কারজাই-জারদারিকে নিয়ে রাশিয়ায় সম্মেলন
আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সমন্বয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাশিয়া।
রাশিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান তিন দেশেরই পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরপরও এই সম্মেলনের মাধ্যমে রাশিয়া এটাই দেখাতে চায়, আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতিতে তারা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছে। ওই অঞ্চলে একসময় রাশিয়ার জোরালো প্রভাব ছিল।
সোভিয়েত আমলে আফগানিস্তানে যুদ্ধের ভয়াবহ সেই স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি রাশিয়া। ওই যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে প্রাণহানি ঘটেছিল ১৩ হাজারের বেশি লোকের। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৯ সালে পরাজয় মেনে নিতে হয়। আফগানিস্তানে বর্তমানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর দুরবস্থার প্রতি দূর থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে রাশিয়া।
কৃষ্ণসাগরের উপকূলে অবস্থিত সোচি অবকাশযাপন কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন শুরুর আগে কারজাই এবং জারদারির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। সম্মেলনে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমনও যোগ দেন।
মেদভেদেভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় জারদারি বলেন, ‘আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। রাশিয়ার মতো মহান ও বন্ধু দেশের সমর্থন আফগানিস্তানের প্রয়োজন।’
মেদভেদেভ জানান, তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান সরকারকে রাশিয় সমর্থন দিয়ে এসেছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতেও রাশিয়া প্রস্তুত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের বসবাস একই অঞ্চলে। কাজেই আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাও অভিন্ন। এই সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য কারজাই এবং জারদারিকে মুখোমুখি করা। আফগানিস্তান অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা তালেবান বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে।’
গত জুলাইয়ে কারজাই অভিযোগ করেন, তালেবান জঙ্গিদের অভয়াশ্রম, আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আফগানিস্তানের বাইরে অবস্থিত। আফগানিস্তানের বাইরে বলে তিনি কার্যত পাকিস্তানকেই ইঙ্গিত করেন। এমন অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।
কারজাইয়ের মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকী জানান, গতকাল দিনের প্রথমভাগেই জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কারজাই। এ বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
মেদভেদেভের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা সার্গেই প্রিখোদকো সম্মেলন শুরুর আগে জানান, আফগানিস্তানকে হেলিকপ্টার সরবরাহ করতে চায় রাশিয়া। তিনি বলেন, ‘আফগান পক্ষ থেকে বিষয়টি তোলা হলে বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে।’
রাশিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান তিন দেশেরই পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরপরও এই সম্মেলনের মাধ্যমে রাশিয়া এটাই দেখাতে চায়, আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতিতে তারা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছে। ওই অঞ্চলে একসময় রাশিয়ার জোরালো প্রভাব ছিল।
সোভিয়েত আমলে আফগানিস্তানে যুদ্ধের ভয়াবহ সেই স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি রাশিয়া। ওই যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে প্রাণহানি ঘটেছিল ১৩ হাজারের বেশি লোকের। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৯ সালে পরাজয় মেনে নিতে হয়। আফগানিস্তানে বর্তমানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর দুরবস্থার প্রতি দূর থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে রাশিয়া।
কৃষ্ণসাগরের উপকূলে অবস্থিত সোচি অবকাশযাপন কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন শুরুর আগে কারজাই এবং জারদারির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। সম্মেলনে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমনও যোগ দেন।
মেদভেদেভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় জারদারি বলেন, ‘আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। রাশিয়ার মতো মহান ও বন্ধু দেশের সমর্থন আফগানিস্তানের প্রয়োজন।’
মেদভেদেভ জানান, তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান সরকারকে রাশিয় সমর্থন দিয়ে এসেছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতেও রাশিয়া প্রস্তুত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের বসবাস একই অঞ্চলে। কাজেই আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাও অভিন্ন। এই সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য কারজাই এবং জারদারিকে মুখোমুখি করা। আফগানিস্তান অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা তালেবান বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে।’
গত জুলাইয়ে কারজাই অভিযোগ করেন, তালেবান জঙ্গিদের অভয়াশ্রম, আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আফগানিস্তানের বাইরে অবস্থিত। আফগানিস্তানের বাইরে বলে তিনি কার্যত পাকিস্তানকেই ইঙ্গিত করেন। এমন অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।
কারজাইয়ের মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকী জানান, গতকাল দিনের প্রথমভাগেই জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কারজাই। এ বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
মেদভেদেভের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা সার্গেই প্রিখোদকো সম্মেলন শুরুর আগে জানান, আফগানিস্তানকে হেলিকপ্টার সরবরাহ করতে চায় রাশিয়া। তিনি বলেন, ‘আফগান পক্ষ থেকে বিষয়টি তোলা হলে বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে।’
No comments