আগে এক হাজার গোল...
এত দিন ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গেই তাঁর তুলনা হতো। আরেঠারে ইদানীং পেলেকেও নিয়ে আসা হচ্ছে লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনায়। মাত্র ২২ বছর বয়সেই ‘সর্বকালের সেরা’ ‘কিংবদন্তি’ ‘জাদুকর’ ইত্যাদি ইত্যাদি কত শত উপমা-বিশেষণ। পেলে নিজে কী ভাবছেন? ব্রাজিলের জীবন্ত কিংবদন্তির সাফ জবাব, মেসিকে কিংবদন্তি মেনে নিতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। তবে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগে এক হাজার গোল তো করুক!
‘ওরা সব সময়ই পেলের সঙ্গে কারও না কারও তুলনা করার চেষ্টা করে। আমি তো আমার আর্জেন্টাইন বন্ধুদের সঙ্গে এই বলে কৌতুক করি, আগে ওরা এটা ঠিক করুক আর্জেন্টিনার সেরা কে। এরপর তাদের কেউ একজন যদি এক হাজার গোল করে, তবেই আমরা আলোচনা শুরু করতে পারি’—এটা পেলের তাচ্ছিল্য না রসিকতা বোঝা একটু কঠিনই।
পেলেকে উসকে দিয়েছেন আসলে ম্যারাডোনাই। কদিন আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ইঙ্গিত করেছেন, পেলে না ম্যারাডোনা—বহুদিন ধরে চলে আসা এই বিতর্ক শেষ করে দিক মেসি। মানে পরিষ্কার, অর্জনে, কৃতিত্ব ও কর্তৃত্বে মেসি যেন ছাপিয়ে যান সবাইকে। তাঁকে পেছনে ফেলে মেসি এগিয়ে গেলেও ম্যারাডোনার চেয়ে খুশি আর কেউ হবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ। তাতে যে শেষতক লাভ ম্যারাডোনারই হয়। অধিনায়কের পর কোচ হিসেবেও জেতেন বিশ্বকাপ।
কিন্তু অর্জনের পাল্লায় পেলেকে ছাপিয়ে যায় সাধ্য কার! ১৩৬৩ ম্যাচে ১২৮০ গোল। বিশ্বকাপ জিতেছেন ৩টি। ক্যারিয়ারে এক হাজার গোলের দাবিদার আছেন আরেকজন, পেলেরই স্বদেশি রোমারিও। যদিও তাঁর এই হিসাবে ঘাপলা আছে বলে ব্রাজিলেরই অনেকের ধারণা।
পেলের নিজের সহস্র গোলেরও অনেকগুলোই প্রীতি ম্যাচে। তা ছাড়া তিনি কখনোই ইউরোপে ক্লাব ফুটবলে খেলেননি। পুরো ক্যারিয়ার কাটিয়ে দিয়েছেন সান্টোসের হয়ে। ১৮ বছর ব্রাজিলের এই ক্লাবটির হয়ে খেলার পর দু বছর অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রেও খেলেছেন।
অন্যদিকে ২০০৪-০৫ মৌসুমে অভিষেকের পর বার্সেলোনার হয়ে মেসি গোল করেছেন ১২০টি। এর মধ্যে ৪০টিই এই মৌসুমে। ৬৯ বছর বয়সী পেলে অবশ্য মেসির সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিচ্ছেন না। শুধু তা-ই নয়, অনেক আগেই জহুরি চোখ দিয়ে মেসির প্রতিভা তাঁর নজরে পড়েছিল বলেও দাবি করছেন তিনি। তিন বছর আগেই মেসিকে সম্ভাব্য বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন জানিয়ে পেলে বলেছেন, ‘ও সেবার (২০০৭ সালে) জেতেনি, কিন্তু আমার মনে পড়ে, আমি বলেছিলাম, “শিগগিরই ও জিতবে”। একটু সময় লেগেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ভবিষ্যদ্বাণীই সত্যি হয়েছে। ও গ্রেট এক খেলোয়াড়। বার্সেলোনার হয়ে ও দুর্দান্ত খেলে। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে তেমন খেলতে পারে না। হয়তো বিশ্বকাপে ও সেটা খেলবে। দেখাই যাক, কী হয়।’
‘ওরা সব সময়ই পেলের সঙ্গে কারও না কারও তুলনা করার চেষ্টা করে। আমি তো আমার আর্জেন্টাইন বন্ধুদের সঙ্গে এই বলে কৌতুক করি, আগে ওরা এটা ঠিক করুক আর্জেন্টিনার সেরা কে। এরপর তাদের কেউ একজন যদি এক হাজার গোল করে, তবেই আমরা আলোচনা শুরু করতে পারি’—এটা পেলের তাচ্ছিল্য না রসিকতা বোঝা একটু কঠিনই।
পেলেকে উসকে দিয়েছেন আসলে ম্যারাডোনাই। কদিন আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ইঙ্গিত করেছেন, পেলে না ম্যারাডোনা—বহুদিন ধরে চলে আসা এই বিতর্ক শেষ করে দিক মেসি। মানে পরিষ্কার, অর্জনে, কৃতিত্ব ও কর্তৃত্বে মেসি যেন ছাপিয়ে যান সবাইকে। তাঁকে পেছনে ফেলে মেসি এগিয়ে গেলেও ম্যারাডোনার চেয়ে খুশি আর কেউ হবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ। তাতে যে শেষতক লাভ ম্যারাডোনারই হয়। অধিনায়কের পর কোচ হিসেবেও জেতেন বিশ্বকাপ।
কিন্তু অর্জনের পাল্লায় পেলেকে ছাপিয়ে যায় সাধ্য কার! ১৩৬৩ ম্যাচে ১২৮০ গোল। বিশ্বকাপ জিতেছেন ৩টি। ক্যারিয়ারে এক হাজার গোলের দাবিদার আছেন আরেকজন, পেলেরই স্বদেশি রোমারিও। যদিও তাঁর এই হিসাবে ঘাপলা আছে বলে ব্রাজিলেরই অনেকের ধারণা।
পেলের নিজের সহস্র গোলেরও অনেকগুলোই প্রীতি ম্যাচে। তা ছাড়া তিনি কখনোই ইউরোপে ক্লাব ফুটবলে খেলেননি। পুরো ক্যারিয়ার কাটিয়ে দিয়েছেন সান্টোসের হয়ে। ১৮ বছর ব্রাজিলের এই ক্লাবটির হয়ে খেলার পর দু বছর অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রেও খেলেছেন।
অন্যদিকে ২০০৪-০৫ মৌসুমে অভিষেকের পর বার্সেলোনার হয়ে মেসি গোল করেছেন ১২০টি। এর মধ্যে ৪০টিই এই মৌসুমে। ৬৯ বছর বয়সী পেলে অবশ্য মেসির সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিচ্ছেন না। শুধু তা-ই নয়, অনেক আগেই জহুরি চোখ দিয়ে মেসির প্রতিভা তাঁর নজরে পড়েছিল বলেও দাবি করছেন তিনি। তিন বছর আগেই মেসিকে সম্ভাব্য বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন জানিয়ে পেলে বলেছেন, ‘ও সেবার (২০০৭ সালে) জেতেনি, কিন্তু আমার মনে পড়ে, আমি বলেছিলাম, “শিগগিরই ও জিতবে”। একটু সময় লেগেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ভবিষ্যদ্বাণীই সত্যি হয়েছে। ও গ্রেট এক খেলোয়াড়। বার্সেলোনার হয়ে ও দুর্দান্ত খেলে। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে তেমন খেলতে পারে না। হয়তো বিশ্বকাপে ও সেটা খেলবে। দেখাই যাক, কী হয়।’
No comments