জাভি আসছেন
অর্কেস্ট্রা দেখার সৌভাগ্য নিশ্চয়ই হয়েছে আপনার। সমবেত যন্ত্রসংগীতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় একজনের হাতেই শুধু কোনো বাদ্যযন্ত্র থাকে না। সামনে বসে শুধু কাঠি নেড়ে যান তিনি। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন বাদ্যযন্ত্রীকে এক সুরে গাঁথেন আসলে তিনিই। কনডাক্টর।
বার্সেলোনার সেই ভূমিকাটা পালন করছেন জাভি। লিওনেল মেসির দুর্দান্ত ফর্মের ঔজ্জ্বল্যে হয়তো পাদপ্রদীপের আলোয় তাঁর আসা হয় না। কিন্তু তাতেও খুব একটা আপত্তি নেই ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের। নেপথ্য নায়কের ভূমিকাতেই তিনি তৃপ্ত।
মেসিরা দুর্দান্ত খেলছেন, কারণ জাভি খেলাচ্ছেন। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুটো গোলই তাঁর বানিয়ে দেওয়া। মেসি যে দুটো সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, সে দুটোও। ‘পাস-মাস্টার’ জাভি বলছেন, ক্যারিয়ারের সেরা সময় যাচ্ছে তাঁর। আগামী বিশ্বকাপে স্পেনের প্রতিপক্ষরা সাবধান!
পরশু লা ভ্যানগার্ডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে জাভি বলেছেন, ‘আমি যেমনটা বরাবরই বলে এসেছি, খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমার একটা যোগসূত্র তৈরি করতে হয়, যেন সতীর্থরা তাদের মার্কারদের পাহারা থেকে বেরিয়ে দৌড় দিতে পারে। সত্যি বলতে কি, এর চেয়ে বেশি আমি আর কী চাইতে পারি! জীবনের সেরা ফর্মে আছি। কারণ যখন আপনি জিতবেন, সেটি আপনাকে বাড়তি প্রেরণা জোগাবে। সেটি আপনাকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মূল্যবান হয়ে ওঠার অনুভূতি এনে দেবে।’
এই মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ৪৫ ম্যাচে মাত্র ৬ গোল করেছেন। কিন্তু সরাসরি গোলে অবদান রেখেছেন ১২টি। আরও অনেক গোল, যেগুলোর পাস হয়তো তাঁর পা থেকে যায়নি, কিন্তু মূল কৃতিত্ব জাভিরই। ইনজুরি-ফিটনেস সমস্যায় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা এই মৌসুমে প্রায়ই ছন্দ হারিয়েছেন। কিন্তু তাঁর প্রভাব দলের ওপর পড়তে দেননি জাভিই। বার্সার প্রাণভোমরা এখন তিনিই। জাভির কারণেই মেসি মাঝমাঠ ছেড়ে আরও বেশি উপরে খেলতে পারছেন। মেসির গোলসংখ্যা দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তার বড় কারণ তো তিনিই।
‘পাসই আমার বিশেষত্ব। সব সময়ই পাস দেওয়াই ছিল আমার মূল কাজ। কিন্তু সতীর্থদের অবদানই আসল। আমার পাসটা দারুণ একটা পাস হয়ে যায় অন্য প্রান্তে যে দৌড়ে এসে বলটা ঠিকমতো খেলে তার কারণেই’—এই জায়গাতেও পুরো কৃতিত্ব নিতে নারাজ বিনয়ী জাভি।
জাতীয় দলেও জাভিকে বুঝতে পারে এমন খেলোয়াড় তাঁর আশপাশে থাকা জরুরি। আশার কথা হলো, কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক আছেন, সেই দায়িত্বটা তিনিই বুঝবেন। ২০০৮ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটাকে এক সুতোয় গেঁথে রেখেছেন বস্ক। ৪৪ বছর পর ইউরোপ জেতা দলটার টুর্নামেন্ট-সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন জাভিই। স্পেন দলে জেরার্ড পিকে, কার্লোস পুয়োল, ইনিয়েস্তাদের মতো বার্সা-সতীর্থরা তো থাকছেনই, আক্রমণভাগে ফার্নান্দো তোরেস, ডেভিড সিলভা, ডেভিড ভিয়া, দানি গুইজাদের সঙ্গেও বোঝাপড়া তাঁর ভালো।
স্পেনের প্রতিপক্ষরা সাবধান, জাভি আসছেন!
বার্সেলোনার সেই ভূমিকাটা পালন করছেন জাভি। লিওনেল মেসির দুর্দান্ত ফর্মের ঔজ্জ্বল্যে হয়তো পাদপ্রদীপের আলোয় তাঁর আসা হয় না। কিন্তু তাতেও খুব একটা আপত্তি নেই ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের। নেপথ্য নায়কের ভূমিকাতেই তিনি তৃপ্ত।
মেসিরা দুর্দান্ত খেলছেন, কারণ জাভি খেলাচ্ছেন। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুটো গোলই তাঁর বানিয়ে দেওয়া। মেসি যে দুটো সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, সে দুটোও। ‘পাস-মাস্টার’ জাভি বলছেন, ক্যারিয়ারের সেরা সময় যাচ্ছে তাঁর। আগামী বিশ্বকাপে স্পেনের প্রতিপক্ষরা সাবধান!
পরশু লা ভ্যানগার্ডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে জাভি বলেছেন, ‘আমি যেমনটা বরাবরই বলে এসেছি, খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমার একটা যোগসূত্র তৈরি করতে হয়, যেন সতীর্থরা তাদের মার্কারদের পাহারা থেকে বেরিয়ে দৌড় দিতে পারে। সত্যি বলতে কি, এর চেয়ে বেশি আমি আর কী চাইতে পারি! জীবনের সেরা ফর্মে আছি। কারণ যখন আপনি জিতবেন, সেটি আপনাকে বাড়তি প্রেরণা জোগাবে। সেটি আপনাকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মূল্যবান হয়ে ওঠার অনুভূতি এনে দেবে।’
এই মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ৪৫ ম্যাচে মাত্র ৬ গোল করেছেন। কিন্তু সরাসরি গোলে অবদান রেখেছেন ১২টি। আরও অনেক গোল, যেগুলোর পাস হয়তো তাঁর পা থেকে যায়নি, কিন্তু মূল কৃতিত্ব জাভিরই। ইনজুরি-ফিটনেস সমস্যায় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা এই মৌসুমে প্রায়ই ছন্দ হারিয়েছেন। কিন্তু তাঁর প্রভাব দলের ওপর পড়তে দেননি জাভিই। বার্সার প্রাণভোমরা এখন তিনিই। জাভির কারণেই মেসি মাঝমাঠ ছেড়ে আরও বেশি উপরে খেলতে পারছেন। মেসির গোলসংখ্যা দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তার বড় কারণ তো তিনিই।
‘পাসই আমার বিশেষত্ব। সব সময়ই পাস দেওয়াই ছিল আমার মূল কাজ। কিন্তু সতীর্থদের অবদানই আসল। আমার পাসটা দারুণ একটা পাস হয়ে যায় অন্য প্রান্তে যে দৌড়ে এসে বলটা ঠিকমতো খেলে তার কারণেই’—এই জায়গাতেও পুরো কৃতিত্ব নিতে নারাজ বিনয়ী জাভি।
জাতীয় দলেও জাভিকে বুঝতে পারে এমন খেলোয়াড় তাঁর আশপাশে থাকা জরুরি। আশার কথা হলো, কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক আছেন, সেই দায়িত্বটা তিনিই বুঝবেন। ২০০৮ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটাকে এক সুতোয় গেঁথে রেখেছেন বস্ক। ৪৪ বছর পর ইউরোপ জেতা দলটার টুর্নামেন্ট-সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন জাভিই। স্পেন দলে জেরার্ড পিকে, কার্লোস পুয়োল, ইনিয়েস্তাদের মতো বার্সা-সতীর্থরা তো থাকছেনই, আক্রমণভাগে ফার্নান্দো তোরেস, ডেভিড সিলভা, ডেভিড ভিয়া, দানি গুইজাদের সঙ্গেও বোঝাপড়া তাঁর ভালো।
স্পেনের প্রতিপক্ষরা সাবধান, জাভি আসছেন!
No comments