এপিজির বৈঠকে এটি উপস্থাপন করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে টাকা যে পাচার হয়েছে, অবশ্যই তার কিছু প্রমাণ আছে। কোকো (আরাফাত রহমান) টাকা পাচার করায় যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘আমাদের কাছে আরও তথ্য আছে। কিন্তু মামলা দায়ের না করা পর্যন্ত আমরা তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে পারছি না।’
সংশোধনী প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানের প্রচলিত আইনে সরকার বিদেশে পাচারকৃত অর্থ জব্দ করতে পারে না। সংশোধনীর পর তা সম্ভব হবে।
আইনগুলোয় সংশোধন না আনলে কী হতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বহির্বিশ্বের সামনে এমন একটা ধারণা তৈরি হবে যে মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ তেমন সক্রিয় হচ্ছে না।
মুহিত জানান, গত বছর অক্টোবরে এপিজি যে মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেখানে এসব আইনে কিছু সংশোধনী এনে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এবারও এপিজির প্রতিনিধিরা মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরির অংশ হিসেবে সরেজমিন এসব কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন।
উল্লেখ্য, মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন, ২০০৯—এ দুটিতে সংশোধনী আনতে সরকার চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ১২ সদস্যের জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করে।
অর্থমন্ত্রী এই কমিটির আহ্বায়ক। সদস্যরা হলেন: দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সচিবেরা (অর্থ, ব্যাংকিং, আইন, সংসদ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র বিভাগ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানরা।
জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই এসব আইনের সংশোধনী সংবলিত বিল উপস্থাপন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছেন। সচিবালয়ে মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য দেন। খবর ইউএনবির।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমরা অনেক দিন ধরে কাজ করছি। এখন আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছি।’
অর্থমন্ত্রী জানান, দুটি আইনের সংশোধনী সংবলিত খসড়া আগে মন্ত্রিপরিষদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংকিং ও আর্থিক বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) এক প্রতিনিধিদলও বৈঠকে যোগ দেয়। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন এপিজির ডেভিড শ্যানন, অস্ট্রেলীয় ফেডারেল পুলিশের ক্রিস উডস, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের রবার্ট এইচ গিরার্ডি, নাজরানা ইমাম প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, সরকার ইতিমধ্যে অর্থ পাচার ও অবৈধ ব্যবহার রোধে একটি কৌশল গ্রহণ করেছে এবং দ্রুত এ বিষয়ে একটি নীতি বিবৃতি প্রকাশ করবে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে বিষয়টি অর্থনৈতিক থাকলেও এটি এখন রাজনৈতিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি দুটো দিক থেকে দেখতে হবে। একটি হলো অর্থনৈতিক লোকসান, অন্যটি রাজনৈতিক সমস্যা।
মুহিত বলেন, ‘এসব দিক মোকাবিলা করে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা বিশ্বের সামনে অক্টোবর মাসে তুলে ধরব। তার আগে সেপ্টেম্বরে সিডনিতে এপিজির বৈঠকে এটি উপস্থাপন করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে টাকা যে পাচার হয়েছে, অবশ্যই তার কিছু প্রমাণ আছে। কোকো (আরাফাত রহমান) টাকা পাচার করায় যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘আমাদের কাছে আরও তথ্য আছে। কিন্তু মামলা দায়ের না করা পর্যন্ত আমরা তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে পারছি না।’
সংশোধনী প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানের প্রচলিত আইনে সরকার বিদেশে পাচারকৃত অর্থ জব্দ করতে পারে না। সংশোধনীর পর তা সম্ভব হবে।
আইনগুলোয় সংশোধন না আনলে কী হতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বহির্বিশ্বের সামনে এমন একটা ধারণা তৈরি হবে যে মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ তেমন সক্রিয় হচ্ছে না।
মুহিত জানান, গত বছর অক্টোবরে এপিজি যে মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেখানে এসব আইনে কিছু সংশোধনী এনে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এবারও এপিজির প্রতিনিধিরা মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরির অংশ হিসেবে সরেজমিন এসব কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন।
উল্লেখ্য, মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন, ২০০৯—এ দুটিতে সংশোধনী আনতে সরকার চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ১২ সদস্যের জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করে।
অর্থমন্ত্রী এই কমিটির আহ্বায়ক। সদস্যরা হলেন: দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সচিবেরা (অর্থ, ব্যাংকিং, আইন, সংসদ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র বিভাগ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানরা।
No comments