গ্রিন কার্ডদেখাতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার by ইব্রাহীম চৌধুরী
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠিন আইন প্রণয়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষ। অ্যারিজোনার আইনসভা ইতিপূর্বে অভিবাসনবিরোধী আইন প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। শুক্রবার রাজ্যের গভর্নর রিপাবলিকান জেন ব্রিউয়ার আইন প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছেন। আসছে আগস্ট মাস থেকে নতুন এ আইনটি কার্যকর হবে।
নতুন এ আইনে রাজ্য পুলিশকে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে চরম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যেকোনো মুহূর্তে সন্দেহবশত যেকারও অভিবাসন বৈধতা যাচাই করতে পারবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিবাসীদের সার্বক্ষণিক গ্রিনকার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। অভিবাসনের বৈধতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখতে পারবে। গ্রিনকার্ড প্রদর্শনে ব্যর্থ বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী এমন আইন প্রণীত হয়নি। কোনো মারাত্মক অপরাধ ছাড়া রাজ্যের পুলিশ অভিবাসীদের বৈধতা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে না। অভিবাসন বিভাগই পৃথকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন বা তল্লাশি করে। অভিবাসন আইন প্রণয়নের পর অ্যারিজোনায় তাত্ক্ষণিকভাবে কয়েক হাজার অভিবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
অভিবাসন নিয়ে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য সরকারের এমন আচমকা কড়াকড়ির তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলেই অন্যদের দায়িত্বহীন আচরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ আইন প্রণয়নের ফলে পুলিশ ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে, যা নিরাপত্তার জন্য সংকট সৃষ্টি করবে।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী এ আইন প্রণয়নের ফলে দ্রুত ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মেক্সিকো সীমান্তের এ অঙ্গরাজ্যে অভিবাসীদের অধিকাংশই হিসপানিক। মেক্সিকো সরকার তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ আইন প্রণয়নকে অমানবিক বলে অভিহিত করেছে।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এ আইনের কারণে অ্যারিজোনার সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মানবাধিকার কর্মী রজার এম ম্যাহনি নতুন অভিবাসন আইনকে নািসবাদী বলে উল্লেখ করেছেন।
অ্যারিজোনার পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর ডেমোক্র্যাট-দলীয় গভর্নর বিল রিচার্ডসন তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আইনটি ভয়ঙ্কর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভাবধারার পরিপন্থী।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত অভিবাসন আইন সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে একটি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ভেঙে পড়া অভিবাসন ব্যবস্থা সংস্কার করা। ইতিমধ্যে অভিবাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এ বছরের মধ্যেই অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণয়ন করা হবে। স্বাস্থ্যবীমা আইনসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইতিমধ্যে তীব্র বিরোধিতায় পড়েছেন।
অভিবাসনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইন প্রণেতারাও ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি রিপাবলিকান দলের উল্লেখযোগ্য সমর্থন ছাড়া অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণয়ন এখন অসম্ভব।
কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট দলের আইন প্রণেতারাও মধ্যবর্তী নির্বাচনের চাপে অভিবাসন আইনের সংস্কারটি অনেকটাই চেপে যাচ্ছেন। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রথম দফা অভিবাসন সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করলেই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
নতুন এ আইনে রাজ্য পুলিশকে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে চরম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যেকোনো মুহূর্তে সন্দেহবশত যেকারও অভিবাসন বৈধতা যাচাই করতে পারবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিবাসীদের সার্বক্ষণিক গ্রিনকার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। অভিবাসনের বৈধতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখতে পারবে। গ্রিনকার্ড প্রদর্শনে ব্যর্থ বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী এমন আইন প্রণীত হয়নি। কোনো মারাত্মক অপরাধ ছাড়া রাজ্যের পুলিশ অভিবাসীদের বৈধতা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে না। অভিবাসন বিভাগই পৃথকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন বা তল্লাশি করে। অভিবাসন আইন প্রণয়নের পর অ্যারিজোনায় তাত্ক্ষণিকভাবে কয়েক হাজার অভিবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
অভিবাসন নিয়ে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য সরকারের এমন আচমকা কড়াকড়ির তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলেই অন্যদের দায়িত্বহীন আচরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ আইন প্রণয়নের ফলে পুলিশ ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে, যা নিরাপত্তার জন্য সংকট সৃষ্টি করবে।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী এ আইন প্রণয়নের ফলে দ্রুত ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মেক্সিকো সীমান্তের এ অঙ্গরাজ্যে অভিবাসীদের অধিকাংশই হিসপানিক। মেক্সিকো সরকার তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ আইন প্রণয়নকে অমানবিক বলে অভিহিত করেছে।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এ আইনের কারণে অ্যারিজোনার সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মানবাধিকার কর্মী রজার এম ম্যাহনি নতুন অভিবাসন আইনকে নািসবাদী বলে উল্লেখ করেছেন।
অ্যারিজোনার পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর ডেমোক্র্যাট-দলীয় গভর্নর বিল রিচার্ডসন তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আইনটি ভয়ঙ্কর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভাবধারার পরিপন্থী।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত অভিবাসন আইন সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে একটি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ভেঙে পড়া অভিবাসন ব্যবস্থা সংস্কার করা। ইতিমধ্যে অভিবাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এ বছরের মধ্যেই অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণয়ন করা হবে। স্বাস্থ্যবীমা আইনসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইতিমধ্যে তীব্র বিরোধিতায় পড়েছেন।
অভিবাসনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইন প্রণেতারাও ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হচ্ছেন। পাশাপাশি রিপাবলিকান দলের উল্লেখযোগ্য সমর্থন ছাড়া অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণয়ন এখন অসম্ভব।
কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট দলের আইন প্রণেতারাও মধ্যবর্তী নির্বাচনের চাপে অভিবাসন আইনের সংস্কারটি অনেকটাই চেপে যাচ্ছেন। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, উচ্চকক্ষ সিনেটে প্রথম দফা অভিবাসন সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করলেই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
No comments