ক্রিকেট-বাণিজ্যের হাওয়া এমসিসির গায়ে
ক্রিকেট-বাণিজ্যের হাওয়া মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) গায়েও লেগেছে। এর আগে আইপিএলের একটি দল কেনার চেষ্টাও করেছে ক্রিকেটের আদি ক্লাবটি। সেই উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে বাণিজ্যিক পথে এমসিসির অগ্রযাত্রা অব্যাহতই আছে। আগামী জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের যে ‘হোম’ সিরিজটি ইংল্যান্ডে হবে, সেই সিরিজটি স্পনসর করছে এমসিসি। ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা ক্লাবের ২২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম তারা কোনো সিরিজের স্পনসর হতে চলেছে।
১৯১২ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ড নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কোনো টেস্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ৫ ও ৬ জুলাই বার্মিংহামে দুটো টি-টোয়েন্টির পর ১৩ জুলাই এমসিসির মাঠ লর্ডসেই অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টেস্ট। দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি হেডিংলিতে শুরু হবে ২১ জুলাই থেকে। পুরো সফরটি এমসিসি স্পনসর করবে জানিয়ে ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কিথ ব্র্যাডশ বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের সুরক্ষায় এমসিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সিরিজের পৃষ্ঠপোষণা এবং প্রথম সিরিজটি আয়োজন করে আমরা পাকিস্তানের ক্রিকেটের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলাম। এমন এক সময় যখন দেশটির ক্রিকেট-সূচি ব্যাপকভাবে সংকুচিত হচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া ব্র্যাডশর সাবেক ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারের পাশাপাশি আরও একটা পরিচয় আছে। পেশায় ছিলেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট। লাভক্ষতির হিসাব তিনি ভালোই বোঝেন। বোঝেন, ক্রিকেটের মানচিত্রটাই পাল্টে যাচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে হলে স্রেফ আইনপ্রণেতার ভূমিকা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এমসিসিকে তাই তিনি সনাতন ধারা থেকে বের করে নিয়ে আসতে চান। ব্র্যাডশ অবশ্য পরশু জোর দিয়েই বলেছেন, ‘এই সিরিজটার আয়োজনও অবশ্যই আমাদের অব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই করা হচ্ছে। এটা মূলত পাকিস্তান আর বিকাশমান বিশ্বকে সহায়তা দেওয়া।’
যদিও এমসিসির বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যও গোপন কিছু নয়। ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম লর্ডসকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে ‘সুপার স্টেডিয়াম’ বানাতে ৪০ কোটি পাউন্ডের বিশাল পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডে সিরিজ মানেই লর্ডসের ভেন্যু হওয়াটা এখন আর নিশ্চিত নয় বলে নিরপেক্ষ টেস্ট ভেন্যু হয়ে উঠতেও আগ্রহী তারা। ব্র্যাডশ মনে করেন, ক্রিকেটের অভিভাবকের ভূমিকাটার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে এমসিসির এগিয়ে চলায় কোনো বাধা নেই। ‘লর্ডসে এখন থেকে খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ আর হবে না। কোনো টেস্ট ম্যাচের পরিকল্পনা চললেই আমরা চেষ্টা করব সেটি লর্ডসে নিয়ে আসতে। নিরপেক্ষ টেস্ট হলে সাদরে আমাদের দরজা উন্মুক্ত করে দেব’—বলেছেন তিনি।
১৯১২ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ড নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কোনো টেস্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ৫ ও ৬ জুলাই বার্মিংহামে দুটো টি-টোয়েন্টির পর ১৩ জুলাই এমসিসির মাঠ লর্ডসেই অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টেস্ট। দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি হেডিংলিতে শুরু হবে ২১ জুলাই থেকে। পুরো সফরটি এমসিসি স্পনসর করবে জানিয়ে ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কিথ ব্র্যাডশ বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের সুরক্ষায় এমসিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সিরিজের পৃষ্ঠপোষণা এবং প্রথম সিরিজটি আয়োজন করে আমরা পাকিস্তানের ক্রিকেটের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলাম। এমন এক সময় যখন দেশটির ক্রিকেট-সূচি ব্যাপকভাবে সংকুচিত হচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া ব্র্যাডশর সাবেক ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারের পাশাপাশি আরও একটা পরিচয় আছে। পেশায় ছিলেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট। লাভক্ষতির হিসাব তিনি ভালোই বোঝেন। বোঝেন, ক্রিকেটের মানচিত্রটাই পাল্টে যাচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে হলে স্রেফ আইনপ্রণেতার ভূমিকা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এমসিসিকে তাই তিনি সনাতন ধারা থেকে বের করে নিয়ে আসতে চান। ব্র্যাডশ অবশ্য পরশু জোর দিয়েই বলেছেন, ‘এই সিরিজটার আয়োজনও অবশ্যই আমাদের অব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই করা হচ্ছে। এটা মূলত পাকিস্তান আর বিকাশমান বিশ্বকে সহায়তা দেওয়া।’
যদিও এমসিসির বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যও গোপন কিছু নয়। ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম লর্ডসকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে ‘সুপার স্টেডিয়াম’ বানাতে ৪০ কোটি পাউন্ডের বিশাল পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডে সিরিজ মানেই লর্ডসের ভেন্যু হওয়াটা এখন আর নিশ্চিত নয় বলে নিরপেক্ষ টেস্ট ভেন্যু হয়ে উঠতেও আগ্রহী তারা। ব্র্যাডশ মনে করেন, ক্রিকেটের অভিভাবকের ভূমিকাটার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে এমসিসির এগিয়ে চলায় কোনো বাধা নেই। ‘লর্ডসে এখন থেকে খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ আর হবে না। কোনো টেস্ট ম্যাচের পরিকল্পনা চললেই আমরা চেষ্টা করব সেটি লর্ডসে নিয়ে আসতে। নিরপেক্ষ টেস্ট হলে সাদরে আমাদের দরজা উন্মুক্ত করে দেব’—বলেছেন তিনি।
No comments