নিজেকে বদলাবেন না ক্লার্ক
ব্যক্তিগত দুঃসময় কাটিয়ে আবার টেস্ট-ওয়ানডেতে দারুণ রান ব্যাটে। রিকি পন্টিংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বও পেয়ে গেছেন। এই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টে মাইকেল ক্লার্কের হাতে দলের দায়িত্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাঁর অধিনায়কত্বের একটা পরীক্ষাই কিন্তু নেবে।
মাঠে তাঁর চলন-বলন অত আক্রমণাত্মক নয়। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে ক্লার্ককে হয়তো মানাচ্ছে না। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি নগ্ন ছবিকে কেন্দ্র করে মডেল বান্ধবী লারা বিঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেখিয়েছেন ক্রিকেট তাঁর জীবনে কতটা জায়গাজুড়ে আছে। দেখিয়েছেন ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য মানসিকভাবে তিনি আক্রমণাত্মক।
কালে কালে আরেকজন রিকি পন্টিং হয়ে উঠতে পারবেন কি না, সেটা সময় বলে দেবে। এখন মানসিকতার দিক থেকে অন্তত পন্টিংয়ের পথেই আছেন। যতই টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হোন না কেন, নিজেকে ‘ধুম-ধাড়াক্কা’ ব্যাটসম্যানে পরিণত করার কোনো ইচ্ছেই নেই ক্লার্কেরও।
ক্লার্কের টেস্ট গড় ৫০-এর ওপরে, ওয়ানডে গড় ৪২.৩১। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ১০৮.৮৩ স্ট্রাইক রেটে গড় মাত্র ২৪.৬৪, সর্বোচ্চ রান ৬৭! এর চেয়ে বেশি হবেই বা কী করে! টি-টোয়েন্টিতেও যে সেই প্রথাগত, কেতাবি ব্যাটসম্যান হয়ে থাকেন ক্লার্ক।
বিশ্বকাপ-যাত্রার আগে বললেন, এই ‘কেতাবি ঢং’ বদলানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছে তাঁর নেই, ‘আমি মাঠে গিয়ে প্রথম বল থেকেই ধুমধাম পিটিয়ে বল মাঠের বাইরে পাঠাতে পারব না। আমি জানি, এতে আমার ভালো করার সম্ভাবনা কম। কিন্তু আমার কাছে নিজের মতো শট খেলা, শক্তি, গতি, রানিং বিটুইন দ্য উইকেট, ফিল্ডিং সামর্থ্য কাজে লাগানোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু দলনেতা হয়ে ক্লার্ক যদি ধুম-ধাড়াক্কা খেলতে না পারেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়া অধরা ট্রফিটি জিতবে কী করে? ‘মাঠে নেমেই বল পিটিয়ে মাঠের বাইরে পাঠানোর মতো লোক আমাদের দলে আছে। ও রকম অনেক খেলোয়াড় আছে। আমার মনে হয় না যে আমাকেই ওটা করতে হবে’—দলের ওপর ভালোই বিশ্বাস আছে ২৯ বছর বয়সী নেতার।
তাঁর এই দলের অনেকেই আইপিএল খেলে খেলে এখন টি-টোয়েন্টিতে বেশ অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। এঁদের ওপর ভরসা করেই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি খরাটা কাটাতে চান ক্লার্ক, ‘আইপিএলে যারা খেলেছে ওদের সঙ্গে অনেক আলাপ-আলোচনা করছি। ওদের কাছ থেকে বেশ উপদেশও পাচ্ছি। আমাদের এখন একটা টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ দল আছে। যদিও এ খেলাটায় নিশ্চয়তা বলে কিছু নেই, তার পরও আমাদের এখন যে দল তাতে টেস্ট-ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও সফল না হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।’
কারণ তো কেউই দেখে না। কিন্তু সাফল্যটাই যে আসছে না, মিস্টার ক্লার্ক!
মাঠে তাঁর চলন-বলন অত আক্রমণাত্মক নয়। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে ক্লার্ককে হয়তো মানাচ্ছে না। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি নগ্ন ছবিকে কেন্দ্র করে মডেল বান্ধবী লারা বিঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেখিয়েছেন ক্রিকেট তাঁর জীবনে কতটা জায়গাজুড়ে আছে। দেখিয়েছেন ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য মানসিকভাবে তিনি আক্রমণাত্মক।
কালে কালে আরেকজন রিকি পন্টিং হয়ে উঠতে পারবেন কি না, সেটা সময় বলে দেবে। এখন মানসিকতার দিক থেকে অন্তত পন্টিংয়ের পথেই আছেন। যতই টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হোন না কেন, নিজেকে ‘ধুম-ধাড়াক্কা’ ব্যাটসম্যানে পরিণত করার কোনো ইচ্ছেই নেই ক্লার্কেরও।
ক্লার্কের টেস্ট গড় ৫০-এর ওপরে, ওয়ানডে গড় ৪২.৩১। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ১০৮.৮৩ স্ট্রাইক রেটে গড় মাত্র ২৪.৬৪, সর্বোচ্চ রান ৬৭! এর চেয়ে বেশি হবেই বা কী করে! টি-টোয়েন্টিতেও যে সেই প্রথাগত, কেতাবি ব্যাটসম্যান হয়ে থাকেন ক্লার্ক।
বিশ্বকাপ-যাত্রার আগে বললেন, এই ‘কেতাবি ঢং’ বদলানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছে তাঁর নেই, ‘আমি মাঠে গিয়ে প্রথম বল থেকেই ধুমধাম পিটিয়ে বল মাঠের বাইরে পাঠাতে পারব না। আমি জানি, এতে আমার ভালো করার সম্ভাবনা কম। কিন্তু আমার কাছে নিজের মতো শট খেলা, শক্তি, গতি, রানিং বিটুইন দ্য উইকেট, ফিল্ডিং সামর্থ্য কাজে লাগানোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু দলনেতা হয়ে ক্লার্ক যদি ধুম-ধাড়াক্কা খেলতে না পারেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়া অধরা ট্রফিটি জিতবে কী করে? ‘মাঠে নেমেই বল পিটিয়ে মাঠের বাইরে পাঠানোর মতো লোক আমাদের দলে আছে। ও রকম অনেক খেলোয়াড় আছে। আমার মনে হয় না যে আমাকেই ওটা করতে হবে’—দলের ওপর ভালোই বিশ্বাস আছে ২৯ বছর বয়সী নেতার।
তাঁর এই দলের অনেকেই আইপিএল খেলে খেলে এখন টি-টোয়েন্টিতে বেশ অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। এঁদের ওপর ভরসা করেই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি খরাটা কাটাতে চান ক্লার্ক, ‘আইপিএলে যারা খেলেছে ওদের সঙ্গে অনেক আলাপ-আলোচনা করছি। ওদের কাছ থেকে বেশ উপদেশও পাচ্ছি। আমাদের এখন একটা টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ দল আছে। যদিও এ খেলাটায় নিশ্চয়তা বলে কিছু নেই, তার পরও আমাদের এখন যে দল তাতে টেস্ট-ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও সফল না হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।’
কারণ তো কেউই দেখে না। কিন্তু সাফল্যটাই যে আসছে না, মিস্টার ক্লার্ক!
No comments