বড় মতপার্থক্য ছাড়াই ব্রিটেনের জোট সরকারের ১০০ দিন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেনে গঠিত প্রথম জোট সরকার গতকাল বুধবার ক্ষমতা গ্রহণের শততম দিন পার করেছে।
তেমন বড় ধরনের কোনো মতপার্থক্য ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার শততম দিনটি উদ্যাপন করেছে তারা। তবে
সরকারের এই মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের উপনেতা সাইমন হিউজেস বলেছেন, পছন্দ নয় সরকারের এমন নীতির বাস্তবায়ন ঠেকাতে তাঁর দলের নেতাদের ভেটো ক্ষমতা থাকা উচিত।
গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের জোট সরকার ব্রিটেনে ক্ষমতা গ্রহণের সময় অনেক বিশ্লেষকই ধারণা করেছিলেন আদর্শিক পার্থক্যের কারণে খুব দ্রুত এই সরকারের পতন হতে পারে। কিন্তু তেমনটি হয়নি।
লিব ডেম নেতা উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বর্তমান জোট সরকারকে একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে দলের উপনেতা সাইমন হিউজেস বলেছেন, লিব ডেম ও লেবার পার্টির মধ্যে জোট গঠনের সুযোগ এখনো রয়ে গেছে।
ক্ষমতায় আসার পর নতুন সরকারকে অর্থনৈতিক মন্দা ও বিপুল বাজেট ঘাটতিসহ বড় ধরনের বেশ কয়েকটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৫ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনাদের ফিরিয়ে আনার সময়সীমাও নির্ধারণ করেছে তারা। বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকারি ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ইতিমধ্যেই বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ক্যামেরন ও ক্লেগকে।
অবজারভার পত্রিকায় নিক ক্লেগ লিখেছেন, ‘যা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় ১০০টি দিন পার করেছি আমরা।’ ক্লেগ স্বীকার করেন, ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
ব্যয় সংকোচন নীতি নিয়ে ব্রিটেনের ভোটারেরা খানিকটা ক্ষুব্ধ। ডেইলি মেইল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ ব্রিটিশ সরকারের কার্যক্রম হতাশাজনক হিসেবে অভিহিত করেছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোও সরকারের ব্যয় কমানোর নীতির বিরোধিতা করছে।
আগামী মাসে লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা। জানা গেছে, দলটির অনেক সদস্যই সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির ব্যাপারে নাখোশ। পাশাপাশি সরকার গঠনের জন্য জোট করতে গিয়ে দলীয় নীতিতে যে ছাড় দিতে হয়েছে, তা নিয়েও অসন্তুষ্ট তারা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ দলের জনপ্রিয়তাও কিছুটা কমে গেছে। লিব ডেম উপনেতা হিউজেস বলেন, ‘এই জোট সংসদীয় ভোটাভুটি কার্যকর করতে চাইলে সবাইকেই এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে।’
তেমন বড় ধরনের কোনো মতপার্থক্য ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার শততম দিনটি উদ্যাপন করেছে তারা। তবে
সরকারের এই মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের উপনেতা সাইমন হিউজেস বলেছেন, পছন্দ নয় সরকারের এমন নীতির বাস্তবায়ন ঠেকাতে তাঁর দলের নেতাদের ভেটো ক্ষমতা থাকা উচিত।
গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের জোট সরকার ব্রিটেনে ক্ষমতা গ্রহণের সময় অনেক বিশ্লেষকই ধারণা করেছিলেন আদর্শিক পার্থক্যের কারণে খুব দ্রুত এই সরকারের পতন হতে পারে। কিন্তু তেমনটি হয়নি।
লিব ডেম নেতা উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বর্তমান জোট সরকারকে একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে দলের উপনেতা সাইমন হিউজেস বলেছেন, লিব ডেম ও লেবার পার্টির মধ্যে জোট গঠনের সুযোগ এখনো রয়ে গেছে।
ক্ষমতায় আসার পর নতুন সরকারকে অর্থনৈতিক মন্দা ও বিপুল বাজেট ঘাটতিসহ বড় ধরনের বেশ কয়েকটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৫ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনাদের ফিরিয়ে আনার সময়সীমাও নির্ধারণ করেছে তারা। বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকারি ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ইতিমধ্যেই বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ক্যামেরন ও ক্লেগকে।
অবজারভার পত্রিকায় নিক ক্লেগ লিখেছেন, ‘যা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় ১০০টি দিন পার করেছি আমরা।’ ক্লেগ স্বীকার করেন, ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
ব্যয় সংকোচন নীতি নিয়ে ব্রিটেনের ভোটারেরা খানিকটা ক্ষুব্ধ। ডেইলি মেইল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ ব্রিটিশ সরকারের কার্যক্রম হতাশাজনক হিসেবে অভিহিত করেছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোও সরকারের ব্যয় কমানোর নীতির বিরোধিতা করছে।
আগামী মাসে লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা। জানা গেছে, দলটির অনেক সদস্যই সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির ব্যাপারে নাখোশ। পাশাপাশি সরকার গঠনের জন্য জোট করতে গিয়ে দলীয় নীতিতে যে ছাড় দিতে হয়েছে, তা নিয়েও অসন্তুষ্ট তারা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ দলের জনপ্রিয়তাও কিছুটা কমে গেছে। লিব ডেম উপনেতা হিউজেস বলেন, ‘এই জোট সংসদীয় ভোটাভুটি কার্যকর করতে চাইলে সবাইকেই এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে।’
No comments