ওভালে ওয়াহাবের দিন
১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম ঘটল ঘটনাটা। ওভালে কোনো টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনের সব টিকিট বিক্রি হলো না। পাকিস্তান-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ৫ হাজার এবং তৃতীয় দিনেরও ২ হাজার টিকিট কাল পর্যন্ত অবিক্রীত!
সব টিকিট বিক্রি না হওয়ার কারণ কয়েকটি। অন্যতম অবশ্যই চার টেস্টের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ইংল্যান্ডের সিরিজটাকে একপেশে করে তোলা। কিন্তু কাল থেকে শুরু ওভাল টেস্ট যে সিরিজের রংটাই বদলে দেওয়ার উপক্রম করবে, সেটা কে জানত?
আসলে সিরিজের রং বদলে দিচ্ছিল কি ওভাল টেস্ট, নাকি পাকিস্তানের ২৫ বছর বয়সী তরুণ পেসার ওয়াহাব রিয়াজ? অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই তো নিজেদের মাঠে অসহায় করে দিলেন ইংল্যান্ডকে! ২৩৩ রানে থেমে গেছে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৮।
গত ঘরোয়া মৌসুমে সাকল্যে উইকেট পেয়েছেন ১৪টি, কোনো ইনিংসেই দুটির বেশি উইকেট নেই। উস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিবিঘ্নিত হওয়ায় ইংল্যান্ডে এসে ম্যাচ প্র্যাকটিসও সেভাবে হয়নি। সেই রিয়াজই তাঁর প্রথম টেস্টে টুঁটি চেপে ধরলেন ইংল্যান্ডের। কাল লাঞ্চ পর্যন্ত স্বাগতিকদের স্কোর যে ৫ উইকেটে মাত্র ৭০ রান ছিল, সেটা রিয়াজের বোলিং-বিষেই। উইকেটগুলোও আবার কী—ওপেনার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, জোনাথন ট্রট আর কেভিন পিটারসেন! লাঞ্চের পরও সুইং আর গতি ধরে রেখে তুলে নিলেন এউইন মরগান ও স্টুয়ার্ট ব্রডের উইকেট দুটি। পাকিস্তানের নবম বোলার হিসেবে প্রথম টেস্টেই ৫ উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের তরুণ স্মরণীয় করে রাখলেন তাঁর অভিষেক টেস্ট।
এর আগে অ্যালিস্টার কুককে দলীয় ৯ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে শুরুটা করেছিলেন আরেক পেসার মোহাম্মদ আসিফ। ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনিও। তবে লাঞ্চ পর্যন্তই ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরকে কাঁপিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক রিয়াজ। তিনি অবশ্য কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন উইকেটকিপার কামরান আকমলের কাছে। লাঞ্চের পর নেওয়া এউইন মরগানের চতুর্থ উইকেটটিসহ তাঁর ৫ উইকেটের ৩টিই কট বিহাইন্ড। এর আগে কুকের উইকেটটিসহ উইকেটের পেছনে চারটি ক্যাচ নিয়েছেন কামরান।
ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে ১৭৫ বানিয়ে চা-বিরতি পর্যন্ত টেস্টটা ‘রিয়াজ শো’ হলেও দিনের শেষ সেশনে ম্যাট প্রিয়র আর স্টুয়ার্ট ব্রড মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন কিছুটা। ৯৪ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর অষ্টম উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়ে প্রথম দিনে তাঁরাই ইংল্যান্ডকে বাঁচিয়েছেন আরও বড় বিপর্যয় থেকে। ৮৪ রানে অপরাজিত প্রিয়র বাকি দুই ব্যাটসম্যান অ্যান্ডারসন ও ফিনকে নিয়ে যেতে পারেননি বেশি দূর।
১৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ২০০৭ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলা অতিসাবধানী (৫৫ বলে ১১ রান) ইমরান ফারহাতকে বোল্ড করে পাকিস্তানের ভালো শুরুতে ছেদ ফেলেছেন অ্যান্ডারসন। ইয়াসির হামিদ ৩৬ ও তাঁর সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান ওয়াহাব উইকেটে আছেন ০ রানে।
সব টিকিট বিক্রি না হওয়ার কারণ কয়েকটি। অন্যতম অবশ্যই চার টেস্টের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ইংল্যান্ডের সিরিজটাকে একপেশে করে তোলা। কিন্তু কাল থেকে শুরু ওভাল টেস্ট যে সিরিজের রংটাই বদলে দেওয়ার উপক্রম করবে, সেটা কে জানত?
আসলে সিরিজের রং বদলে দিচ্ছিল কি ওভাল টেস্ট, নাকি পাকিস্তানের ২৫ বছর বয়সী তরুণ পেসার ওয়াহাব রিয়াজ? অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই তো নিজেদের মাঠে অসহায় করে দিলেন ইংল্যান্ডকে! ২৩৩ রানে থেমে গেছে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৮।
গত ঘরোয়া মৌসুমে সাকল্যে উইকেট পেয়েছেন ১৪টি, কোনো ইনিংসেই দুটির বেশি উইকেট নেই। উস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিবিঘ্নিত হওয়ায় ইংল্যান্ডে এসে ম্যাচ প্র্যাকটিসও সেভাবে হয়নি। সেই রিয়াজই তাঁর প্রথম টেস্টে টুঁটি চেপে ধরলেন ইংল্যান্ডের। কাল লাঞ্চ পর্যন্ত স্বাগতিকদের স্কোর যে ৫ উইকেটে মাত্র ৭০ রান ছিল, সেটা রিয়াজের বোলিং-বিষেই। উইকেটগুলোও আবার কী—ওপেনার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, জোনাথন ট্রট আর কেভিন পিটারসেন! লাঞ্চের পরও সুইং আর গতি ধরে রেখে তুলে নিলেন এউইন মরগান ও স্টুয়ার্ট ব্রডের উইকেট দুটি। পাকিস্তানের নবম বোলার হিসেবে প্রথম টেস্টেই ৫ উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের তরুণ স্মরণীয় করে রাখলেন তাঁর অভিষেক টেস্ট।
এর আগে অ্যালিস্টার কুককে দলীয় ৯ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে শুরুটা করেছিলেন আরেক পেসার মোহাম্মদ আসিফ। ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনিও। তবে লাঞ্চ পর্যন্তই ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরকে কাঁপিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক রিয়াজ। তিনি অবশ্য কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন উইকেটকিপার কামরান আকমলের কাছে। লাঞ্চের পর নেওয়া এউইন মরগানের চতুর্থ উইকেটটিসহ তাঁর ৫ উইকেটের ৩টিই কট বিহাইন্ড। এর আগে কুকের উইকেটটিসহ উইকেটের পেছনে চারটি ক্যাচ নিয়েছেন কামরান।
ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে ১৭৫ বানিয়ে চা-বিরতি পর্যন্ত টেস্টটা ‘রিয়াজ শো’ হলেও দিনের শেষ সেশনে ম্যাট প্রিয়র আর স্টুয়ার্ট ব্রড মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন কিছুটা। ৯৪ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর অষ্টম উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়ে প্রথম দিনে তাঁরাই ইংল্যান্ডকে বাঁচিয়েছেন আরও বড় বিপর্যয় থেকে। ৮৪ রানে অপরাজিত প্রিয়র বাকি দুই ব্যাটসম্যান অ্যান্ডারসন ও ফিনকে নিয়ে যেতে পারেননি বেশি দূর।
১৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ২০০৭ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলা অতিসাবধানী (৫৫ বলে ১১ রান) ইমরান ফারহাতকে বোল্ড করে পাকিস্তানের ভালো শুরুতে ছেদ ফেলেছেন অ্যান্ডারসন। ইয়াসির হামিদ ৩৬ ও তাঁর সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান ওয়াহাব উইকেটে আছেন ০ রানে।
No comments